বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, তারা বলেন, গোপালীরা নাকি কপালি হয়। হায়রে কপালি। গোপালী এখন আর ট্রেনে নেই। গোপালীকে এখন ক্রেন দিয়ে টেনে ট্রেনে তুলতে হবে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ বলে, আমরা নাকি নির্বাচনী ট্রেন মিস করেছি। নির্বাচনের ট্রেন বিএনপি মিস করেনি। বরং আওয়ামী লীগই ভুল ট্রেনে উঠেছে। তাই ট্রেন এখন লাইন থেকে পড়ে গেছে। এখন সেই ট্রেনকে ক্রেন দিয়ে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই অবৈধ সরকারকে দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। অবৈধ সরকার মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত করছে। সারা দুনিয়া বলছে দেশে মানবাধিকার নেই। ফেরামের সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া আরও বলেন, অনেকে বলছে, আমরা নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছি। কিন্তু আমি বলি, আমরা নির্বাচনে না গিয়ে সঠিক কাজটি করেছি। আওয়ামী লীগের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না তা প্রমাণ হয়েছে। 'বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে'-আওয়ামী লীগ নেতাদের এই বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নয়, আওয়ামী লীগই বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। বিএনপি নেত্রী সরকারের উদ্দেশে বলেন, তারা কীভাবে নিজেদের নির্বাচিত দাবি করে? যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীই পেল না, সেখানে নির্বাচন কোথায় হলো? ১৫৪টি আসনে নির্বাচনের আগেই ভোটার ছাড়াই নির্বাচিত হয়ে গেছে। তাছাড়া ৫ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটও পড়েনি। ১৯ দলীয় জোট ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই সেদিন ভোট কেন্দ্রে মানুষ যায়নি। এটা হলো জনগণের নীরব প্রত্যাখ্যান। কয়েকটি পত্রিকায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রকাশিত ছবি দেখিয়ে বলেন, এই যে দেখুন, সেদিন ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার যায়নি। মিডিয়ায় কুকুর ঘোরাফেরা করার ছবি ছাপিয়েছে। কাজেই সরকারের উচিত সেই কুকুরগুলোকে পুরস্কৃত করা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সরকারের উদ্দেশে বলেন, সময় থাকতে যদি না সরেন তাহলে পরে আপনাদের আরও বেশি মাশুল দিতে হবে। আমি সরকারকে বলতে চাই, সন্ত্রাস বন্ধ করুন। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলুন, তাদের নিয়মতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন করতে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চায় যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে। আজকে পুলিশ-র্যাবকে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। সারা দেশে হত্যা, খুন, গুম ও ধর্ষণ চলছে। প্রশাসনে যোগ্যতা, দক্ষতা দেখা হচ্ছে না। দেখা হচ্ছে কে কতটা আওয়ামী লীগার। আর যারা যোগ্য, মেধাবী তাদের ওএসডি করে রাখা হচ্ছে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন বলা হলেও আসলে স্বাধীন নয়। আমরা কোনোদিন বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, অবৈধ সরকার দেশে যে অত্যাচার চালাচ্ছে তা থেকে আইনজীবীরাও রেহাই পাচ্ছে না। জনগণের ভোটের অধিকার ও আইনের শাসন রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশে কোনো উন্নতি হবে না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।