তাজউদ্দীন আহমেদ ( আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক) ছিলেন ১৯৭০ এর নির্বাচনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়কারী এবং নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী । তাজউদ্দিন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'আমি সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালির স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা হলো : একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার জন্য কাজ শুরু করা৷'' স্বাধীন বাংলাদেশের তিনি ছিলেন অর্থমন্ত্রী । পরবর্তীতে একদলীয় বাকশাল গঠনের বিরোধিতা করায় ১৯৭৪ সালে জনাব তাজুদ্দিন আহমেদ সাহেবকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আজ আওয়ামীলিগের নেতা কর্মীরা সজিব ওয়াজেদ জয় কিম্বা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের শশুর শাশুরীর নাম জানলেও তাঁদের নিজেদের দলের এই মহান নেতার নাম স্বপ্নেও স্বরন করেন না , শেখ হাসিনা আর তাঁর বংশধরদের বাংলাদেশের স্বাধিনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ধারক বাহক বলে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। বাংলাদেশের অর্জিত স্বাধীনতা কারো একক দয়া আর দাক্ষিণ্যে নয়, এটা আমাদের সকলের ঐকান্তিক অর্জন । আওয়ামীলীগ তাঁদের নেতা জনাব শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলেন, ভালো কথা, কিন্তু জনাব শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তানে জেলে বন্দি, সেই ৯ মাস জনাব তাজউদ্দিন সাহেবরা অস্থায়ী সরকার চালিয়েছিলেন, তাজউদ্দীন সাহেব সহ তাঁদের কি কি খেতাব দিলেন? বরঞ্চ মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিলেন, কারোন উনি বাকশাল নামের স্বৈর শাসনের প্রতিবাদ করেছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তো তাঁদের নেতাদেরই সন্মান জানানোর ভদ্রতা শিখেন নাই, তাঁদের কাছ থেকে ভদ্রতা আশা করা আর অন্ধকার লোডশেডিং এ কোনো সুন্দরি তরুনীকে চোখ মারার প্রানপন চেষ্টা করা সেই বোকা প্রেমিকটার মতই স্টুপিডিটি। ( তারিক রানা, পূর্ব লন্ডন ১৮ই মার্চ ২০১৪)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।