আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুরু হচ্ছে শীর্ষ দশের রোমাঞ্চ

মারকাটারি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যে রোমাঞ্চ, বড় দলের ম্যাচের যে উত্তেজনা— ‘বাছাইপর্ব’ হিসেবে বিবেচিত প্রথম পর্ব কী ঠিকভাবে সেটা উপহার দিতে পেরেছে? দম বন্ধ করা উত্তেজনা আর চার-ছক্কার সত্যিকারের রোমাঞ্চ দেখতে তাই ক্রিকেট বিশ্ব তাকিয়ে আছে শীর্ষ দশের লড়াইয়ের দিকেই।

প্রথম পর্বে দুই ম্যাচ জেতায় বাংলাদেশ দলকেও ওই রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাবে প্রায় নিশ্চিতভাবেই। নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপে আর দর্শক হয়ে থাকতে হবে না স্বাগতিকদের।

ক্রিকেট বিশ্বকে আবার চার-ছক্কার উৎসবে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি, যা শুরু হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। দর্শকদের টি-টোয়েন্টির নিখাদ বিনোদন দিতে এর চেয়ে ভালো লড়াই আর কী হতে পারে।



ম্যাচটি বিশ্বকাপের বলেই হয়তো ভারত খানিক স্বস্তিতে থাকতে পারে। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, কোনো বিশ্বকাপেই ভারত কখনো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে হারেনি। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম ভারতকে পিছিয়েই রাখছে। এশিয়া কাপে যে পাকিস্তানের কাছে হার মেনেছে তারা।

তবে এই জয়-পরাজয় নয়, ভারতের তাঁবুতে অস্বস্তি থাকার কথা তাদের উদ্বোধনী জুটি আর পেস বোলিং নিয়ে।

শিখর ধাওয়ান আর রোহিম শর্মার জুটিটা ঠিক যেন জমছে না। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই উদ্বোধনী জুটির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১.১ ওভার এবং ৩ রান। ১৯ রানের মধ্যেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানই সাজঘরে ফিরেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩.১ ওভার পর ১৫ রান করে ভেঙেছে উদ্বোধনী জুটি।

ভারতের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় ভরসা বিরাট কোহলি অবশ্য ফর্মেই আছেন।

আর চোট কাটিয়ে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ফেরাটাও ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে বাড়তি প্রেরণা দেবে।


তবে ভারতের পেস বোলিং বরাবরই হতাশা-ব্যঞ্জক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই পেসার ভুবেনেশ্বর কুমার ও মোহাম্মদ সামি মিলে ৫ ওভারে ৪৭ রান দিয়েছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে এ দুজন ৬ ওভারে দিয়েছেন ৫৬ রান।

অনেকেই বলছেন, ম্যাচটা হবে পাকিস্তানের বোলিং বনাম ভারতের ব্যাটিং।

তবে এটাও মনে রাখা দরকার পাকিস্তান দলে মোহাম্মদ হাফিজ, কামরান আকমল, উমর আকমল আর শহীদ আফ্রিদির মতো ব্যাটসম্যানও রয়েছেন। যাদেরকে আটকাতে একটু ভালো বল তো ভারতের বোলারদের করতেই হবে। আর না হলে এদের যে কেউ যেকোনো সময় ব্যাট হাতেই ম্যাচ ভারতের নাগালের বাইরে নিয়ে যেতে পারেন।

সবশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে অবশ্য পাকিস্তানের ব্যাটিং-বোলিং দুটোই ছিল হতাশাজনক। ডেল স্টেইনবিহীন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৭.৩ ওভারে মাত্র ৭১ রানে অলআউট হয়েছে তারা।

আর বোলাররা দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র দুটি উইকেট নিতে পেরেছে।



ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে অবশ্য এই সব পরিসংখ্যান আর ফর্ম-টর্মের বাইরেও একটা কথা থাকে। অন্যরকম একটা লড়াই থাকে। আর সেটা হচ্ছে স্নায়ু-যুদ্ধ। নির্দিষ্ট দিনে যে দলের খেলোয়াড়রা তাদের স্নায়ুর চাপটা সামলে রাখতে পারবেন, শেষ পর্যন্ত জয়ের পাল্লা তাদের দিকেই ঝুঁকবে।



অন্য সব দ্বৈরথের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলা যায়—প্রতিটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচই অন্যরকম এক লড়াই; ‘আসল’ বিশ্বকাপ শুরুর জন্য তা দারুণ এক বিজ্ঞাপনতো বটেই।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.