আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আন্দোলন আর অনিশ্চয়তার প্রভাব শাবির ভর্তি পরীক্ষায়

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি নিজে ১১টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরিদর্শক সংখ্যা ছিল প্রায় সমান। ”

বার বার তারিখ পরিবর্তন আর অনিশ্চয়তার কারণেই এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে বলে মনে করেন উপাচার্য। তবে সব প্রক্রিয়া শেষ করে এপ্রিলের মধ্যে ক্লাস শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়।

আর ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা হয় বিকাল ৩টা থেকে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সিলেট নগরীর ২২টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষকরা জানান, ‘এ’ ইউনিটে ৬০০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করলেও বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে অনেক কম।

উপাচার্য আমিনুল হক দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি যেসব কেন্দ্রে গেছেন, সেখানে ২০ থেকে ৭৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিল বলে জানতে পেরেছেন।

কতো শতাংশ আবেদনকারী এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, “এই মুহূর্তে বলা মুশকিল।

তবে শহরের কেন্দ্র গুলো থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপস্থিতির হার একটু বেশি ছিল। ”

তিনি বলেন, “পরীক্ষা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। তবে আরো উৎসবমুখর হতে পারত। ”

অনেক অনিশ্চয়তার পর ভর্তি পরীক্ষা হয়ে যাওয়ায় সিলেটবাসী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ,কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

হরতাল ডেকে পরে প্রত্যাহার করায় ইসলামী ছাত্রশিবিরকেও ধন্যবাদ জানান উপাচার্য ।

“এতকিছুর মাঝেও শেষ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত হতো। "

বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি নিয়ে এ বছর শাহজালাল এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে সমন্বিত পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিলেও সিলেটের একটি পক্ষের বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার পুরনো পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেয়া হয়।  

প্রথমে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ দেয়া হলেও ‘সচেতন সিলেটবাসী’ ব্যানারে একটি পক্ষের দাবির মুখে সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি বাতিল এবং ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী লাইফ সায়েন্স স্কুলের ডিন অধ্যাপক ইয়াসমীন হক পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এরপর শিক্ষার্থীদের পাল্টা আন্দোলনের মুখে গত ২৭ নভেম্বর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতি পুনর্বহাল করা হয় এবং দুই শিক্ষাক পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেন।

বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আবার বাতিল করা হয় বহু আলোচিত ‘সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতি’। নতুন করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২১ মার্চ।

মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘চেতনা ৭১’ এর নামফলক ভাংচুর এবং এর প্রতিবাদে মানববন্ধনে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিবির সভাপতিসহ ১৪ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ভর্তি পরীক্ষার দিন সিলেট বিভাগে হরতাল ও ১৮ মার্চ থেকে ক্যাম্পাসে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকে ছাত্রশিবির। পরীক্ষার মাত্র দুদিন আগে প্রত্যাহার করা হয় ওই কর্মসূচি।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.