তখন 'ম্যায় হুনা' ছবিটা সদ্য মুক্তি পেয়েছে। আমরাও নতুন ভর্তি হয়েছি কলেজে। কিছুদিন ক্লাস করার পরেই কলেজে আসল সদ্য ক্যাডারপ্রাপ্ত অল্পবয়স্কা সুন্দরী এক ম্যাডাম। তপোতী ম্যাডাম । ম্যাডাম ছিলেন যেমন স্মার্ট তেমনি আকর্ষনীয় ছিল তার টিচিং স্টাইল।
সায়েন্সের কোন স্টুডেন্ট ম্যাথ, কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স ক্লাস না করলেও সপ্তাহে তিনদিন বোটানী ক্লাসটা কখনও মিস করত না।
সরকারী কলেজের পাশেই ম্যাডাম থাকত। আমাদের বাসার ঠিক চারটা বাসা পরেই। ম্যায় হুনা ছবি দেখে অনুপ্রানিত হয়ে একদিন গেলাম ম্যাডামের বাসায়-
: ম্যাডাম, আমার বোটানীর অবস্হা খুব খারাপ । আপনি হেল্প না করলে নিশ্চিত ফেল করব।
: কেনো আমি কি ক্লাসে ভাল পড়াচ্ছি না ?
: না ম্যাডাম । ভাল পড়াচ্ছেন বলেই তো এখন একটু আশার আলো দেখছি । কিন্তু কলেজেতো ঠিকমত ক্লাস হয়না । আরও অনেক টপিকস আছে যেটা ডিটেইলস এ বোঝা দরকার । ক্লাস আওয়ার তো কম ।
সবসময় প্রশ্নও করতে পারিনা।
: তো কি করা যাবে এখন ?
: ম্যাডাম আপনি যদি আমাকে আলাদা সময় দিয়ে একটু দেখিয়ে দিতেন..........
ম্যাডাম একটু ভেবে বললেন-
: ঠিক আছে সময় দেয়া যাবে। তুমি মিনিমাম চার জনকে সঙ্গে আনো । আমি তোমাদেরকে ব্যাচে সময় দেব।
নয়নকে বলতেই নয়ন রাজি হয়ে গেল।
পরের দিন অর্ক এবং লিসাকেও রাজি করিয়ে ফেললাম।
৭ দিন পর ম্যাডামের সাথে দেখা করে জানালাম ব্যাচ ঠিক হয়ে গেছে । আমরা পরসুদিন থেকে আসব।
পরদিনই হঠাত্ ই ম্যাডাম খবর পাঠালেন দেখা করার জন্য। দেখা করার পর ম্যাডাম জানালেন- তার হাজব্যান্ড কোন এক সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার।
তিনি অনেক কষ্টে ওখানকার সরকারী কলেজে ট্রান্সফার ম্যানেজ করেছেন। আগামি সপ্তাহেই চলে যাবেন তার ডাক্তার হাজব্যান্ড এর কাছে।
এই ঘটনার পর থেকে ডাক্তার সমাজটা আমার চোখের বিষ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।