আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জঙ্গিবাদের জুজু ও মুসলমানদের অসহায়ত্ব

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য রইল শুভ কামনা ইসরাইলের প্রতিটি নর-নারীর জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা বাধ্যতামুলক। কেউ এটাকে এড়িয়ে যেতে পারবেনা। যদি গুগলে সার্চ দেন তাহলে দেখবেন, তারা ছোট ছোট শিশুদের বন্দুক চালানো শিখাচ্ছে। তাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তারা বলবে আত্মরক্ষার্থেই এই শিশুদেরকে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এটি কিন্তু বিশ্ব মিডিয়ার মতে কোন সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড নয়, এটি বৈধ।

কিন্তু যখন ফিলিস্তিনিরা বন্দুক হাতে নিয়ে মিছিল করার চেষ্টা করে তা সম্পূর্ণ অবৈধ, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড। পৃথিবীর সব দেশেই পাশ্চাত্য পন্থী মিডিয়ার কারনে এই ধারনাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে যে, কোন মুসলিমের হাতে অস্ত্র থাকলেই সে সন্ত্রাসবাদী, জঙ্গি। নিজের প্রাণ রক্ষার্থেও অস্ত্র হাতে নেয়ার যোগ্যতা তার নেই। হযরত উমর (রা) বলেছিলেন,- তোমরা তিনটি জিনিস তোমাদের সন্তানদের শেখাও। তীর ধনুক চালানো, সাতার কাঁটা এবং ঘোড় সওয়ারি।

তীর-ধনুক চালানোকে যদি আমরা আজকের বন্দুক চালানোর সাথে তুলনা করি এবং ঘোড় সওয়ারিকে গাড়ি অথবা মোটর সাইকেল চালানোর সাথে। তাহলে তিনটি জিনিস শেখা মোটামুটি জরুরী- গাড়ি/মোটর সাইকেল চালানো শেখা, সাতার কাটা শেখা এবং বন্দুক চালানো শেখা। দুঃখ জনক হলো আমাদের বেশিরভাগ সন্তানেরা এসবের ধারের কাছেও নেই। আলালের ঘরের দুলালেরা তো সাতার টুকুও কাটতে জানেনা। মোটরসাইকেল কেউ কেউ চালানো জানলেও গাড়ি চালানোতে বেশিরভাগই অপারদর্শী।

আর বন্দুকের চেহারাতো আমরা অনেকেই সচক্ষে দেখিনি। অনেকে হয়তোবা আমার এই পোস্টটিকে আড়চোখে দেখতে পারেন। কিন্তু এটাই বাস্তব। অমুসলিমরা ঠিকই তাদের সন্তানদের সব ধরনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কিন্তু মুসলমানরা তা করতে গেলেই দোষ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.