"বাংলাদেশ"। ছাপ্পান হাজার বর্গমাইলের ছোট্ট একটি বদ্বীপ। ষোল কোটি মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। আমাদের দেশ ছোট হতে পারে কিন্তু আমাদের ইতিহাস কম সমৃদ্ধ নয়, কম গৌরোবজ্জ্বল নয়। অগণিত জ্ঞানী-গুণীর জন্ম দিয়েছে রত্নগর্ভা এই দেশ।
অগণিত শহীদের রক্তের বিনিময়ে, মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এসেছে আমাদের স্বাধীনতা। এসবই স্বাধীনতার আগের কথা। স্বাধীনতার পরে আমাদের সবচেয়ে গর্বের জিনিস সম্ভবত "ক্রিকেট"।
বাংলাদেশের জন্মের পর "ক্রিকেট" সেই অল্প কয়েকটি শব্দের একটি যা নিয়ে আমরা সবাই একসাথে সব বিরোধিতা ভুলে গর্ব করতে পারি। ক্রিকেট আমাদের কাছে শুধুই একটি খেলা নয়, ক্রিকেট আমাদের কাছে এক "মহাকাব্য", যে মহাকাব্য আমাদের হাসায়, কাঁদায়, জাত-ধর্ম, দলাদলির ভেদাভেদ ভুলিয়ে দেয়।
ক্রিকেট নামের মহাকাব্য আমাদের সবাইকে এক কাতারে এসে উৎসবের সুযোগ করে দেয়। এই মহাকাব্যই বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তিকে সবচেয়ে উজ্জ্বল করে তুলে ধরে।
মনে পড়ে ১৯৯৭ সালের কেনিয়াকে হারানোর কথা। ১৯৯৯ সালের পাকিস্তান বধের পর সারাদেশকে খুশি আর ভালবাসার এক অদ্ভুত মিষ্টি আবরণে মুড়ে দেওয়ার কথার। তারপর সেই সাফল্যের হাত ধরে ধীরে ধীরে ২০০৪-এ ভারতবধ।
২০০৫-এ প্রথম টেস্ট জয়। তারপর ২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৩ সালে বেশকিছু মহাকাব্যিক জয়ের মধ্য দিয়ে সারা দেশকে খুশির আবিরে রাঙিয়ে ধীরে ধীরে ক্রিকেটবিশ্বের অন্যান্য দলের সম্মান আদায় করে নেয়ার ইতিহাস-এসবই সবার জানা কথা। তারপরও বলতে হচ্ছে, কারণ সাম্প্রতিক কিছু ম্যাচের কারণে।
২০১৪ সালে এরই মাঝে আমাদের টাইগাররা বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ফেলেছে, যদিও এখনো পর্যন্ত কোন জয় পায়নি। আর তাতেই একেবারে গেল, গেল রব উঠেছে।
বেশ কিছু ক্রিকেটারকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যও এসেছে। কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, দুই-একটি ম্যাচ বাদে বাকি সব ম্যাচেই জয়টা আমাদেরই প্রাপ্য ছিল, কিন্তু ছোটখাট কিছু ভুল এবং দুর্ভাগ্যের জন্য আমরা জয় পাইনি। আমরা আশা করি গত কিছু ম্যাচের ছোটখাট ভুল শুধরে আমরা আবার জয়ের ধারায় ফিরে আসব। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে এসব ভুল শুধরানোর কোন বিকল্প নেই। আমা আশায় বুক বেঁধে আছি সব ভুল-ত্রুটি শুধরে ঠান্ডা মাথায় খেলে আমাদের টাইগাররা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে সারা বাংলাদেশকে উৎসবের এক সুতোয় বেঁধে দেবে।
টাইগারদের বলছি, আমরা আছি তোমাদের সাথে। তোমাদের পিছনে না, সামনে না, তোমাদের ঠিক পাশে আছি তোমাদের সাফল্য-ব্যর্থতার, সুখ-দুঃখের ভাগীদার হতে। আমরা শুধু তোমাদের সাফল্যেরই সাথী নই, আমরা তোমাদের ব্যর্থতারও ভাগীদার। আমরা শুধু সুসময়েরই সাথী নই, আমরা তোমাদের দুঃখের দিনেরও রাহী আমরা। মাঠে শুধু তোমরা এগারজনই খেলবে না, তোমাদের সাথে খেলবে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল।
তোমাদের সাথে সাথে খেলবে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি ধূলিকণা, তোমাদের সাথে খেলব আমরা ষোল কোটি মানুষ; মনে রেখ-"আমরা ষোল কোটি"। টাইগারদের বলছি, তোমরা শুধু তোমরা নও, তোমরা মানে আমরাও। তোমাদের স্বপ্নের সাথে আজ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে ষোল কোটি বাঙালির স্বপ্ন। তাই আরেকবার তোমারা গর্জে উঠো ভূলোক, দ্যুলোক এক করে। তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছি আমাদের স্বপ্নের, আমাদের সম্মানের ঝান্ডা।
আমাদের বিশ্বাস সেই ঝান্ডা বইবার ক্ষমতা তোমাদের আছে কারণ, "তোমরা শুধু তোমরা নও, তোমরা মানে আমরা ষোল কোটি, তোমরা মানে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল। " তোমাদের অপেক্ষায় আজ সারা বাংলাদেশ।
"বাংলাদেশ"। ছাপ্পান হাজার বর্গমাইলের ছোট্ট একটি বদ্বীপ। ষোল কোটি মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে যুগের পর যুগ ধরে।
আমাদের দেশ ছোট হতে পারে কিন্তু আমাদের ইতিহাস কম সমৃদ্ধ নয়, কম গৌরোবজ্জ্বল নয়। অগণিত জ্ঞানী-গুণীর জন্ম দিয়েছে রত্নগর্ভা এই দেশ। অগণিত শহীদের রক্তের বিনিময়ে, মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এসেছে আমাদের স্বাধীনতা। এসবই স্বাধীনতার আগের কথা। স্বাধীনতার পরে আমাদের সবচেয়ে গর্বের জিনিস সম্ভবত "ক্রিকেট"।
বাংলাদেশের জন্মের পর "ক্রিকেট" সেই অল্প কয়েকটি শব্দের একটি যা নিয়ে আমরা সবাই একসাথে সব বিরোধিতা ভুলে গর্ব করতে পারি। ক্রিকেট আমাদের কাছে শুধুই একটি খেলা নয়, ক্রিকেট আমাদের কাছে এক "মহাকাব্য", যে মহাকাব্য আমাদের হাসায়, কাঁদায়, জাত-ধর্ম, দলাদলির ভেদাভেদ ভুলিয়ে দেয়। ক্রিকেট নামের মহাকাব্য আমাদের সবাইকে এক কাতারে এসে উৎসবের সুযোগ করে দেয়। এই মহাকাব্যই বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তিকে সবচেয়ে উজ্জ্বল করে তুলে ধরে।
মনে পড়ে ১৯৯৭ সালের কেনিয়াকে হারানোর কথা।
১৯৯৯ সালের পাকিস্তান বধের পর সারাদেশকে খুশি আর ভালবাসার এক অদ্ভুত মিষ্টি আবরণে মুড়ে দেওয়ার কথার। তারপর সেই সাফল্যের হাত ধরে ধীরে ধীরে ২০০৪-এ ভারতবধ। ২০০৫-এ প্রথম টেস্ট জয়। তারপর ২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৩ সালে বেশকিছু মহাকাব্যিক জয়ের মধ্য দিয়ে সারা দেশকে খুশির আবিরে রাঙিয়ে ধীরে ধীরে ক্রিকেটবিশ্বের অন্যান্য দলের সম্মান আদায় করে নেয়ার ইতিহাস-এসবই সবার জানা কথা। তারপরও বলতে হচ্ছে, কারণ সাম্প্রতিক কিছু ম্যাচের কারণে।
২০১৪ সালে এরই মাঝে আমাদের টাইগাররা বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ফেলেছে, যদিও এখনো পর্যন্ত কোন জয় পায়নি। আর তাতেই একেবারে গেল, গেল রব উঠেছে। বেশ কিছু ক্রিকেটারকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যও এসেছে। কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, দুই-একটি ম্যাচ বাদে বাকি সব ম্যাচেই জয়টা আমাদেরই প্রাপ্য ছিল, কিন্তু ছোটখাট কিছু ভুল এবং দুর্ভাগ্যের জন্য আমরা জয় পাইনি। আমরা আশা করি গত কিছু ম্যাচের ছোটখাট ভুল শুধরে আমরা আবার জয়ের ধারায় ফিরে আসব।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে এসব ভুল শুধরানোর কোন বিকল্প নেই। আমা আশায় বুক বেঁধে আছি সব ভুল-ত্রুটি শুধরে ঠান্ডা মাথায় খেলে আমাদের টাইগাররা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে সারা বাংলাদেশকে উৎসবের এক সুতোয় বেঁধে দেবে।
টাইগারদের বলছি, আমরা আছি তোমাদের সাথে। তোমাদের পিছনে না, সামনে না, তোমাদের ঠিক পাশে আছি তোমাদের সাফল্য-ব্যর্থতার, সুখ-দুঃখের ভাগীদার হতে। আমরা শুধু তোমাদের সাফল্যেরই সাথী নই, আমরা তোমাদের ব্যর্থতারও ভাগীদার।
আমরা শুধু সুসময়েরই সাথী নই, আমরা তোমাদের দুঃখের দিনেরও রাহী আমরা। মাঠে শুধু তোমরা এগারজনই খেলবে না, তোমাদের সাথে খেলবে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল। তোমাদের সাথে সাথে খেলবে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি ধূলিকণা, তোমাদের সাথে খেলব আমরা ষোল কোটি মানুষ; মনে রেখ-"আমরা ষোল কোটি"। টাইগারদের বলছি, তোমরা শুধু তোমরা নও, তোমরা মানে আমরাও। তোমাদের স্বপ্নের সাথে আজ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে ষোল কোটি বাঙালির স্বপ্ন।
তাই আরেকবার তোমারা গর্জে উঠো ভূলোক, দ্যুলোক এক করে। তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছি আমাদের স্বপ্নের, আমাদের সম্মানের ঝান্ডা। আমাদের বিশ্বাস সেই ঝান্ডা বইবার ক্ষমতা তোমাদের আছে কারণ, "তোমরা শুধু তোমরা নও, তোমরা মানে আমরা ষোল কোটি, তোমরা মানে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল। " তোমাদের অপেক্ষায় আজ সারা বাংলাদেশ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।