যখন আকাশটা থমকে গেলো কালো মেঘে
তখন এ শহরের বুকজুড়ে একটা মৃত্যু হয়ে গেলো
রক্তমাংসের শরীর থেকে বেরিয়ে গেলো পরিচিত আত্না
যাতে নিয়ম করে ভর করতো খুব দুঃখ-অভিলাষ।
প্রতিদিন এ শহরের রাস্তা ধরে নতুন করে একটা গল্প সৃষ্টি হতো
বধিষ্ণু এ শহরে শব্দ বেড়ে যেতো রাস্তা ও বাতাসে ,
শরতটা কাশফুলের ছোঁয়া দিয়ে যেতোনা
তবুও মানুষগুলো দ্রুতবেগে ছুটতো গাড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে
একফালি হাসি মুখে টেনে রেখে খুব ।
সুউচ্চ অট্রালিকার ভিড়ে এখানে আকাশ দেখা যেতোনা
একটুকু অনুভূতির কার্পণ্য এখানে ছিল খুব,
তবুও বেঁচে থাকায় আনন্দ ছিল
যদিও ফুসফুসটা পুড়ে গিয়েছিল অনেক আগে
নিকোটিনের ভালোবাসায় ।
বর্ষার মাদকতা ছিলোনা শহরজুড়ে
কার্বনের আলিঙ্গনে শৈশব হারিয়ে ফেলেছিল শিশুরা ,
তবুও মায়ের হাত ধরে কার্বনের ঘ্রাণ শুকতে শুকতে
প্রতিদিন আড়মোড়া চোখে স্কুলে হাজির হতে হতো খুব ।
সকালে একটু বেশি ঘুমাতে পাওয়ার বায়না খুব দারুণ লাগতো
কিন্তু বয়সটা বাড়তে বাড়তে সে ঘুমটা উবে গেলো খুব ,
তখন শহরে নতুন করে জন্ম নেয়া মানুষগুলোর মাঝে
বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হতো খুব ।
আর তাই ঘুমটা হয়ে গিয়েছিল নিরুদ্দেশ
প্রতিটি সেকেন্ড প্রতিটি মুহূর্ত জেগে থাকতে ইচ্ছে হতো খুব ,
আর এই ভাবতে ভাবতে একদিন আকাশজুড়ে কালো মেঘ ছেয়ে গেলো
আর খুব আপন করে নিলো একটা আত্না ।
শহরটা তখনো চলছিল আপন গতিতে
রাস্তায় জ্যাম-কার্বনের ধোঁয়া সব আগের মত বেঁচে ছিল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।