সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে এটিএম কিংবা ক্রেডিট কার্ড। নানা কৌশলে তারা এগুলো ছিনতাই করে ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে হলে এটিএম কিংবা ক্রেডিট কার্ড যথেষ্ট নয়। এ জন্য দরকার পিন নম্বর। গোপন এই পিন নম্বর জানতে ছিনতাইকারীরা কার্ডধারীদের ওপর নির্যাতন চালায়। পিন নম্বরের সাহায্যে টাকা উঠানোর পরও বহু ক্ষেত্রে নিস্তার পায় না এটিএম কিংবা ক্রেডিটকার্ডধারীরা। তাদের রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে। এমনকি হত্যার পথও বেছে নেওয়া হয়। ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে পুলিশের কিছু অসৎ সদস্যের যোগসাজশ রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়। যে কারণে ভুক্তভোগীদের অনেকেই হয়রানির ভয়ে থানায় যেতে চান না। রাজধানীতে প্রায়ই এটিএম কিংবা ক্রেডিটকার্ড ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও তার একাংশ পুলিশের খাতায় লিপিবদ্ধ হয় না হয়রানির ভয়ে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব অনুসন্ধান ও আইনশৃঙ্খলা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৮টি গ্রুপ এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। র্যাব-পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা সাধারণ মানুষকে অনায়াসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মাঝে-মধ্যে মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কারে করে যাত্রী পরিবহনের কৌশল অবলম্বন করে। তারপর সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে পিন নম্বর আদায় করে। পরে ছিনতাই চক্রের কোনো সদস্য ব্যাংকের বুথ থেকে তুলে নেয় সঞ্চয়কৃত অর্থ। ব্যাংক বুথ থেকে টাকা উঠানোর সময় অনেক ক্ষেত্রে ছদ্মবেশ ধরা হয়। যাতে বুথের গোপন ক্যামেরায় নিজের পরিচয় গোপন রাখা সম্ভব হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ছিনতাই চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্য গ্রেফতার হলেও বন্ধ হয়নি অপরাধীদের তৎপরতা। এটিএম কিংবা ক্রেডিটকার্ড ছিনতাই রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছিনতাই চক্রের হাতে সর্বস্ব হারানোর পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে কেউ কেউ। এ অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও তৎপর হবে আমরা তেমনটিই দেখতে চাই। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের সঙ্গে ব্যাংকের অসৎ কর্মচারীদের সম্পর্ক নিয়ে যে অভিযোগ আছে সে বিষয়েও নজর দেওয়া দরকার।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।