১৫ মার্চ সদর ও মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে এ দুটি উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীরা ভোটের হিসাব-নিকাশ করলেও আওয়ামী লীগ আক্রান্ত আছে বিদ্রোহী জ্বরে। যে কারণে আওয়ামী লীগের এ দুটি ঘাঁটি এবার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করছেন দলটির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। নেত্রকোনা সদরে বিএনপি থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবর রহমান ও আওয়ামী লীগ থেকে কামরুল ইসলাম শাহীন দোয়াত এবং বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ওমর ফারুক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে মোহনগঞ্জে বিএনপি থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ ক ম শফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক পৌর মেয়র, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন এবং সাবেক উপজেলা চেয়াররম্যান শহীদ ইকবাল বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির একজন হলেও আওয়ামী লীগের রয়েছেন তিনজন।
মেঘনা ও তিতাসে উৎসবের আমেজ : ১৫ মার্চ তিতাস ও ২৩ মার্চ মেঘনা উপজেলা নির্বাচন। এ দুই উপজেলায় এখন উৎসবের আমেজ। মেঘনায় চেয়ারম্যান পদে আট প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তবে ত্রিমুখী হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ভোটাররা ধারণা করছেন। তারা হলেন বিএনপির বিদ্রোহী রমিজউদ্দিন লন্ডনী, স্বতন্ত্র শিক্ষানুরাগী মোস্তাফিজুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফারুক আব্বাসী।
তিতাস উপজেলায় বিএনপির একক প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন সরকার ও বর্তমান চেয়ারম্যান পারভেজের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিনের পক্ষ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, জেলা বিএনপির নেতা ও উপজেলা জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। এদিকে মেঘনার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলার ১৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েনের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রমিজ উদ্দিনের পক্ষেও দলের সিনিয়র নেতারাসহ মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা প্রচারে নামায় তার অবস্থান ভালো বলে জানা যায়।
বাগেরহাটে শতাধিক নেতা-কর্মী হামলার শিকার দাবি বিএনপির : বাগেরহাটে সরকারদলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
১৫ মার্চ জেলার পাঁচ উপজেলায় নির্বাচন। গতকাল দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম দাবি করেন, গত কয়েক দিনে জেলা বিএনপির সদস্য নাজমুল হুদা, ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান, প্রভাষক ইসমাইল হোসেন, খেগড়াঘাট বাজারের বিএনপি নেতা খোকন, বারুইপাড়ার শেখ জিয়াউর রহমান, শ্রীঘাটের জামায়াত কর্মী আজমল হোসেন, কবির খান, মতিয়ার রহমান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মংলার শহিদসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে মারধর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাফ্ফর রহমান আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ নাসির আহম্মেদ মালেক, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি কাজী গোলাম মোস্তফা লাবলু, শেখ শাহেদ আলী রবি, মেহেবুবুল হক কিশোর প্রমুখ।
সাদুল্যাপুরে বিদ্রোহী প্রার্থীকে জেপির সমর্থন মহাজোটভুক্ত জাতীয় পার্টি-জেপি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম এ ওয়াহেদকে (ঘোড়া) আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়েছে। এরই মধ্যে জেলা ও উপজেলা জেপি নেতারা মাঠে তার পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ নিয়ে জেলা জেপির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলে করিম পল্লব বলেন, মহাজোট সমর্থিত আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাহারিয়া খানের পক্ষ থেকে তার দলের নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন করায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে মো. আকতারুজ্জামান সরদার মাসুদকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে জেলা বিএনপি।
[প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।