ছোটবেলায় কোন বইতে জানি পরেছিলাম মনে পরছে না,
রাতে মশা দিনে মাছি
এই নিয়ে কলকাতা আছি
এই দুই লাইনটুকুর সাথে আমি আবার নতুন কিছু লাইন যোগ করেছি।
দিনে ধুলো
রাতেও ধুলো
সর্বময় ধুলো
এই নিয়ে ঢাকা শহরে বেশ আছি।
সত্যি এই ধুলো বালির যন্ত্রণাতে এখন ঢাকা শহরে জীবনযাপন করাটাই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার কিছু অঞ্চলে যে হারে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে আর কাজ যে ভাবে ধীরগতিতে এগুচ্ছে মনে হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে পরকালের আগে এই কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ঢাকা শহর এখন অভিভাবকহীন হয়ে গেছে যে যার মত খুড়ে চলছে ।
কোথাও খুরছে সিটি কর্পোরেশন কোথাও বা তিতাস গ্যাস আবার কোথাও টিনটি আবার ফ্লাইওভার গুলোর কাজতো আছেই।
আমার অফিস রামপুরা হওয়াতে আমাকে প্রতিদিন মগবাজার হয়ে মৌচাক হয়ে রামপুরা অথবা কাওরানবাজার থেকে এফডিসি হয়ে হাতিরঝিলের উপর দিয়ে রামপুরা যেতে হয়। এই দুই জায়গাতে সরকারী ভাবে ফ্লাইওভার এর কাজ চলছে। কাজ চলুক তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই দেশের ও জাতির যত উন্নয়ন হবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গলদায়ক।
কিন্তু আমাদের সমস্যা অন্যখানে।
মগবাজার,মৌচাক,মালিবাগ থেকে হাতিরঝিল পর্যন্ত যে ফ্লাই ওভার হচ্ছে বা যারা কন্ট্রাক্ট এর কাজ পেয়েছেন তারা তাদের কাজ ঠিকমতো করে যাচ্ছেন। কিন্তু ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে সাধারণ জনগন। মানলাম দেশের উন্নয়নের জন্য যদি আমাদের কিছুটা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় তাতে আমাদের আপত্তি থাকার কথা নয়।
প্রথমত তাদের ভারী ভারী যন্ত্রপাতির টানাটানি করার কারনে রাস্তাগুলো ভেঙে এমন অবস্থা হয়েছে যখন তখন মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে সাধারন জনগন। রাস্তা গুলোর মধ্যে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে তার উপর এর মধ্যে পানি জমে থাকে।
মাননীয় সরকার তাদের কে টেন্ডার দিয়েছে ফ্লাই ওভার করার জন্য। যারা কাজ পেয়েছেন তাদের কাজের জন্য আজ রাস্তা গুলোর এই হাল। তাদের ব্যাক্তিগত উদ্যোগ এ রাস্তা গুলো অন্তত কিছুটা হলেও ঠিক করা উচিৎ আম জনতার কথা চিন্তা করে। আপনারা যারা প্রতিদিন এসব রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করেন তারা বুজতে পারেন যে রাস্তাগুলোর যে বেহাল অবস্থা করে রাখা হয়েছে। রাস্তার বেশীরভাগ জায়গাতে গর্ত হয়ে আছে।
সাধারণ জনগন যারা আমার মতো বাসে যাতায়ত করে তাদের শরীরের অবস্থার বর্ণনা বাদ দিলাম। আর এর সাথে আছে ধুলোবালি সাথে যত্রতত্র কন্সট্রাকশনের জিনিশপত্র এলোমেলো ভাবে ফালানো।
এসব রাস্তার আশেপাশে অনেক স্কুল বা কলেজ আছে অনেক বাচ্চারা প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। ফ্লাইওভার কতৃপক্ষ কি পারে না এই ধুলোবালির জন্য প্রতিদিন রাস্তাতে পানি দেওয়া বা রাস্তার যে অংশ ভেঙ্গে গেছে তা নিজ উদ্যোগে ঠিক করা। এছাড়া তারা যেসময় ড্রিল করে থাকেন তখন মাটির নিচ থেকে যে কাদাপানি উঠে আসে অনেক সময় তারা তাও পরিস্কার করেননা।
ফলে স্কুল বা অফিস যাওয়া মানুষের কাপর ময়লা হয়ে যাওয়া। এছাড়া গাড়ির চাক্কা পাংচারতো নিত্ত নৈমত্তিক ঘটনা।
ধুলোবালির কারনে স্কুলে পড়ুয়া বাচ্চারা বা বয়স্ক মানুষেরা নানারকম জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
বর্তমানে ঢাকার রাস্তার এখন দুটি রূপ। বিশ্বকাপ উপলক্ষে খেলোয়াড়গন যেসব রাস্তা ব্যাবহার করেন তার তুলনা নেই।
আর আম জনতা আমরা যারা এসব রাস্তা ব্যাবহার করি, তা নিয়ে তো এতখন বকর বকর করলাম।
যারা এই ফ্লাইওভার এর কাজে আছেন তারা দয়া করে একটু নজর দিবেন কি। টাকা কি জীবনের সব কিছু নাকি। মনুষ্যত্ব বলতেও তো কিছু আছে। আপনারা যদি নিজ উদ্যোগে রাস্তা কিছুটা হলেও ভালো রাখেন সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।