বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে’র তত্ত্বাবধানে তৈরি ১১টি বিশ্ববিদ্যালের ফ্ল্যাশ মবের ভিডিওচিত্রগুলো সারা দেশের তরুণ তরুণীদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে। শুধু তাই নয়, দেশের সীমানা পেরিয়ে এই উন্মাদনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণ বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিদেশিদের মধ্যেও ছড়িয়ে যায়।
তাইতো অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেট দলের ২ সদস্য অ্যালিস পেরি ও মেগ ল্যানিংকে দেখা গেছে সিলেটের একটি স্কুলের বাচ্চাদের সঙ্গে চার ছক্কা হইহই গানের তালে নাচতে।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের ‘নির্জীব’ পারফরম্যান্স বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের এক ধরনের হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারপরও এই ফ্ল্যাশ মবের পাগলামি থেকে ধরে নেওয়া যায় আমাদের ক্রিকেট উন্মাদনায় খুব একটা ভাটা পড়েনি।
রংপুর থেকে রাশিয়া, চট্টগ্রামের জিইসি মোড় থেকে লন্ডনের পিকাডেলি সার্কাস, প্যারিসের আইফেল টাওয়ার থেকে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ার সবখানেই যেন নাচের ভাষা এখন ‘চার ছক্কা হইহই’।
এমনকি বিদেশি গণমাধ্যমগুলো এই নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ দেশে বিদেশে এই রকম সাড়া ফেলায় গ্রেকে নতুন করে ভাবিয়ে তোলে। সেই প্রেক্ষিতে বুধবার একটি ফ্ল্যাশ মব ঘটানোর জন্য ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানায় তারা।
স্বতঃস্ফূর্ত এই সাড়ায় ঘটে দেশের সবচেয়ে বড় ফ্ল্যাশ মব।
এই কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত গ্রের অপারেশনস এক্সিকিউটিভ মাহবুবুর রহমান শাকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টি-টোয়েন্টি থিম সং নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১১৯টির মতো ফ্ল্যাশ মব হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। মানুষের এই ক্রিকেট ক্রেইজকে সম্মান জানানোর জন্যই আজকের আয়োজন। ”
এই পুরো আয়োজনের পেছনে আইসিসির সম্মতি আছে বলেও জানান তিনি।
এখন পর্যন্ত ১টি গান নিয়ে সর্বোচ্চ ৫২টি ফ্ল্যাশ মবের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় গ্রে।
টিউটোরিয়াল ভিডিও কৃতজ্ঞতায়: ইগলস ড্যান্স কোম্পানি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।