জাকির
পুলিশ, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগকে রাষ্ট্রের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে আখ্যায়িত করাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মনে করছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে বলে আমি মনে করি। এটা রহস্যজনক এবং অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে। ’
দুর্নীতি নজরদারি সংস্থা ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল গত বৃহস্পতিবার জনগণের অভিমত ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক সমীক্ষা ‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার’ (বৈশ্বিক দুর্নীতি পরিমাপক) প্রকাশ করে।
এতে পুলিশকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। টিআইবির এ প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেই আজ দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ কে এম শহীদুল হক বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা যখন তাঁদের ভাবমূর্তি দিয়ে দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছেন, তখন টিআইবি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে, সেটা উদ্দেশ্যমূলক, বাস্তবতা-বিবর্জিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে ক্ষুণ্ন করে বিশেষ মহলের স্বার্থে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে কি না, সেটা বিবেচনার দাবি রাখে।
টিআইবি’র এই প্রতিবেদন যে সত্য তা টিআইবি না বললেও আমরা আগে থেকে জানি কিন্তু বাস্তবতা মেনে নিতে পুলিশের সমস্যা কোথায়?
এর চেয়েও চরমসত্য হলো আমাদের রাজনীতিবিদরা মর্মান্তিক রকমের দুর্নীতিগ্রস্ত। দূর্নীতি যেন বড় বড় লোকদের মৌলিক অধিকার?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।