অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া! ১৮ ডিসেম্বের বিশ্ব অভিবাসী দিবসে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস আর এখানে একটা ব্লগ লিখেছিলাম। সেটা ছিল গত কয়েকদিন ধরে আমার এ সংক্রান্ত পড়াশোনার একটা বহি:প্রকাশ । কালকে অনেকে বলেছেন লেখাগুলো যেন আমি পত্রিকাতেও দেই। আজ প্রথম আলো একই শিরোনামে আমার লেখাটা ছেপেছে ।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ২০১৪ সালে বাসরিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ হবে ৫১৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১২ সালে আমরা হয়তো ১৪ বিলিয়ন ডলার পাবো। অথচ আমাদের অভিবাসীর সংখ্যা কিন্তু কম নয়। আমরা কী বিশ্বব্যাপী এই রেমিট্যান্সের আরো বেশি কিছু পেতে পারি না?
আমি এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি আমার স্টাইলে।
আমার কাছে মনে হয়, সরকারের নীতির জন্য যে আন্দোলন, যে সংগ্রাম তার পাশাপাশি আমাদের নিজেদেরও কিছু হয়তো করার আছে।
যেমন প্রবাসীকে সম্মান করা। আমি আমার দাদীকে দেখেছি যিনি নাতনী বিয়ে দেওয়ার সময় সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাননি বা কোন অসম্মান করেননি। চট্টগ্রামের যে অঞ্চল থেকে আমি এসেছি সেখানে দুবাইওয়ালা শব্দটা মোটেই সম্মানের সঙ্গে উচ্চারণ করা হয় না! তাজ্জব ব্যাপার।
আমার লেখার নিচে এবং গতকাল প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনে সবাই এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন পুলিশের ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন। শুধু আইন করে কী এটা বন্ধ করা যাবে?
ফেসবুকে একজন লিখেছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা শ্রমিকদের অবলীলায় "তুই" সম্বোধন করেন।
ওনারাতো অনেক শিক্ষিত। তাহলে?
আমি ঠিক জানি না, কেমন ধরণের সামাজিক সচেতনতা তৈরি হলে পরে আমরা শ্রমের মর্যাদার ব্যাপারটা বুঝতে পারবো। বুঝতে পারবো এটা কোনো রচনার বিষয়বস্তু নয়!
আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের গড়পড়তা আয় নিয়েও আমাদের অনেক দু:খ আছে। যদি তারা আর একটু স্কিল হতেন তাহলে আরো বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে পারতেন।
সত্যি কথা।
কিন্তু তাতে কী তাদের এখনকার অবদান মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে।
আমি আমার অন্বেষন চালিয়ে যাচ্ছি। ফেসবুকে একটা গ্রুপে এই নিয়ে আলাপ আলোচনাও করছি। যদি কোন রাস্তা বের করা যায় যেখানে আমরা নিজেরাই কোন সাহায্যে লাগতে পারি প্রবাসীদের। ছোট্ট হলেও যদি কোনভাবে সামান্য ঋণ শোধ করা যায়।
সবার জন্য শুভ কামনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।