গতকাল সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে পেলাম খবরটা। বিটিআরসি নাকি নেটের স্পীড ৭৫% পর্যন্ত কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশাল একটা ধাক্কা খেলাম, এমনিতেই আমাদের দেশে নেটের স্পীড যথেষ্ট কম, তারপরো যদি কমিয়ে দেয়, তাহলে আর থাকে কি !!! এদিকে আবার দেশের মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে তাদের নেটের খরচ কমানৈর জন্য। সারাদিন ফেসবুক ব্লগ সব মিলিয়ে পুরাই বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলাম। তারপর সন্ধ্যায় বিডিনিউজে সঠিক তথ্য পেলাম।
বিটিআরসি আপলোড স্পীড কমিয়ে ডাউনলোড স্পীডের ৭৫% করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডাউনলোড স্পীড আগের মতই থাকবে। কমবে শুধু আপলোড স্পীড।
পাঠক, একটু চিন্তা করে দেখুন, এই স্পীড কমানোর আগে আমাদের অবস্থা কি ছিল। আমরা কি স্পীড পেতাম।
শুরু থেকেই আমাদের ওয়াইম্যাক্স অপারেটরগণ আপলোড স্পীড দেয় ডাউনলোড স্পীডের ৮ ভাগের ১ ভাগ, মানে প্রায় ১২.৫%। এটা আমাকে ওয়াইম্যাক্স সংযোগ নেয়ার সময়ই বলা হয়েছিল। মানে আমার কানেকশন ব্যান্ডউইডথ যদি থাকে ৫১২ কেবিপিএস, তাহলে আমার ডাউনলোড স্পীড থাকবে ৬৪কেবি/এস আর আপলোড স্পীড থাকবে ৮কেবি/এস। এরকম কিন্তু শুরু থেকেই চলে আসছে। আবার আমার ব্রডব্যান্ড কানেকশনের ক্ষেত্রে আগে আমার আপলোড স্পীড ছিল আমার ডাউনলোড স্পীডের অর্ধেক।
বিগত কয়েক মাস যাবত সেটিও কমিয়ে ৪ ভাগের ১ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। মানে আগে আমার লাইন ব্যান্ডউইডথ ছিল ২৫৬কেবিপিএস, আমার ডাউনলোড স্পীড আগে ছিল ৩২ কেবি/এস আর আমার আপলোড স্পীড ছিল ১৬কেবি/এস। বিগত কয়েক মাস যাবত আমি আপলোড স্পীড পাই ৮ কেবি/এস। মানে এখন আমি আমার আপলোড স্পীড পাচ্ছি ২৫%। তার মানে আমরা কিন্তু আগে থেকেই এরকম স্পীডেই ইণ্টারনেট ব্যবহার করে আসছি।
যাদের এর বেশী লাগে যেমন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সফটওয়ার কোম্পানি, ট্রাভেল এজেন্ট, দূতাবাস ও সরকারি প্রতিষ্ঠান এর আওতা মুক্ত থাকছে।
বিটিআরসি এখন এই কাজটিই করেছে যে সব অপারেটরকে আপলোড স্পীড ২৫% করার নির্দেশ দিয়েছে। মানে আমরা আগে যা পেতাম তা-ই থাকবে। আমাদের স্পীডের কোন তারতম্য হওয়ার কথা না, যদি না আইএসপি গুলো এই সুযোগে নতুন কোন দু’নম্বরী না করে।
আমার মনে হয়, চারিদিকে যখন মোবাইল অপারেটরদের নেটের দাম কমানোর আন্দোলন শুরু হয়েছে, তখন সাধারণ মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে দেয়ার জন্য বিটিআরসি এই কাজটা করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।