আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজস্ব হার্ডডিস্কের চেয়ে ‘ক্লাউড’ কি বেশি নিরাপদ?

নিজের হার্ডডিস্কে তথ্য রাখার চেয়ে বিশ্বের অনেকেই এখন ‘ক্লাউড’ সেবার আওতায় অনলাইনে নিজ তথ্য জমা রাখছেন৷ বিশেষ করে অনেক প্রতিষ্ঠান এই চর্চা শুরু করেছে৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, নিজস্ব হার্ডডিস্কের চেয়ে ‘ক্লাউড’ কি বেশি নিরাপদ?
‘ক্লাউড কম্পিউটিং' অনেক কিছুই সহজ করে দিয়েছে৷ অনেক প্রতিষ্ঠানের এখন আর তাদের তথ্যাদি নিজস্ব হার্ডডিস্কে রাখছে না৷ বরং তারা ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধা নিচ্ছেন৷ ফলে তথ্য জমা থাকছে অন্য কোনো ঠিকানায়, আর প্রয়োজনের সময় ইন্টারনেটের সহায়তায় সেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে৷
বলতে গেলে, আমরা সবাই আসলে এখন কম বেশি ‘ক্লাউড কম্পিউটিং'-এর সুবিধা নিচ্ছি৷ কিভাবে? ইমেইল সেবার কথাই ধরুন৷ ভেবে দেখুন, গুগল, ইয়াহু বা মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানের ই-মেল সেবা ব্যবহারকারীরা কি তাঁদের যাবতীয় ই-মেল বার্তা নিজেদের কম্পিউটারে জমা রাখছেন? কেউ কেউ হয়ত ই-মেল বার্তাগুলো আলাদাভাবে নিজের হার্ডডিস্কে জমা করে রাখেন৷ কিন্তু অধিকাংশক্ষেত্রে কিন্তু ই-মেল বার্তাগুলো জমা থাকে অন্য কোনো জায়গায়, যেটা ঠিক আপনার কম্পিউটার নয়৷ তাই বাসার কম্পিউটার, অফিসের ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোন – সব ডিভাইস থেকেই সহজে সেসব ই-মেল বার্তায় নজর দেয়া যায়৷ ‘ক্লাউড কম্পিউটিং'-এর কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে৷
ক্লাউড কম্পিউটিং কতটা নিরাপদ?
ক্লাউড-এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নও দেখা দিয়েছে৷ যেসব প্রতিষ্ঠান, এই সেবা নিচ্ছে বা নিতে চাচ্ছে, তারা জানতে চায়, ক্লাউড সেবাদাতার তথ্য সুরক্ষা নীতি তাদের প্রতিষ্ঠানের নীতির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ? কিংবা তারা কিভাবে নিশ্চিত হবে যে, ক্লাউড সেবাদাতা তাদের তথ্য নিরাপদে জমা রাখতে সক্ষম? হ্যাকরার যে সেসব তথ্য চুরি করতে পারবেন না, সেই নিশ্চয়তা বা কি?
তথ্য প্রযুক্তিবিদ টিম পিয়ারসন এ সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন৷ এই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন নিরাপত্তা ব্যবস্থা হ্যাক করার চেষ্টা করেন৷ মূলত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা খুঁজে পেতে এই চেষ্টা করেন তিনি৷ কোনো দুর্বলতা খুঁজে পেলে তা মেরামতেও সহায়তা করেন পিয়ারসন৷
তাঁর মতে, ক্লাউড ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সতর্ক হওয়া প্রয়োজন৷ তথ্য যে সার্ভারে জমা রাখা হয়, নিয়মিত সেই সার্ভারের নিরাপত্তা পরীক্ষার সুযোগ থাকা উচিত তাদের৷ একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের তথ্য কখন, কোথায় রাখা হচ্ছে তাও জানা থাকা দরকার৷
নিরাপত্তা ত্রুটি
বড় বড় ক্লাউড সেবাদাতাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও ত্রুটি রয়েছে বলে জানান তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিরোসেক-এর ইয়োশুয়া টিয়াগো৷ এই প্রফেশনাল হ্যাকার বিশেষ কোড ব্যবহার করে মাইক্রোসফটের ক্লাউড সার্ভারে থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানের তথ্যে প্রবেশে সক্ষম হন৷ বলাই বাহুল্য, অনলাইন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এ রকম ত্রুটি থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক৷
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা তাই এখনই পুরোপুরি ক্লাউড সেবার উপর নির্ভরশীল হতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরামর্শ দিচ্ছেন না৷ বরং অতি গোপনীয় তথ্যাদি ক্লাউড-এর বদলে নিজস্ব নিরাপত্তা বলয়ে থাকা হার্ডডিস্কে রাখা উচিত বলে মত তাঁদের৷ এছাড়া তার সঙ্গে সঙ্গে যেসব কম্পিউটারের মাধ্যমে ক্লাউডে থাকা তথ্যাদি ব্যবহার করা হয়, সেসব কম্পিউটারের নিরাপত্তার বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে৷ এ সব কম্পিউটারে হালনাগাদ ‘অ্যান্টি ভাইরাস' ব্যবহার জরুরি বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা৷

সোর্স: http://www.techtunes.com.bd

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।