খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার অনুসারীরা আজ সন্ধ্যায় মঞ্জরুল আলম নান্নু (৪০) নামের এক আইনজীবীকে পিটিয়ে আহত করেছে।
হামলাকারীরা আইনজীবীর সঙ্গে থাকা রসুল (৩০) ও ইব্রাহীম (৩১) নামের দুই ব্যক্তিকেও পিটিয়ে আহত করে। আহত আইনজীবী নান্নু কয়রা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দক্ষিণ বেতকাশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
জানা যায়, আজ সন্ধ্যায় অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল আলম নান্নু তার পরিচিত রসুল ও ইব্রাহীমের সঙ্গে একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলো। এসময় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০/১২ জন যুবক তাদের উপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা আইনজীবী নান্নুকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। তাদের বাধা দিতে গেলে রসুল ও ইব্রাহীমকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। লোকজন এগিয়ে এলে ছাত্রলীগ নেতা বাহারুল দলবল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুরুতর আহত আইনজীবী নান্নুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার আবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে।
কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম বলেন, নান্নুকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাত লাগায় অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা ইব্রাহীম নামের এক মটর সাইকেল চালককে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
কয়রা থানার ওসি সুবীর দত্ত বলেন, একটি মিথ্যা মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা বাহারুল আইনজীবী নান্নুকে চড় থাপ্পড় মেরেছে।
পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা এসএম বাহারুল ইসলাম এর আগে স্থানীয় দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছিলো।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।