তবে এ নিয়ম ভাঙলেও কোনো বিমানকে গুলি করে নামাতে পারবে না ব্রাজিলের সামরিক বাহিনী।
শুক্রবার বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারা সরকারের কাছে বিশ্বকাপ চলাকালে গুলি করে বিমান নামানোর আইন বদলানোর আবেদন করছে। কারণ, আইন অনুযায়ী নিয়ম ভাঙা বেসামরিক বিমান কেবল সীমানার কাছে মাদক চোরাচালানের পথেই গুলি করে নামানো যাবে; ঘনবসতিপূর্ণ নগর এলাকায় তা করা যাবে না।
ব্রাজিলের এয়ার ট্রাফিকের সামরিক প্রধান ব্রিগেডিয়ার আন্তোনিও কার্লোস এজিটো জানান, বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোর পাশে বিমান-বিধ্বংসী কামান বসানো হচ্ছে। কিন্তু আইন না পাল্টালে নো-ফ্লাই জোন দিয়ে ওড়া বিমানে গুলি ছোড়া যাবে না।
ব্রাজিলের বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, স্টেডিয়ামের চারপাশে ৭.২ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় নো-ফ্লাই জোন থাকায় খেলা চলার সময় আটটি বিমানবন্দরে বিমান উড্ডয়ন করতে পারলেও নামতে পারবে না। এই নিষেধাজ্ঞা ম্যাচ শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগে শুরু হয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকবে।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে প্রায় ৬ লাখ ফুটবলপ্রেমী বিভিন্ন দেশ থেকে ব্রাজিল আসবে। তারা আরো ৩০ লাখ ব্রাজিলিয়ানের সঙ্গে খেলা দেখতে এক শহর থেকে অন্য শহরে ভ্রমণ করবে।
বিমানবন্দরগুলোর উপর চাপ কমাতে চূড়ান্ত পর্বের ৩২টি দেশের ফুটবল দল ও ভিআইপি কমকর্তাদের বহন করা বিমানগুলো সামরিক বাহিনী তাদের বিমানঘাঁটি ব্যবহার করতে দেবে।
আগামী ১২ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ব্রাজিলের ১২টি শহরে হবে বিশ্বকাপের এবারের আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ফাইনাল হবে রিও ডি জেনেইরোর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।