আমার টিউন টি আমার বাবার লেখা আর্টিকেল থেকে নেয়া। আশাকরি ভালো লাগবে।
শব্দ কোরআন ও ১৯
সূধী পাঠক, ‘কোরআন’শব্দটি নিজ গুণেই তার অলৌকিকত্বের এমন সব নিদর্শন প্রদর্শন করেছে যে আপনি ‘ছোবহান আল্লা’ না বলে থাকতে পারবেননা। কাল অক্ষরের কিছু শব্দ সণ্ণিবেশিত হয়ে বেশ কিছু সংখ্যক সাড়ির সমন্বয়ে দাবী করছে যে,সে পৃথিবীর শেষ্ট গ্রন্থ ‘পবিত্র কোরআন’। শেষ্টত্ব কি হাতের মোঁয়া যে চাইলেই পাওয়া যায়! আর দাবী করলেই আম জনতা বাহবা দিয়ে বলে বসবে,কথাটি ঠিক!
না!সূধী পাঠক,তা হয়না।
শ্রেষ্টত্ব দাবী করলেই শেষ্ট হওয়া যায়না। যদি তা হত তা হলে ১৪০০ বছর আগে হেরার গুহায় যেদিন এক বেদুইন যুবকের কাছে প্রথম পাঁচটি আয়াত নায়িল হয়েছিল,তার পরের দিনই মানুষ একবাক্যে সেই মরুচারীকে আল্লাহর নবীরূপে মেনে নিয়ে ইসলামের জয় পতাকা হাতে নিয়ে সাড়া বিশ্ব জয় করে ফেলতো। ইতিহাস কিন্তু সে রকম বলেনা। ধীরে ধীরে মানুষের বিশ্বাসের ভিত যত উন্নত হয়েছে ততই মানুষ ইসলামের সেুশীতল ছায়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছে। ১৪০০টি বছর ধরে মানুষ তাদের আবেগ ও ভালাবাসা দিয়ে এই মহান বাণীবদ্ধ গ্রন্থটিকে আগলে রেখেছে; কিন্তু পবিত্র কোরআনের অলৌকিকতার কোন নিদর্শন অবিশ্বাসীদের সামনে তুলে ধরতে পারেনি।
সময় গড়িয়ে গেছে,বিংশ সতাব্দীর শেষদিকে এসে পবিত্র কোরআনের পাতা বাতাসের তাড়ায় উল্টে উল্টে সুরা আল মুদ্দাসসির এর ৩০ নং আয়াতটি মানুষের চোখের সামনে স্থির হল,তখনই নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠল পবিত্র কোরআনের আরেক দিগন্ত; মহান গবেষকগণ ঝাঁপিয়ে পড়লেন,নানাদিক থেকে নানাভাবে হিসেব কিতেব করে স্থির করলেন,১৯ সংখ্যাটিই পবিত্র কোরআনের অলৌকিকতার স্মারক। মানুষ হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইল, চোখের সামনে একে একে ভেসে আসতে লাগলো ১৯ এর সাথে পবিত্র কোরআনের নানা সমন্বয়। নিঃসঙ্কোচে মানুষ বলতে বাধ্য হল পবিত্র কোরআন মানব রচিত হতে পারেনা,এটি নিরঙ্কুশ অলৌকিক গ্রন্থ। অবিশ্বাসীরা অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে রইল,তাদের নিজের বিশ্বাসের উপর দ্যোদুল্যমান হয়েউঠল;মুমিনদের ইমান শক্তভাবে প্রেথিত হল;আর যারা তর্কে লিপ্ত হল বা এই প্রমানকে অস্বীকার করলো মূলত তারা এই প্রমাণ সম্পর্কে কিছুই বুঝলোনা। বুঝলোনা এই আয়াতটির মর্মবাণী-
مَّجِيدٌ قُرْآنٌ هُوَ بَلْ
৮৫:২১ বরং এটা মহান কোরআন, - সূরা আল বুরূজ
সূধী পাঠক,আমরা ‘কোরআন’ শব্দটির অলৌকিকতা নিয়ে ভাববো বলে শুরু করেছিলাম,চলুন দেখি কিছু ভেসে আসে কিনা!
পবিত্র কোরআনে ‘কোরআন’ শব্দটি ছাড়াও আরও দুইটি জাতক শব্দ রয়েছে, তা হল ‘কোরআনু’ ও ‘কোরআনেন’।
কোরআনেন শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ৮ বার,আর ‘কোরআনেহু বসেছে দুই বার। এছাড়াও অন্যান্ন কিছু আয়াতে ‘কোরআন’ শব্দটি বসেছে তবে তা আমাদের পবিত্র কোরআনকে বুঝায়নি বলে তা আমাদের অলৌকিকতা প্রমানের হিসেবে ধরা হয়নি,নীচে সেই সূরা ও আয়াত সংখ্যা দেওয়া হল,যেমন.
وَإِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُنَا بَيِّنَاتٍ قَالَ الَّذِينَ لاَ يَرْجُونَ لِقَاءنَا ائْتِ بِقُرْآنٍ غَيْرِ هَـذَا أَوْ بَدِّلْهُ قُلْ مَا يَكُونُ لِي أَنْ أُبَدِّلَهُ مِن تِلْقَاء نَفْسِي إِنْ أَتَّبِعُ إِلاَّ مَا يُوحَى إِلَيَّ إِنِّي أَخَافُ إِنْ عَصَيْتُ رَبِّي عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
10:15 আর যখন তাদের কাছে আমার প্রকৃষ্ট আয়াত সমূহ পাঠ করা হয়, তখন সে সমস্ত লোক বলে, যাদের আশা নেই আমার সাক্ষাতের, নিয়ে এসো কোন কোরআন এটি ছাড়া, অথবা একে পরিবর্তিত করে দাও। তাহলে বলে দাও, একে নিজের পক্ষ থেকে পরিবর্তিত করা আমার কাজ নয়। আমি সে নির্দেশেরই আনুগত্য করি, যা আমার কাছে আসে। আমি যদি স্বীয় পরওয়ারদেগারের নাফরমানী করি, তবে কঠিন দিবসের আযাবের ভয় করি।
-(সূরা ইউনুছ)
13:31 যদি কোন কোরআন এমন হত, যার সাহায্যে পাহাড় চলমান হয় অথবা যমীন খন্ডিত হয় অথবা মৃতরা কথা বলে, তবে কি হত? বরং সব কাজ তো আল্লাহর হাতে। ঈমানদাররা কি এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় যে, যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে সব মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করতেন? কাফেররা তাদের কৃতকর্মের কারণে সব সময় আঘাত পেতে থাকবে অথবা তাদের গৃহের নিকটবর্তী স্থানে আঘাত নেমে আসবে, যে, পর্যন্ত আল্লাহর ওয়াদা না আসে। নিশ্চয় আল্লাহ ওয়াদার খেলাফ করেন না। সূরা রাদ
وَلَوْ جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا أَعْجَمِيًّا لَّقَالُوا لَوْلَا فُصِّلَتْ آيَاتُهُ أَأَعْجَمِيٌّ وَعَرَبِيٌّ قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاء وَالَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِي آذَانِهِمْ وَقْرٌ وَهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًى أُوْلَئِكَ يُنَادَوْنَ مِن مَّكَانٍ بَعِيدٍ
41:44 আমি যদি একে অনারব ভাষায় কোরআন করতাম, তবে অবশ্যই তারা বলত, এর আয়াতসমূহ পরিস্কার ভাষায় বিবৃত হয়নি কেন? কি আশ্চর্য যে, কিতাব অনারব ভাষায় আর রসূল আরবী ভাষী! বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার। যারা মুমিন নয়, তাদের কানে আছে ছিপি, আর কোরআন তাদের জন্যে অন্ধত্ব।
তাদেরকে যেন দূরবর্তী স্থান থেকে আহবান করা হয়। - সূরা হা-মীম সেজদাহ
উপরের আয়াত তিনটিতে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে এখানে ব্যবহৃত কোরআন শব্দটি আমাদের পবিত্র কোরআনকে বুঝায়নি ফলে পবিত্র কোরআন শব্দটির হিসেব থেকে এই তিনটি শব্দ বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ এই তিনটি কোরআন শব্দ দ্বারা যে কোরআন বুঝানো হেয়েছে তা আমাদের নবী মোহম্মদ (সাঃ) এর কাছে অবতীর্ণ কোরআন নয়। আমরা জানি ১৯ একটি মৌলিক সংখ্যা; এবং এই ১৯ এর বিভাজ্যতাকে পবিত্র কোরআনের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বাদ দেওয়া যায়না। আমার এও জানি যে মৌলিক সংখ্যাকে ১ ও সেই সংখ্যা ছাড়া অন্য কোন সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায়না।
উপরে আলোচিত ‘কোরআন’ শব্দের ১০ টি জাতক সহ পবিত্র কোরআনে ব্যবহৃত শব্দ ‘কোরআন’ এর সংখ্যা ৬৭; আর এই সংষ্যাটিও মৌলিক প্রকৃতির তাই এটিও একটি মৌলিক সংখ্যা। এই সংখ্যাটির কিছু চমকপ্রদ বৈশিষ্ট রয়েছে। এটি ১৯ তম মৌলিক সংখ্যা। মৌলিক সংখ্যাগুলি নীচে দেওয়া হল,
2,3,5,7,11,13,17,19,23,29,31,37,41,4353,57,59,61,67
হিসেব করে দেখুন ৬৭ সংখ্যাটি ঠিক ১৯ তম সংখ্যা।
হিসেব থেকে দেখা গেল পবিত্র কোরআনের সাধারণ ব্যবহার হয়েছে ৫৭ বার;অন্যান্ন জাতক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে ৬৭ বার;
অতএব সাধারন কোরআন শব্দ অর্থাৎ সূরা ক্কাফে সঙ্কেত সহ যে কোরআন শব্দটি রয়েছে এমনিতর কোরআন শব্দ মোট ৫৭ বার ব্যবহৃত হয়েছে।
এই সংখ্যাটি ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। ৫৭=১৯ x৩; আর জাতক সমুহ ব্যবহৃত হয়েছে ৬৭ বার,যে সংখ্যাটি নিজে ১৯ তম মৌলিক সংখ্যা। এখন প্রশ্ন হল এই হিসেব দিয়ে কি বুঝা যায়?
সূধী পাঠক একটু ভাবলেই দেখাযায় যে,১৯ যেমন পবিত্র কোরআনের এ প্রতিরক্ষা গুণনিয়ক মৌলিক সংখ্যাগুলোও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ, নইলে পবিত্র কোরআনে এই মৌলিক সংখ্যার এত গুরুত্ব দেওয়া হতনা। আবার আমরা আগেই দেখেছি যে, মাজীদ শব্দটির গাণিতিক মান ৫৭। এর পরেও কি এই ব্যবহার সংখ্যাগুলোকেও কাকতালীয় বলা যায়?
مَّجِيدٌ قُرْآنٌ هُوَ بَلْ
৮৫:২১ বরং এটা মহান কোরআন, - সূরা আল বুরূজ
লক্ষ্য করেুন সূধী পাঠক, কি বিষ্ময়কর অবস্থান।
আয়াতটিতে مَّجِيدٌ قُرْآنٌ শব্দজোড় টি আলোকময় কোরআনকে বুঝাতে বসেছে;এটি পবিত্র কোরআনে ‘কোরআন’ শব্দটির শেষ অবস্থান এবং এটি ৫৭ তম অবস্থান;ঠিক যেভাবে বসেছে সূরা ক্কাফ এর প্রথম আয়াতে। এখানে যে চমৎকার বিষয়টি ফুটে উঠেছে তা হল কোরআন শব্দটি মাজীদ শব্দের সাথে বসেছে একদিকে কোরআন শব্দের অবস্থান ৫৭, অপর দিকে মাজীদ শব্দের গাণিতিক মান ৫৭। কি বিষ্ময়কর সমন্বয়; শুধু ১৯ এর হিসেব নয়, অবস্থানের সাথে গাণিতিক মানের কি সুসামঞ্জস্ব। (ছোবহানআল্লাহ);একি এমনি এমনি হয়েছে নাকি কোন মানবীয় অভিধা এই সমন্বয় তৈরী করতে পারবে? নিশ্চই এই কোরআনের একমাত্র মালিক মহান আল্লাহ। পবিত্র কোরআনের অনেকগুলো নাম রয়েছে,তমন্মধ্যে দু’টি নাম হল ‘জিকির’ যাকে ইরেজীতে বলাচলে ‘Reminder’ বাংলায় স্মারক বস্ত বা গ্রন্থ;আরেকটি হল ‘নুর’ বা আলো; এপর্যন্ত যতদূর গবেষনা হয়েছে তাতে মনে হয় এ নাম দু’টিও ৫৭ বার করেই ব্যবহৃত হয়েছে, গ্রন্থকার ক্যানার তাসলাম্যান তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘THE QURAN
UNCHALLENGEABLE MIRACLE’ এ বলছেন যে,অতি যত্নের সাথে যদি গবেষণা করা হয় তবে দেখা যাবে যে, ১৯ এর সমন্বয়ে সমন্বিত ‘কুরআন’ নামের ছক তৈরী হয়ে যাবে।
আমরা দেখেছি সূরা ক্কাফ এর সূরা সংখ্যা ৫০. আয়াত সংখ্যা ৪৫; প্রথম অক্ষরটি অক্ষর ক্কাফ। সূরা সংখ্যা ও আয়াত সংখ্যা যোগ করলে আমরা যে যোগফল পাই তা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য; ৫০+৪৫=১৯ x ৫;
আমরা এরই মধ্যে দেখেছি যে অক্ষর ক্কাফ গাণিতিক ভাবে সমন্বিত, ক্কাফ অক্ষর সংকেত যুক্ত সূরার মধ্যে রয়েছে সাদৃশ্যতা, আবার এটি কোরআন শব্দের প্রথম অক্ষর। প্রাপ্ত সকল তথ্যাদি থেকে বলা যায় যে, পবিত্র কোরআনের সকল সূরা আয়ত এমন কি অক্ষরগুলো পর্যন্ত গাণিতিক, সমন্বয়ে সমন্বিত। আর এরূপ সমন্বয় দেখেও কি মনে হয় যে, ১৪০০ বছর আগে একটা অন্ধযুগে যখন মানুষ আঙ্গুলের কর গুণে হিসেব করতো সেই সময়ে এক বেদুইন মরুবালকের পক্ষে এরূপ গাণিতিক সমন্বয় সাধন করা সম্ভব?সমকালীন ইতিহাসের পাতায় এমনাটা পাওয়া যাচ্ছেনা যে, সে সময়ে পৃথিবীর কোন জাতি বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় হিসাববিজ্ঞানের চরমে পৌছেছিল যে, বলব আরবীয় সেই বলক তাদের কাছ থেকে প্রযুক্তি ধার করে এনেছে। অতএব পবিত্র কোরআনকে অলৌকিক গ্রন্থের মর্যাদা না দিয়ে তাকে মানব রচিত উপাখ্যান বলার কোন উপায় নেই।
সমগ্র কোরআন জুড়ে লুত নবীর বংশকে ক্কাভমি-লুত বলা হয়েছে। কিন্তু সূরা ক্কাফে এই একই পরিচয় দিতে ভ্যবহার করা হয়েছে ‘ইহভানু লুত’; এখানে ক্কাফ অক্ষরটি অনুপুস্থিত। সূরা ক্কাফের ১৩ নং আয়াতে যদি আল্লাহপাক ‘ইহভানু লুত’ শব্দে ক্কাফ অক্ষর ব্যবহার করতেন তবে কোরআন শব্দে ক্কাফ অক্ষর ব্যবহার সংখ্যা ৫৭ এর স্থলে ৫৮ হয়ে যায়; ফলে গাণিতিক সমন্বয় ভেঙে পড়ে; এর মধ্য দিয়েই বুঝা যাচ্ছে যে, এই সঠিক সংখ্যায় ক্কাফ অক্ষরের ব্যবহার ১৯ কে সমুন্নত রাখার জন্যেই করা হয়েছে, অর্থাৎ ৭৪:৩০ আয়াতে বর্ণিত বিষয়টিই পরিকল্পিত উপায়ে প্রোথিত করা হয়েছে; আর এটি করা হয়েছে পবিত্র কোরআনের অলৌকিতা রক্ষায় বিষ্ময়কর নিদর্শণ রূপে। ফলে বিষয়টি পরিস্কার ভাবে বলা চলে যে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআন তৈরীর সময় বিভিন্ন সংখ্যার এই গাণিতিক সমন্বয় রক্ষা করেই তৈরী করেছেন।
পরীক্ষা করলে দেখা যাবে যে,কোরআন শব্দের জাতক শব্দ গুলোর ১৯,৩৮,৫৭তম অবস্থান গুলোও অত্যান্ত রহস্যময়,আবার সংখ্যাগুলো নিজেওরাও ১৯ এর গুণিতক; ৫০তম অবস্থানটি সূরা ক্কাফের প্রথম আয়াত অনুরূপ রহস্যময়, আমরা আগেও দেখেছ এই অবস্থানটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ;
১৯তম অবস্থান ‘কোরআন’ ১৭তম সূরা ৬০তম আয়াত;
৩৮তম অবস্থান ‘কোরআন’ ৩৬তম সূরা ২য় আয়াত (৩৬+২=৩৮=১৯x২);
৫০তম অবস্থান ‘কোরআন’ ৫০তম সূরা ১ম আয়াত
৫৭তম অবস্থান ‘কোরআন’ ৫৬তম সূরা ৭৭তম আয়াত(৫৬+৭৭=১৩৩=১৯ x৭;
আবার প্রকৃত ‘কোরআন’ শব্দটির অবস্থন গুলোও অনুরূপ ভাবে সমন্বিত;
১৯তম অবস্থান, সূরা ১৭ আয়াত ৭৮; ১৭+৭৮=৯৫=১৯ x৯;
৩৮তম অবস্থান, সূরা ৩৮ আয়াত ১ম
৫০তম অবস্থান, সূরা ৫৫ আয়াত ২য়; ৫৫+২=৫৭=১৯ x৩;
৫৭তম অবস্থান, সূরা ৮৫ আয়াত ২১; ‘মাজীদ’ রূপে;
উপরের পরীক্ষায় দেখাযাচ্ছে ১৯ তম ও ৫০ তম অবস্থানটি ১৯ এর বিভাজ্য নয় আবার নীচের পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে,অনুরূপ অবস্থান দু’টি ১৯ দ্বারা বিভাজ্য; অন্যদিকে উপরের ৩৮ ও ৫৭ তম অবস্থান দু’টো নীচের ছকে বিভাজ্য নয়।
সূধী পাঠক লক্ষ্য করুন কি রহস্যময় ও বিষ্ময়কর সামজ্ঞস্য।
প্রথম সারণীতে চারটি সূরায় চারটি আয়াতে কোরআন এর জাতক শব্দ বসেছে আবার দ্বিতীয় সারণীতে চারটি সূরার চারটি আয়াতে মূল কোরআন শব্দটি বসেছে;মোট সাতটি সূরায় আটটি অবস্থান। আরেকটি চিত্তাকর্ষক বিষয় লক্ষ্য করুন প্রথম সারণীতে ৫০তম অবস্থানটি ৫০ নং সূরার ১ম আয়াতে আবার দ্বিতীয় সারণীতে ৩৮তম অবস্থানটি ৩৮ নং সূরার ১ম আয়াতে। আমরা জানি মাজীদ শব্দটির সংখ্যামান ৫৭, দ্বিতীয় সারনীতে লক্ষ্য করুন, কোরআন শব্দের ৫৭তম অবস্থানটি ‘মাজীদ’ সূধী পাঠক তার পরেও কি বলা চলে পবিত্র কোরআন মানব রচিত। এমনিতর বিষ্ময়কর অবস্থান থেকেই প্রমাণ হয়ে যায় যে,এরূপ সজ্জা কোন মানবীয় অভিধা থেকে তৈরী হয়নি।
সূত্র- প্রবন্ধটি ক্যানার তাসলাম্যান এর ভিখ্যাত গ্রন্থ ‘THE QURAN
UNCHALLENGEABLE MIRACLE’ এর সহযোগিতায় তৈরী।
চাইলেআমারবাবারব্লগটিঘুরেআসতেপারেন।
http://sciencewithquran.wordpress.com
আমিফেসবুকএ ,
https:www.facebook.com/hridoy.khandakar1
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।