সেদিন দেখলাম এক দেবতাকে অন্যের ভাগ্র গণণা করতে, পথের ধূলোয় বসে, বিনিময়ে সে কিছুই চাইছে না, শুধু কয়েকটা টাকা।
আমি ভাবলাম সে নিশ্চয় নিজের ভাগ্য গণণা করেছে, কিন্তু কাউকে বলছে না... হ্যাঁ দেবতার মতো তারও কোন পরিবর্তন, উন্নতি বা অবনতি নেই। আর সেও দেবতার মতো চায় তাকে সবাই বিশ্বাস করুক, আর প্রসংসা করুক, আর কয়েকটা টাকা দিক।
অন্যর ভাগ্যের উন্নয়নে উপদেশ দিতে দিতে সে শুধু ধূলোয় নেমে এসেছে। কয়েকটা টাকা যেখানে পাওয়া যায় সেই ধুলোই তার স্বর্গ।
আর সেও জানে, জীবন দীর্ঘ। ভাবলাম, এইমাত্র যার ভাগ্য গণণা হলো তার সাথে ওই টিয়া পাখির যেমন সম্পর্ক, পৃথিবী, মানুষ আর ওই উর্ধ্বাকাশের প্রভুর সাথে এই ধুলোর দেবতার জীবনের সম্পর্কও তেমনি। এই পৃথিবী আর তার মাঝখানেও একটা টিয়া পাখি কোনোকিছু না জেনেই তার নিজের আচরণ করে চলেছে।
ওই যে লোকটি অধোমুখে চলে যাচ্ছে, আশ্বাসহীন, সামনের দিনগুলি তার কেমন যাবে সে জানতে এসেছিলো এই দেবতার কাছে। দেবতা বলেছেন, ফাঁড়া কেটে যাবে, চেষ্টা করো।
দেখলাম, দেবতা নিজেও ওই লোকটির প্রতিধ্বনি যেনো, দ্বিতীয়মূর্তি যেনো... । শুধু একজন ধূলোয় বসে আছে, আরেকজন ধুলো দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। দুজনেই জানে না পথ কোথায় যায়, আর পথ সামনে খোলা পড়ে থাকলেও হেঁটে চলা, ক্লান্তিহীনভাবে, কত কঠিন।
ধূলোর দেবতা টিয়ে পাখিকে বলছে, আমি তোর মতোই, তোরই প্রতিধ্বনি। জীবনকে অস্বীকার করতে না পারার অপরাধে তোর ডানায় ঘর থেকে বের হবার আগে রোজ একটা গোপন গিঁট দিয়ে দেই।
তোর উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আমাকে কেন এমন ভয় দেখায়, যে তোকেই বন্দি করে ফেলি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।