একটা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী সুবাধে এখানে বসে আমাদের তরুন যুবক যুবতীদের পড়াশুনার প্রতি এক অধম্য আগ্রহ এবং সেই সাথে সহ শিক্ষার নাম করে তাদের নিত্য দিনে সমাজ বর্হিভূত কার্যকলাপ খুব কাছ থেকে দেখতে হইতেছে।
Study করার নামে তাদের নিত্য দিনের বেলাল্লাফনা দেখতে দেখতে মাঝে মাঝে চিন্তা করি কোথায় যাচ্চি আমরা, এই শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্চে। কে আবিষ্কার করেছে ছেলে মেয়ে উভয়ে এক সাথে বসে সহ শিক্ষা ব্যবস্থা, আর তার উদ্দেশ্যই কি এই ছিল.....???
চিন্তা হয় এই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতি হিসেবে আমাদের তরুন যুব সমাজকে অতি র্নিলজ্জ করে তুলতেছে, এই শিক্ষা আমাদেরকে শিখায়তেছে অন্যের কাছে কখনো পরাজিত হওয়া যাবে না, অলয়েজ আমাকে জিততেই হবে, এই শিক্ষা আমাকে শিখাইতেছে, পড়া শুনার জন্য তুমি তোমার লজ্জা শরম ত্যাগ করতে হবে, বিলিয়ে দিতে হবে একে অন্যের কাছে। কারন তোমার পড়াশুনাই আগে। ভালো পড়াশুনার জন্য একটু নিজের সত্বীত্ব বিলেয়ে দিতে কোন সমস্যা নাই।
কখনো কখনো এটা আমাদের কে নিয়ে যাইতেছে পশুত্বের দিকে। আর শিক্ষাঙ্গন গুলো হয়ে উঠতেছে অবাধ যৌনাচারের চারন ভূমি। সর্বোপরি আমরা হয়ে যাইতেছি "ধর্মহীন এক জাতি"।
ধর্মের কথা শুনলে এখন হয়তো অনেকের চুলকানি শুরু হয়ে যেতে পারে। ভাই চিন্তা করে দেখুন আমাদের জীবনে যদি ধর্মের বাধ্যবাধকতা না থাকে, তাহলে সেই জাতি আর মানুষের জাতি থাকতে পারে না।
সেই জাতি হয়ে যাবে কুকুর বিড়ালের চারন ভূমি। কারন একমাত্র ধর্মই আমাদের শিখায় কি ভাবে দুনিয়াতে সুন্দর এবং উন্নত চরিত্র নিয়ে বেঁচে থাকা যায়।
লজ্জাহীনতা ধীরে ধীরে আমাদের সমাজ কে এমন ভাবে পেয়ে বসতেছে যে, একটি ছেলে তার পাছার কুৎসিত অংশ বের করে যখন প্যান্ট পড়ে রাস্তায় বের হয়, তখন আমাদের সমাজের কাছে এটায় স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। একটি মেয়ে তার বক্ষ কে প্রর্দশন করে এবং টাইট লেগিংস পড়ে রাস্তায় চলা ফেরা করাটাও আমাদের সমাজের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আর্শ্চযের বিষয় হলো এই যুব সমাজ কেই তার পরবর্তী জেনারেশন দারুন ভাবে অনুসরন করিতেছে।
অথচ আমরা নিজেকে অন্যের কাছে মুসলিম বলে পরিচয় দেয়ে থাকি।
দেখুন লজ্জাহীনতা সর্ম্পকে সুন্দর একটি হাদীস:
আবদুল্লাহ ইবনে অমর (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন - একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জনৈক আনসারী ব্যক্তির নিকট দিয়া গমন করিতেছিলেন; ঐ ব্যক্তি তাহার ভ্রাতাকে লজ্জা-শরমের ব্যাপারে নছিহত ও ভর্ৎসনা করিতেছিল (যে, তুমি এত লজ্জা কর কেন?) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিলেন, তাহাকে এ বিষয়ে রাগ করিও না; (লজ্জা-শরম ভাল জিনিষ) যেহেতু লজ্জা-শরম ঈমানের একটি শাখা। (সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: বই ২ :: হাদিস ২১ :: লজ্জা-শরম)
উপরোক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায় লজ্জা ঈমানেরই একটি শাখা। আর এই লজ্জা বোধ থেকেই একজন মানুষ অনেক ধরনের পাপ হতে বেঁচে থাকতে পারে।
পরিশেষে একটি হাদীস থেকে বলি: "দ্বীনি এলেম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর জন্য ফরজ"।
মহান প্রভু আমাদের দুনিয়ার এই শিক্ষা ব্যবস্থা কতটুকু অর্জন করলাম সেটা নিয়ে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না। তিনি জিজ্ঞাসা করবেন কতটুকু দ্বীনি এলেম অর্জন করেছি, এবং সেটা কতটুকু মান্য করেছি। তাই বলে আপনি দুনিয়ার এই শিক্ষা গ্রহন না করা থেকে আপনি বিরত থাকতেও পারবেন না।
ইসলামিক শিষ্টাচারের মধ্যে থেকে আপনি এটা উত্তম ভাবেই অর্জন করতে পারেন।
মহান দয়াময় প্রভু আমাদের সবাই কে উত্তম জ্ঞান অর্জন করার তৌফিক দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।