আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেনাবাহিনীকে আগে বিচারিক ক্ষমতা দিলে সহিংসতা কম হতো

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন থেকেই সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, দেরিতে হলেও নির্বাচন কমিশনের বোধোদয় হয়েছে। প্রথম থেকেই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া। তাহলে হয়তো এত সহিংসতা হতো না। ভোট ও গণতন্ত্রের লড়াইয়ে জনগণকে প্রাণ হারাতে হতো না।

তার পরও আমরা আশা করি, চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। গতকাল বিকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ মন্তব্য করেন নবম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

আলাপচারিতায় সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ ও স্থিতিশীল গণতন্ত্র বজায় রাখতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে আসা উচিত। আওয়ামী লীগ যেহেতু ক্ষমতায় তাই দায় তাদেরই বেশি।

আমাদের যে দায় নেই তাও বলছি না। তবে আওয়ামী লীগকেই এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপির সঙ্গে সংলাপ-সমঝোতায় বসতে সরকারকেই ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। তাহলেই আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব। বিএনপির এই নেতা বলেন, তিন ধাপের সহিংস নির্বাচনে আজ্ঞাবহ কমিশনের ভূমিকায় জাতি হতাশ হয়েছে।

ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের কেন্দ্র দখল, জাল ভোটের মহোৎসবসহ নানা অনিয়ম দেখেও তারা ছিলেন নির্বিকার। এমনই এক পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অবকাশকালীন ছুটি কাটাচ্ছেন। তিনি নাকি অনেক ক্লান্ত-শ্রান্ত। বর্তমান নির্বাচন কমিশনাররা দেশব্যাপী সহিংসতায় নিহত হওয়ার ঘটনায়ও বলছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।

এটা জাতির সঙ্গে এক ধরনের রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল পদত্যাগ করা। দেশের বিভিন্ন উপজেলায় সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। যশোর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন- ভোটারদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের এজেন্টদের সামনে গিয়ে ভোট দিতে হবে।

নইলে হাতের আঙুল কেটে নেওয়া হবে। এর পরও নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংসদ নির্বাচনের আগে যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন- ক্ষমতাসীন দলের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না, উপজেলায় নির্দলীয় নির্বাচনেও তা প্রমাণিত হয়েছে। যদিও উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতার পরিবর্তন হয় না। তাতেও আওয়ামী লীগ তাদের পুরনো চেহারায় প্রকাশিত হয়েছে।

তাদের অধীনে সংসদ নির্বাচন কোনোভাবেই সুষ্ঠু হবে না।

বিএনপির আগামী দিনের সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, কৌশলগতভাবে আমরা কিছু দিনের জন্য কঠোর আন্দোলন থেকে বিরত রয়েছি। তবে এটা সাময়িক। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে দলের শীর্ষ নেতারা সরকারবিরোধী আন্দোলন ত্বরান্বিত করতে নতুন কৌশল নির্ধারণ করছেন। উপজেলা নির্বাচনের পর পরই নতুন আন্দোলন কর্মসূচি আসবে।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯-দলীয় জোট ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষকে সে আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.