(প্রথম পর্ব: এখানে)
টেকটিউনস এর বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমাদের দেশের দুর্লভ আলোকচিত্রের উপর করা সিরিজ টিউনের দ্বিতীয় পর্ব আজ। প্রথম টিউনটিতে ছবিগুলো ক্রমানুসারে সাজানো ছিল না। এই পর্বে ১৮৭০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত আলোকচিত্রগুলো ক্রমানুসারে সাজানো আছে।
Image Courtesy:
আর কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি নাম না জানা সেই ফটোগ্রাফারদের যারা ক্যামেরায় ইতিহাস ধরে রেখেছিলেন।
আজকের টিউনটিতে সবমিলিয়ে ১২৫ টি আলোকচিত্র ব্যাবহার করা হয়েছে, তাই পেজ লোড হতে সময় নিতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি কিছুক্ষন অপেক্ষা করে সবগুলো ছবি আসার পর টিউনটি পড়তে শুরু করেন। তাহলে মজা পাবেন।
-
ব্রিটিশ বাংলা থেকে আজকের বাংলাদেশের যাত্রায় আপনাদের স্বাগতম
-
১৮৭০ - ঢাকার বিখ্যাত বাইজী নয়াবিন বাই ও তার দল।
১৮৬০ - তৎকালীন বাঙালি হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষ।
তারা নাচ ও গানে পারদর্শী ছিলেন।
১৮৬০ - খেমটাওয়ালী (এক ধরনের আদি-রসাত্মক নাচ, তখনকার বাঙালি উচ্চবিত্তদের বিনোদিত ) ও তার দল।
১৮৬০ - পদ্মা নদী।
১৮৮০ - নবাবের নিজস্ব সার্কাসের দল।
১৮৮০ - পিলখানায় হাতি ও মাহুতগণ।
১৮৮০ - ঢাকা জেলখানায় আসামিদের জীবনযাত্রা।
১৮৮০ - তেজগাঁও।
১৮৮২ - সেইন্ট গ্রেগরি স্কুল, ঢাকা।
১৮৯০ - ব্যাংক অফ বেঙ্গল। তৎকালীন শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনটি পরবর্তীতে ঢাকা ক্লাবে রূপান্তরিত হয়।
১৮৯০ - ঢাকা ক্লাব।
১৮৯০ - কলকাতা থেকে এম এ পাস করে আসা বাংলাদেশি ছাত্র।
তৎকালীন সময়ে পাস করে আসলে দূর দুরান্ত থেকে লোকজন দেখতে আসত।
১৮৯৫ - সম্ভবত এটাই পদ্মা নদীর মাঝিদের সবচেয়ে পুরনো ছবি।
১৮৯৫ - গোয়ালন্দ ঘাটে স্টিমারের সারি।
১৯০০ - গ্রামীণ পরিবার, ময়মনসিংহ।
১৯০০ - নবাবদের শিকারের পর বাঘের চামড়া ছাড়ানো হচ্ছে।
১৯০৪ - শাহবাগে নবাব পরিবারের নিজস্ব হরিন উদ্যান (deer park).
১৯০৫ - পিলখানায় হাতির বহর।
১৯০৭ - নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুরের সাথে ঢাকার সর্বপ্রথম হকি দল।
১৯১২ - নবাবদের দরবার হল।
বর্তমানে মধুর ক্যান্টিন।
১৯১৫ - নবাবজাদীগন (নবাব সলিমুল্লাহের তিন কন্যা), বা থেকেঃ বিলকিস বানু, বাদশাহ বানু ও আমিনা বানু।
১৯২০ - ভালুক শিকার করার পর একজন ব্রিটিশ অফিসার।
১৯২১ - সরস্বতী পুজা মণ্ডপ, ঢাকা কলেজ হোস্টেল।
১৯২৪ - ঢাকার মানচিত্র।
১৯২৬ - নবাব খাজা সালাউদ্দিন সাথে তার ইংরেজ স্ত্রী এডিথ (Edith) ও অন্যান্যরা।
১৯২৮ - নবাবজাদী বিলকিস বানু বেগম, নবাব সলিমুল্লাহ ও নবাবী বেগম রওশন আখতারের বড় মেয়ে।
১৯৩৩ - ঢাকা শান্তিনগর ব্রিটিশ আর্মি ব্যারাক
১৯৩৩ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী Royal Norfolks Regiment ঢাকায় প্রবেশ করছে।
১৯৩৩ - ব্রিটিশ রেলওয়ের স্টিম ইঞ্জিন চালিত রেলগাড়ি, ঈশ্বরদী।
১৯৩৪ - ঢাকার ওয়াটারফ্রন্ট ভিউ।
১৯৩৪ - ব্রিটেনিয়া সিনেমা হল, ব্রিটিশ রেজিমেন্ট ক্যাম্প, ঢাকা।
১৯৪০ - ঢাকা ইউনিভার্সিটি ক্লাসরুম।
১৯৪০ - ঢাকা ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরি।
১৯৪০ - ব্রিটিশ আর্মি অফিসার'স ক্লাব, চট্টগ্রাম।
১৯৪০ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্রিটিশ রয়েল এয়ারফিল্ড, কক্সবাজার।
১৯৪১ - বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্বহস্তে লেখা কবিতা।
১৯৪৬ মহাত্মা গান্ধীর নোয়াখালীতে আগমন।
১৯৫০ - ঢাকা সেন্ট্রাল জেল।
১৯৫০ - ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের আসামিদের ওয়ার্ড।
১৯৫৪ - ঈদের নামাজের খুতবা শুনছে মানুষ।
১৯৫৪ - ঈদ মেলা, ঢাকা।
১৯৫৪ - আওয়ামী মুসলিম লীগ অফিস (যা বর্তমানে আওয়ামীলিগ)
১৯৫৪ - ঢাকার রাজপথ
১৯৫৫ - পর্দা ঘেরা রিক্সা।
১৯৫৫ - খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল।
১৯৫৬ - ঢাকা কলেজের পুরাতন ক্যাম্পাসে শহীদমিনার নির্মাণ করছে মেয়েরা।
১৯৫৬ - ২১শে ফেব্রুয়ারি, শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসেছেন শহীদ বরকতের মা (ডানে)।
1958 - বিয়ের পর পালকিতে চড়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে নতুন বউ , মানিকগঞ্জ।
১৯৫৮ - বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ফ্যাশন শো, আয়োজন করেছিলো Women’s Voluntary Association of Dhaka.
১৯৬০ - বায়তুল মোকাররম মসজিদ।
১৯৬০ - কাকরাইল, ঢাকা
১৯৬০ - সংসদ ভবন, তখন লেকের পানিতে কাপড় কাচা হত!
১৯৬১ - রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ঢাকায় আগমন।
১৯৬২ - মৃত ডলফিনের সাথে শিকারিরা, কক্সবাজার।
১৯৬৪ - মানিকগঞ্জের একটি গ্রাম্য মেলা।
১৯৬৪ - ঢাকা নিউ মার্কেট। Sico Photographers। দোকান নংঃ 419/a, সম্ভবত এখনো আছে।
১৯৬৪ - জিয়া বিমানবন্দর এলাকা, তখনকার সময়ে মানুষ সেখানে পিকনিক করতে যেত।
১৯৬৫ - ঢাকার একটি বিয়ের অনুষ্ঠান।
১৯৬৫ - সুন্দরবন, খুলনা।
১৯৬৫ - চার বান্ধবী মিলে শিকারে বের হয়েছেন। ( আমাদের নানি দাদিরা এত স্মার্ট ছিল?? )
১৯৬৬ - বুড়িগঙ্গা নদী, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ।
১৯৬৬ - বুড়িগঙ্গা নদী, সদরঘাট, ঢাকা।
১৯৬৬ - গাবতলি হাট, মিরপুর, ঢাকা।
১৯৬৬ - ঢাকার রাস্তায় প্রথমবারের মত Bedford কোম্পানির বাস নামানো হয়।
১৯৬৮ - বিয়ের সাজে শেখ হাসিনা।
১৯৭০ - জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।
১৯৭০ - পদ্মায় স্নান করছেন এক নারী।
১৯৭০ - ঢাকার রাস্তায় বেবিট্যাক্সি।
১৯৭১ - প্রশিক্ষণ শেষে শপথ নিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
১৯৭১ - পলাশ আলম- কনিষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ - এক রাজাকারের বাচ্চা খাসি রেডি করছে পাকিদের খাওয়ানোর জন্য।
১৯৭১ - মুক্তিবাহিনির হাতে আটক একদল রাজাকার।
১৯৭১ - দুই পাকি অফিসারকে হত্যা করা হচ্ছে।
১৯৭১ - হার্ডিঞ্জ ব্রিজ উড়িয়ে দিয়েছে পাক বাহিনি।
১৯৭১ - নিহত সঙ্গীর মরদেহ নিয়ে ক্যাম্পে ফিরছে এক মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ - বীরাঙ্গনা শাহানা,
আমার এই মাকে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন করে পাকসেনারা।
উদ্ধারের কিছুদিন পর তিনি আত্মহত্যা করেন।
১৯৭১ - যুদ্ধ শেষে নিজ গ্রামে ফিরছে এক মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ - কাদেরিয়া বাহিনির হাতে নিহত রাজাকারদের লাশ পড়ে আছে।
১৯৭১ - কাদেরিয়া বাহিনির প্রধান ২৭ বছর বয়সী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি।
১৯৭১ - যুদ্ধ শেষে ঘরে ফিরছেন দুই নারী মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ - আত্মসমর্পণের পর মিত্রবাহিনির সম্মানে এক ভোজসভা দেয় পাকিরা।
সেখানে বিবিসির সাংবাদিকের সাথে পাকিস্তানি জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি এবং ইন্ডিয়ান জেনারেল ফেড্রিক রালফ জেকব।
১৯৭১ - দেশ স্বাধীন হয়েছে জেনে আবেগপ্রবন হয়ে পরলেন এক মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ - দেশ স্বাধীন হবার পর আতংকিত পাকিস্তানি বিহারিরা আশ্রয় নেয় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টে।
তাদের পাকিস্তানি বাবারা তাদের গ্রহন করেনি। তাই ৭১ সালের ধর্ষক আর হত্যাকারী এই নরপশুরা এখনও পচে মরছে জেনেভা ক্যাম্প নামক বস্তিতে ।
১৯৭১ - স্বাধীন বাংলাদেশে জনতার রোষের হাত থেকে বাঁচতে মিত্রবাহিনীর কাঁটাতারের বেড়ার ভেতর বন্দি পাকসেনারা।
১৯৭১ - ১৭ ডিসেম্বর,ঢাকা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সকাল।
১৯৭১ - ১৭ ডিসেম্বর, স্বাধীন বাংলাদেশে বিটিভির সর্বপ্রথম সম্প্রচার।
১৯৭১ - ১৮ ডিসেম্বর, দেশ স্বাধীন হওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানিয়ে মোনাজাত করে লাখো বাঙালি।
১৯৭২ - যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশে ত্রানের জন্য অপেক্ষারত শিশুরা।
তেজগাঁও বিমানবন্দর, ঢাকা।
১৯৭২ - গোপালগঞ্জ পোস্টঅফিসে নতুন দেশের নতুন পতাকা উত্তোলন করছেন পোস্টমাস্টার।
১৯৭২ - প্রথম বই মেলা, আন্তর্জাতিক গ্রন্থবর্ষ ১৯৭২ উপলক্ষে ন্যাশনাল বুক সেন্টার বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে এই মেলার আয়োজন করে।
তখন এর নাম ছিল ঢাকা আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলা।
১৯৭২ - ঢাকার একটি কাঁচাবাজার।
১৯৭২ - স্বাধীন দেশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান।
১৯৭২ - তুরাগ নদী।
১৯৭৩ - ক্যামেরা, বাংলাদেশের প্রথম ফটোগ্রাফি ম্যাগাজিন।
১৯৭৪ - হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টের (বর্তমান রূপসী বাংলা) ভেতরের দৃশ্য।
১৯৭৫ - ঢাকা আহসান মঞ্জিল থেকে তোলা বুড়িগঙ্গা নদীর দৃশ্য।
১৯৭৫ - ঢাকার রাজপথ।
১৯৭৫ - আমিন বাজার, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক।
১৯৭৫ - সংসদ ভবনের সামনে সেনাবাহিনীর টহল।
১৯৭৬ - দৈনিক বাংলা মোড়, ঢাকা।
১৯৭৬ - আহসান মঞ্জিলের সামনের বস্তি।
১৯৭৮ - কক্সবাজার শহরের একটি কাঁচা বাজার।
১৯৭৯ - ঢাকা প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের নির্মাণকাজ চলছে।
১৯৭৯ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে "অপরাজেয় বাংলা" ভাস্কর্য নির্মাণ করছেন শিল্পী সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ।
১৯৮০ - ঢাকা এফডিসি তে একটি ছবির শুটিং চলছে।
১৯৮০ - কমলাপুর রেলস্টেশন।
১৯৮০ - মতিঝিল শাপলা চত্বর।
১৯৮০ - ঢাকার রাস্তায় লোকাল বাস (মুড়ির টিন নামেও ডাকা হয়)।
১৯৮০ - Rockstrata, বাংলাদেশের প্রথম হেভি মেটাল ব্যান্ড।
১৯৮০ - নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাট।
১৯৮১ - ছয় বছর প্রবাস বাসের পর দেশে ফিরে মধুমতি নদে নৌভ্রমণরত শেখ হাসিনা।
১৯৮২ - ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইনের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি যোদ্ধারা।
১৯৮৬ - এক জোড়া কলসি এক জোড়া বাচ্চা !!
১৯৯১ - কুতুবদিয়া দ্বীপে ভয়াবহ সাইক্লোনে সর্বস্ব হারানো মানুষ হেলিকপ্টার থেকে ফেলা পাউরুটির জন্য ছুটছে।
১৯৯৪ - বাংলাদেশে প্রথম এটিএম (ATM) মেশিন চালু করে ষ্ট্যাণ্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
১৯৯৮ - পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার নৌকা।
১৯৯৯ - আইসিসি ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সম্বর্ধনা দেয় জনগন।
২০০০ - ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ।
২০০৬ - প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ড. মোহাম্মাদ ইউনুস নোবেল পুরস্কার পান।
২০০৭ - সাইক্লোন সিডরের আঘাতে তছনছ হয়ে যায় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জনপদ।
২০০৯ - পিলখানায় বিদ্রোহ করে বাংলাদেশ বিডিআর।
২০১১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ।
২০১৩ - সাভারে রানা প্লাজায় ভবন ধসে ১১২৯ জন কর্মী মারা যায়।
২০১৩ - শাহবাগে লাখো মানুষ একত্রিত হয় যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবিতে।
-
সকল ছবির কপিরাইট হোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাদের এই অসাধারণ দেশের অসাধারণ কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
বাংলাদেশের ইতিহাসের উপর আমার এই সামান্য প্রচেষ্টাটি যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকে তাহলে আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
সামনে দুর্লভ আলোকচিত্রের আরেকটি পর্ব নিয়ে আসছি।
আশা করছি আপনাদের সবাইকে তখনো পাশে পাব।
সবাই ভাল থাকবেন, এবং অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।