ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েনের জের ধরে কৃষ্ণ সাগরে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র কর্নেল স্টিভেন ওয়ারেন বলেছেন, আমরা কৃষ্ণ সাগরে একটি জাহাজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এটি সেখানে প্রবেশ করবে।
আঞ্চলিক মিত্রদের স্বার্থ রক্ষার জন্য 'ইউএসএস ডোনাল্ড কুক'কে কৃষ্ণ সাগরে পাঠানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি। ওয়ারেন বলেন, 'কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলে আমাদের মিত্র ও শরিকদের এ নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, আমরা আমাদের প্রতিশ্রতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।
কৃষ্ণ সাগরে নিজের মিত্রদের সঙ্গে সামরিক মহড়া আয়োজনেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। তবে ইউক্রেনের কোনো বন্দর বা তার আশপাশে কোনো মহড়ায় আমেরিকা অংশ নেবে না বলেও জানান পেন্টাগনের মুখপাত্র। গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ডোনাল্ড কুকে সাম্প্রতিক সময়ে উন্নত সামরিক সরঞ্জাম বসানো হয়েছে। একটি ব্যালাস্টিক মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় এ জাহাজ থেকে এসএম-৩ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যায়। এর আগে ইউরোপে ন্যাটো জোটের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের আওতায় যুদ্ধজাহাজটিকে স্পেনের নৌবন্দর 'রোটা'য় নোঙর করা হয়েছিল।
এর আগে সম্প্রতি মার্কিন সরকার কৃষ্ণসাগরে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ট্রুঙ্টুন মোতায়েন করে। গত মাসে ইউক্রেনের সাবেক প্রজাতন্ত্র ক্রিমিয়ায় অনুষ্ঠিত এক গণভোটের জের ধরে প্রজাতন্ত্রটি রুশ ফেডারেশনে একীভূত হয়ে যাওয়ার পর পাশ্চাত্যের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষস্থানীয় রুশ কর্মকর্তাদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অনলাইন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।