মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এক অনুষ্ঠানে মিজানুরের উপস্থিতিতেই তার রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক মন্ত্রী।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ‘ব্যবসা’ করার জন্য- মিজানুরের এমন বক্তব্যের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এমন মন্তব্য প্রকারান্তরে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষেই যায়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের এই অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিচার করতে সরকার ও রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত তোফায়েল ও নাসিমকে উদ্দেশ্য করে মিজান বলেন, “সরকারের কাছের ও প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর কাছে বলতে চাই, আমরা মানবাধিকার কমিশন থেকে যখন ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি তখন দেখেছি সংখ্যালঘু বাড়িতে ভাংচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হাতে গোনা কয়েকজনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হলেও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে কয়েকশ বা কয়েক হাজার।
“এটা দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য নয়, ব্যবসা করার জন্য এভাবে মামলা করা হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে এ ধরনের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। ”
এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তার বক্তব্যে বলেন, হামলার সঙ্গে কারা জড়িত এটা সবার কাছে স্পষ্ট।
“এইখানে একজন বক্তব্য দিয়ে চলে গেলেন, কিন্তু যারা সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেন না।
“কেন বললেন না? কারণ এরা হলো সেই শক্তির ধারক।
এরা তাদের খরচ যোগায়। ”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের ভাষায়, ধরনের বক্তব্য দিয়ে শুধু মাঠ গরম করা যায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদও তার বক্তব্যে মিজানের বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “এখানে একজন মন্ত্রীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের নামটি পর্যন্ত উল্লেখ করলেন না।
“এখানে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের বুদ্ধিজীবীদের পার্থক্য। তারা স্পষ্ট করে কথা বলেন না। যেটা প্রকারান্তরে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষেই যায়। ”
সংখ্যালঘু নির্যাতনে জড়িতদের সরকার বিচারের আওতায় আনবে বলেও আশ্বস্ত করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য।
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কানুতোষ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বক্তব্য দেন।
এর আগে বেলুন উড়িয়ে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যমত সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর মথেকে একটি শোভাযাত্রা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গিয়ে শেষ হয়। বিকালে সেখানে বসবে কাউন্সিল অধিবেশন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।