আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইলিশের মণ ১ লাখ ১০ হাজার

পহেলা বৈশাখ আসতে না আসতেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ইলিশ মাছ। ১৪ এপ্রিল যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ইলিশের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের মূল্য হয়েছে দ্বিগুণ।

ইলিশের এই মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যে মাছ ধরায় চলমান নিষেধাজ্ঞা ও রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে ইলিশের চাহিদার কথা বলেছেন ব্যবসায়ীরা। দাম পেয়ে জেলেরা খুশি হলেও ক্রেতারা বেজায় ক্ষুব্ধ।

এক্ষেত্রে তারা দায়ী করছেন নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে।

চট্টগ্রাম নগরীর পোর্ট রোডের পাইকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সপ্তাহখানেক আগে ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ছিল মণপ্রতি ২২ হাজার টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ হাজার টাকা দরে। এমনি করে এর নিচের সাইজের ইলিশের দাম দ্বিগুণ হয়ে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের মণ এখন বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দরে।

জেলেরা জানিয়েছেন, পহেলা বৈশাখের কয়েক দিন বাকি আছে, সামনের দিনগুলোতে মাছের দাম আরও বাড়বে।

জেলা মৎস্য আড়ৎদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত কুমার দাস বলেন, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুর থেকে ভোলার ইলিশা নদী পর্যন্ত এই ৯০ কিলোমিটারে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ। এতে করে জেলেরা মাছ ধরতে পারছেন না। কখনও রাতের আঁধারে জাল ফেললে নৌবাহিনী এসে জাল নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এ জন্য বর্তমানে বরিশালের মৎস্য আড়তে যে পরিমাণ ইলিশ আসার কথা ছিল তার পরিমাণ ১০ ভাগের নিচে নেমে এসেছে।

এ ছাড়া পান্তা ইলিশের জন্য ঢাকাসহ অন্য বিভাগীয় শহরে ইলিশের চাহিদা বাড়ার বিপরীতে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে ক্রেতারা বলছেন, মাছ যে পরিমাণ আসছে তাতে করে ইলিশের দাম এতো বৃদ্ধি হওয়ার কথা নয়। মাছ ব্যসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মাছের দাম বাড়িয়ে চলছেন।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের বরিশাল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ দত্ত জানান, ইলিশ পর্যাপ্ত থাকলেও কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দাম বৃদ্ধি করে চলছেন। এ জন্য সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত।

মনিটরিং থাকলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামাফিক দাম বৃদ্ধি করতে পারতেন না।

তবে ইলিশের দাম যতোই বাড়ুক, পহেলা বৈশাখের দিনে পান্তার সঙ্গে এক টুকরো ইলিশ মাছ যেন চাই-ই চাই সৌখিন বাঙালির। তাইতো চড়া মূল্য দিয়ে হলেও মাছ কিনছেন অনেকে। আবার অনেকেই আগে থেকেই ইলিশ কিনে ফ্রিজে স্টক করে রাখছেন।



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.