আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শান্তি বর্ষিত হোক

আসসালামু আ:লাইকুম

আসসালামু আ:লাইকুম মানে অাপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি মুসলমান একে অন্যকে সালাম দিয়ে থাকেন। সালাম দেয়ার এই অভ্যাসটি এতো ব্যাপক যে এমনকি হিন্দু মুসলমানরা ও তাদের মুসলমান বন্ধুবান্ধবকে সালাম দিয়ে থাকেন।

তাশাহুদ এ আমরা পড়ি “আস-সালামু আ:লাইনা ওয়া আ:লা এবাদিল্লা হিস সলেহিন” মানে “সকল নেক/মুমিন বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত করুক”

তো এর মানে কি?

“সালাম” এর এতো গুরুত্ব কেন ইসলাম এ? প্রতিটি নামাজে ও আমরা তাশাহুদ এ সেই সালাম কেন দেই?

আমাদের জীবনে কি এর ব্যবহার আমরা করবো না? আমাদের চরিত্রে কি আমরা সেটা প্রকাশ করবো না? তার ও আগে আমরা যখন “সালাম” দেই একজনকে তখন তা কি আমি সত্যি সত্যি চিন্তা করবো না মনে মনে যে ওই ব্যাক্তির উপর আল্লাহ শান্তি বর্ষিত করুক?

খেয়াল করুন, একজন মা কখন মনে মনে অথবা প্রকাশে তার সন্তানকে “ভালো থাকার জন্য” বা “শান্তি পাবার জন্য” দোয়া করে থাকেন । কিভাবে একজন মা তার সন্তানের মুখে, মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে তাকে দোয়া করেন এবং কিভাবে সম্পূর্ণ অন্তর দিয়ে তার “ভালো” বা “শান্তি” বা “রহমত” কামনা করে থাকেন।

অথচ এই সালাম এর মানে তো তাই।

খেয়াল করুন, আপনি কিভাবে কত আদর করে এবং কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে আপনার স্নেহ পরায়ন একজনের জন্য “ভালো” কামনা করেন। অথচ সালাম এর মানে তো তাই। সালাম এর মানে তো সেই অর্থেই ব্যবহৃত হওয়ার কথা।

আমরা কি করছি।

কে আমাদের সেই শিক্ষা দেবে? কোন সমাজ, কোন পরিবার আজ আমাদের সেই শিক্ষা দিচ্ছে? চিন্তা করুন “সালাম” দেয়া এবং “সালাম” এর অর্থ বুঝে সেই প্রকাশ বা সেই আচরন করাটাই তো মুসলিম সমাজ হওয়ার কথা ছিলো। বস্তুত, যেজন সেটা বুজেছে সেজন সেভাবেই তার চরিত্র গড়েছেন বা সেই আচরন চর্চা করেছেন। আমরা যাদের “বুজুর্গ” ব্যক্তি বলি, যাদের চরিত্র রুপকথার মতো মনে হয়, তারাই সেটা বুজেছেন। আর কি আশ্চর্য, তাদেরকে “বুজুর্গ” আখ্যা দিয়ে আমরা ভিন্ন ধরনের ভিন্ন শ্রেণীর মুসলমান হিসেবে বিবেচনা করি । কি হাস্যকর, আমরা কি ভেবে নিয়েছি যে আল্লাহ আমাদেরকে অন্য আর এক ধরনের “মুসলমান” হিসেবে “কবুল” করে নিয়েছেন? সেই “বুজুর্গ” ব্যক্তির হিসাব আলাদা হবে ? আর আমাদের “নিজেদের মতো করে মুসলমান” হওয়া আজকের “মুসলমান”দের বিচার আলাদা হবে? চলুন, ভাবি একবার।



সেই রুপকথার মতো বুজুর্গ ব্যক্তিদের জীবন চরিতই যদি “মুসলমান” চরিত্র হয় এবং তারাই যদি “মুসলমান” হয় তাহলে আমরা কি? “মুসলমান” মানেই তো সেই চরিত্রেরই হওয়া উচিত।
আল্লাহ কি আমাদের আজকের এই “নিজেদের মতো করে মুসলমান” দের “বেহেস্ত” দেবার কোন অঙ্গীকার করেছেন? আপনি কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন যে আপনি বেহেস্ত যাচ্ছেন? একটু ও কি ভয় লাগছে না?

তাই সবশেষে বলি, যদি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন, প্রথমে আসলে তাই নির্ধারণ করুন, আসলে আল্লাহকে কতটুকু বিশ্বাস করেন। সেই পরিমান নির্ধারণের একটা ইঙ্গিত আমি দিতে পারি, আল্লাহতে পরিপূর্ণ ঈমান মানে প্রতিটি মুসলমান এক একজন সেই “বুজুর্গ”। আর পরিশেষে এটা মনে করিয়ে দেই যে, সেই “বুজুর্গ” ব্যক্তিরা ও কিন্তু এই নিশ্চয়তা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন নি যে তারা বেহেস্তে যাচ্ছেন।

আসুন, এবার হিসাবটা করার চেষ্টা করতে থাকি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.