পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফার চাহিদাই পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি অর্থবছরে ৬০ হাজার ৫৮২ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি চেয়েছিল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো অবস্থাতেই ৫৫ হাজার কোটি টাকার বেশি দিতে রাজি হচ্ছিল না। এ নিয়ে দুই মন্ত্রীর মধ্যে চলছিল টানাপড়েন। শেষে হস্তক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় পরিকল্পনামন্ত্রীর চাহিদা অনুযায়ী ৬০ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেন শেখ হাসিনা। বরাদ্দকৃত এ অর্থ গত অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির তুলনায় ৭ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা বেশি। সংশোধিত এই এডিপির ৩৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা স্থানীয়ভাবে জোগান দেওয়া হচ্ছে। আর বাকি ২১ হাজার ২০০ কোটি টাকার সংস্থান হচ্ছে প্রকল্প সাহায্য থেকে। সংশোধিত এডিপিতে সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ৪৬টি প্রকল্পকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬০ হাজার কোটি টাকার এডিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে মতের অমিল হতেই পারে। দিনশেষে মিলে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয় কী পরিমাণ দিতে পারেন- সেটাও দেখতে হবে। সভায় পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ জানিয়েছে, এবারের সংশোধিত এডিপি বরাদ্দের ক্ষেত্রে দারিদ্র্য বিমোচনের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রকল্পে বরাদ্দ প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানানো হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।