নির্বাক ঠিক ঐ কেটে ফেলা পালকের পাখীর মত দু চোখ দিয়ে ঠিকরে বেরোয় জীবনের প্রতি অথবা জন্মানোয় প্রবল ঘৃনা
ব্রক্ষ্মার আদেশে প্রথমবারের মতো কৃষ্ণর কাছে নিজেকে সমর্পণ করলো রাধা। সারারাত কামসূত্রের চৌষট্টি কলা প্রয়োগ করলেন কৃষ্ণ। আবেগাপ্লুত অবস্থায় কৃষ্ণর দাঁত ও নখের আঁচড়ে এবং শ্রী রাধার কুমারিত্ব খণ্ডনে রাধা এমন লালে লাল হলেন যে, সকালে লজ্জায় আর বাইরে বেরোতে পারছিলেন না।
সমস্যার সমাধানকল্পে কৃষ্ণ তার অনুসারীদের রঙ দিয়ে খেলার নির্দেশ দিলেন। সবাই যখন রঙে রঞ্জিত তখনই রাধা রক্তাক্ত কাপড় নিয়ে বাইরে বের হয়ে এলেন এবং বাড়ি ফিরলেন।
এই হলো হোলির ইতিহাস।
কেনো জানি না, আজ আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডদের অনেককেই দেখছি রঙ নিয়ে হোলি খেলায় মেতে ছিলেন। লাল রঙে রঞ্জিত হয়ে অনেকে ছবিও পোস্ট করেছেন। জানি না তারা কোন লজ্জা ঢাকবার জন্য এই রঙ নিজে মেখেছেন, অন্যকে মাখিয়েছেন।
“ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” - দয়া করে কেউ এই ডায়ালগ মাইরেন না।
আমি সাম্প্রদায়িক না। খালি উৎসব পালন করলেই অসাম্প্রদায়িক হয় না। অন্য ধর্ম যখন “শিব লিঙ্গ” পূজা করে তখন কেনো আপনি পূজা করতে যান না? কেনো ওই উৎসব আপনার হয় না? কিংবা আপনি যখন গরু জবাই করে ঈদ উৎসব পালন করেন তখন কেনো অন্য ধর্মের সবাই গরু কুরবানী দিয়ে সেই উৎসবকে নিজের করে নেয় না? মহররমের দিন কেনো গায়ে ছুরি মেরে শোক পালন করে না? এটাও তো আমাদের উৎসব।
বেছে বেছে যেটা আপনার মন মতো হয়, ভালো লাগে সেদিন “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার”, আর ভালো না লাগলে “ধর্ম যার যার, উৎসব তার তার” – এই মনোভাব ত্যাগ করেন।
নিজের ধর্ম পালন করেন।
না পারলে চুপ থাকেন। অন্য ধর্মের উৎসব নিয়া আজাইরা আদিখ্যেতা দেখানোর দরকার নাই।
.
কৃতজ্ঞতায়ঃ সাইফ বিন আইয়ুব ভাই (সাংবাদিক)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।