বাংলাদেশে জঙ্গি হুমকি শুধু আমাদের দেশের প্রেক্ষিত থেকে দেখলেই হবে না- বৈশ্বিক প্রেক্ষিত থেকেও দেখতে হবে। আমরা কালো তালিকা থেকে বেরিয়ে আসলাম কীভাবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে কতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিল। জঙ্গি দমন আইন বাস্তবায়ন করেছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে সিকিউরিটি ক্লোস-৬৭ একটা এসআরও করেছে। এ তালিকায় স্বীকৃত জঙ্গি ও জঙ্গি সংগঠনের একটি স্বীকৃত তালিকা।
২৯ নভেম্বর ২০১২ তারিখের বাংলাদেশের এসআরওএটির সেই তালিকা এখন তালিকায় নাম আছে আয়মান মোহাম্মদ রিজভী আল সাহারি। এটার ভিত্তিতে সন্ত্রাস দমন আইন সেখানে জাতিসংঘ বলেছে এই তালিকায় কারও সঙ্গে যদি কোনো সম্পর্ক থাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সেখানে বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে সরাসরি অ্যাকশন নিতে পারে। কালো তালিকা থেকে সরে এখন আমাদের সাদা তালিকার দিকে যেতে হবে। সেখানে আমাদের দেখতে হবে আমরা যেই আইন করেছি সেটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন, সেটাকে বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি বাস্তবায়ন না করি তবে একই ধরনের একটা প্রতিক্রিয়া হবে- আমাদের সে আইন যথোপযুক্ত নয়।
যা-ই করতে চাই না কেন সেটা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত হতে হবে। সেভাবে না এগোলে বিপদ আছে। তা হলো, বলা হতে পারে রাষ্ট্র হিসেবে আমরা সন্ত্রাসকে মদদ দিচ্ছি কিনা। একটা গঠন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে জঙ্গি দমন কাজ না করতে পারলে সমস্যা আছে। তখন আবার কালো তালিকার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা হবে।
সামনে যেদিকে আমাদের গন্তব্য স্থান, এসব কিছু বিবেচনা করে আমাদের এগোতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।