"যখন তুমি এসেছিলে ভবে, কেঁদে ছিলে তুমি-হেসেছিলো সবে। এমন জীবন তুমি করিবে গঠন, মরনে হাসিবে তুমি-কাঁদিবে ভূবন। ".........
অতি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপে কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর বিচারের চেহারা অনেকটাই বদলে গেছে । এদিকে ECONOMIST ও আমার দেশ দুটি পত্রিকাই হ্যাকিং এর দায় এড়িয়েছে । তারা বলেছেন যে তারা এই কথোপকথন হ্যাক করেননি ।
তাহলে কে করেছেন এই কাজ ?
যা বদলে দিয়েছে পুরো একটি সরকারের
ভাবমূর্তি !
এ ব্যাপারে দৈনিক হলুদ আলো একটি এক্সক্লুসিভ ফিকশনধর্মী তদন্তে পেয়েছে দারুণ চান্চ্যল্যকর সব তথ্য ! স্কাইপি কথোপকথন আদৌ হ্যাক করা যায়
কীনা এব্যাপারে বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বর কাগুকে জিজ্ঞেস
করলে তিনি বলেন, "অবশ্যই না! আমি আমার বউয়ের কথোপকথন হ্যাক করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়েছি । সুতরাং এটি কোনভাবেই সম্ভব না। তবে আপনারা জানতে পারলে আমাকে এক শিখিয়ে দেবেন প্লিজ । "
তাহলে কি তাদের দুজনের কেউ এই
রেকর্ডগুলো ফাঁস করেছে ? রায়
দিতে পারলে নাসিম সাহেবের প্রমোশন
সুনিশ্চিত ছিলো । তাহলে নিশ্চয়ই
তিনি নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবেন
না ।
তাহলে বাকী রইলো জিয়াউদ্দিন সাহেব । তার সম্পর্কে তদন্ত
করতে গিয়ে বেড়িয়ে এলো এক দারুণ
চান্চল্যকর তথ্য । তার বুদ্ধিজীবী আবরণের
মধ্যে থেকে তিনি জামাতী ইসলামীর
রাজনীতি করেন ।
এমনকী ধারনা করা হচ্ছে তিনি জামাতের বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শাখার
নায়েবে আমীর । তার কথোপকথনে দেখা যায়
তিনি নিজেকে বাচিয়েই নাসিমের মূখ
থেকে অনেক তথ্য বের করে এনেছেন
এবং ধারনা করা হচ্ছে এই জিয়াউদ্দিনই
কথোপকথনগুলো রেকর্ড করে পরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ
করতে ছড়িয়ে দিয়েছিন ।
এদিকে এফবিআই ও
সিআইয়ের সাথে তার তথ্য আদায়ের জন্য
যোগাযোগ করছে ডিবি পুলিশ । নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বেলজিয়াম পুলিশ
কর্মকর্তা বলেছেন, "যে জিয়াউদ্দিন সাহেব নিয়মিত ঈদের নামাজ পড়েন
এমনকী শুক্রবারে জুমার নামাজেও
তাকে মাঝে মাঝে দেখা যায় । তাই
তাকে আমরা জামাতী বলেই সন্দেহ করছি । "
এদিকে তার নিকটাত্মীয়দের মধ্যে কয়েকজন
জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত বলেও খবর পাওয়া গেছে । এমনকী তার চাচার ছোটছেলের
মামাতো ভাইয়ের আপন বন্ধু জামাতের
ঢাকা মহানগরীর নেতৃপর্যায়ে আছে ।
এছাড়াও
তার শশুরের ফুপাতো ভাইয়ের ভায়েরাও
জামাতের নেতা । এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্
রী সাহারা খান আলমগীর বলেন, "ঐ অডিওটা ভুয়া । কামরুল সাহেবের প্রেষ্টিজ
পাংচার করতেই এই অডিও তৈরী করা হয়েছে ।
আর নাসিম কিংবা জিয়া দুজনেই লোক
হিসেবে ভালো । তবে আমি তাদের আন্চলিক
ভাষায় কথা বলতে দেখে কষ্ট পেয়েছি, তাদের
কাছ থেকে শুদ্ধ ভাষায় কথোপকথন আশা করেছিলাম ।
তাই দুজনকেই আমি আমাদের
নেত্রীর সাথে ভাষাশিক্ষা কোর্সে পরামর্শ
দিয়েছে । এদের বেঁফাস কথা আমাদের
কিছুটা বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে । "
জামাতের সাথে জিয়াউদ্দিনের সম্পর্ক
আছে কিনা এ সম্পর্কে তিনি বলেন, "এগুলো গুজব । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করতেই
মিডিয়া এগুলো ছড়াচ্ছে । " এ
ব্যাপারে জিয়াউদ্দিন সাহেবকে ফোন
দিলে তিনি পত্রিকার নাম শুনে " জয় বাংলা"
বলে ফোন কেটে দেন ।
special Thnx: @দৈনিক হলুদ আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।