বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে দাম রয়ে গেছে আগের মতোই। সম্প্রতি বিপরীত প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে তেলের বাজারে। বিশ্ব বাজারে দাম যখন পড়ছে তখন বাংলাদেশে বাড়ানো হয়েছে ভোজ্য তেলের দাম। এ মুহূর্তে প্রতি লিটারে ক্রেতাদের কাছ থেকে অন্তত ২০ টাকা বেশি দাম আদায় করছেন ব্যবসায়ীরা। তেলের বাজারে সরকারের নজরদারি না থাকায় এ ব্যবসার নিয়ন্ত্রকরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না। বর্তমানে তেল আমদানি ও বিপণনে জড়িত রয়েছে মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠান। ভোজ্য তেলের ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে তাদের অঙ্গুলি হেলনে। তেল আমদানির বিশাল পরিসরে ব্যবসায়ীর সংখ্যা সীমিত হওয়ায় তারা যা ইচ্ছা তাই করার প্রয়াস চালাচ্ছেন। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেল কমিশনে পাঠানো প্রতিবেদনে বলেছে, খোলা সয়াবিনে ৯ থেকে ২৩ টাকা পর্যন্ত বাড়তি মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। দুটি প্রতিষ্ঠান সিংহ ভাগ তেলের আমদানিকারক এবং তারা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণে ভূমিকা রাখছেন। বর্তমানে প্রতি টন সয়াবিনের আমদানি মূল্য ৬৬ হাজার ৫০৮ টাকা। অর্থাৎ ১ কেজি সয়াবিন কেনা হয় ৬৬ টাকা ৫১ পয়সা দামে। বর্তমানে বাজারে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় খোলা সয়াবিন এবং ১১৮ থেকে ১২২ টাকায় প্যাকেটজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে টনপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ১১২ ডলার ৯২ সেন্ট কমলেও তার কোনো প্রতিক্রিয়াই বাজারে পড়েনি। বর্তমানে টনপ্রতি পামঅয়েলের আমদানি মূল্য ৬১ হাজার ৫৭৪ টাকা। কেজিতে যার দাম ৬১ টাকা ৫১ পয়সা। অথচ খোলা বাজারে তা ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিনের সঙ্গে পামঅয়েল মিলিয়ে বিক্রি করাও নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতেও প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। ভোজ্য তেল মানুষের নিত্যব্যবহার্য পণ্যের একটি। এর বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। এ অবস্থার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে অবশ্যই যত্নবান হতে হবে। সিন্ডিকেট যাতে ভেঙে যায় তা নিশ্চিত করতে জ্বালানি তেল আমদানি ও প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাতকরণে আরও বেশি প্রতিষ্ঠান যাতে এগিয়ে আসে তা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলে ক্রেতাদের পক্ষে সাশ্রয়ী দামে ভোজ্য পণ্য কেনা সহজ হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।