গত কয়েকমাস যাবত ক্রমাগত ঝামেলা পোহাচ্ছিলাম নেটের বিল দেয়া নিয়ে। ফলাফল নেটে রেগুলার না থাকতে পারা। আর আমরা যারা সবসময় অনলাইনে থাকি তাদের কাছে নেট না থাকা মানে পানির মাছকে ডাঙ্গায় তোলার মত একথা কে না জানেন?
ক্রমাগত হরতাল-অবরোধ লেগেই ছিল গত কয়েকমাস যাবত। তাহলে কি হবে? অফিসেতো আর হরতাল চলে না। তাই প্রতিদিন সকালে উঠেই অফিসে দৌড়।
হরতালের মধ্যে গাড়ি না পেয়ে ফিরতে ফিরতে রাত ৮ টা - ৯টা। আমার এলাকায় কিউবির স্টোর বন্ধ করে দেয় সাড়ে সাতটা বাজলেই। প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে ঘুরতাম বিল দেয়ার জন্যে কিন্তু দিতে পারতাম না, আবার বাসার আসেপাশে মোবাইলের ফ্লেক্সির দোকানও নেই যেখানে নেটের কার্ড পাওয়া যায় - উত্তরার এই সাইডটা এখনও বেশ নীরব, শুনশান । মনে মনে কত যে গালি দিয়েছি কিউবিকে তার ইয়ত্তা নেই। একে তো এদের সার্ভিস জঘন্য তার উপর ১০ তারিখের মধ্যে বিল না দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন! আবার এদের বিল নেয়ার স্টোর বন্ধ হয়ে যায় সবার আগে।
তাহলে বিলটা দিব কিভাবে ভাই!!!
এরমাঝে ঠিক করলাম শুক্রবার বিল দিব, শুক্রবারে তো আর হরতাল নাই! কিন্তু সেদিন গিয়ে দেখি সেদিনও বন্ধ। রাগে মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছিল।
যাই হোক পরে আমার এক কলিগের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনেই বিল শোধ করলাম । তবে সেই কলিগের কাছে একটা ব্যাপার জেনে বেশ অবাক হলাম যে অনলাইনে নাকি মোবাইলের বিল বা ফ্লেক্সিলোড, ইন্টারনেটের বিল, এমনকি ইন্সুরেন্সের প্রিমিয়ামও জমা দেয়া যায় । তাও আবার অটোমেটিক - অর্থাৎ একবার সেট করে রাখলে একটি নির্দিষ্ট তারিখে প্রতিমাসে অটোম্যাটিক বিল কেটে রাখে একাউন্ট থেকে।
যাক একটা সমাধান পাওয়া গেল, কিন্তু প্রতিমাসে তো কলিগকে রিকোয়েস্ট করা যাবে না আমার বিল পে করে দেয়ার জন্য ! যে ব্যাংকে আমার এ্যাকাউন্ট যেখানে এরকম সার্ভিস কবে চালু করবে তাই ভাবছি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।