আমি শিক্ষানবীশ এবং কর্মী । সবার কাছ থেকেই শিখছি । সারা জীবনই হয়ত শিখে যাব।
গত ৫ ডিসেম্বর রংপুর রবার্টসনগঞ্জ এলাকার ৩ নং পাকিস্তানি ক্যাম্পের বিহারী এবং স্থানীয় বাঙ্গালীদের মাঝে ভয়াবহ এক সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়।
সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হল, মধ্যরাতে পুরো বিহারী ক্যাম্প এ আগুন লাগানো হয় এবং এতে অন্তত ২২০ টি ঘর পুরে যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের মুখে শোনা গেছে যে, তারা কোনকিছুই আগুনের হাত থেকে বাচাতে পারে নি। এমন কি শীতের কাপড় পর্যন্ত না!
স্থানীয় বাঙ্গালীরা অতি ঘৃণ্য একটি কাজ করেছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে পারস্পারিক দোষারোপের চেয়ে এখন সবচেয়ে জরুরী যে কাজটি সেটি হল, মানবতার স্বার্থে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া। সরকারি সাহায্য পেয়েছিল তারা তিন-চারদিন।
ওইটুক খেয়েই তারা বেচে ছিল কয়েকদিন। কিন্তু এখন সে দরজাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সরকারি ত্রাণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সব পুড়ে যাওয়ার পর তারা পলিথিন দিয়ে অস্থায়ী ভাবে বেড়া দিয়ে ,চাল বানিয়ে সেখানে থাকছে। বিভীষিকাময় এ দৃশ্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার মত না।
সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে তারা শিশুদের নিয়ে। এই দূরবস্থায় শিশুদের নিয়ে থাকা অবর্ণনীয় কষ্টের।
তাদের বাসস্থান পুনঃনির্মান কিংবা আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে তাদের দীর্ঘদিন আহারের ব্যবস্থা করা সাধারণ কারও পক্ষে করা সম্ভব না। তবে রংপুরের বন্ধুভিত্তিক সংগঠন "স্পৃহা" একটা দিক দিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে। রংপুর এলাকায় এসময় তীব্র শীতে সব বিপর্যস্ত।
তাও আবার তারা শিশুদের নিয়ে মোটামুটি খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে!
তাদের সব কাপড়-চোপড়ও আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তারা শীত নিবারণ করতেও পারছে না। স্পৃহা এখন চাইছে যাতে এই শীতের কবলে পড়ে কেউ যাতে প্রাণ না হারায়। এজন্য তারা ক্ষতিগস্তদের শীতের কাপড় এবং কম্বল দেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
হিসেব করে দেখা গেছে , মোট ২৫০ টি কম্বল এবং দ্বিগুন পরিমান সোয়েটার হলে তাদের কোনমতে হলেও শীতের আঘাত থেকে বাচানো সম্ভব। কিন্তু 'স্পৃহা' সদ্য ভার্সিটি ভর্তি হওয়া কিছু বন্ধুদের সংগঠন হওয়ায় তারা কিছুতেই এত শীতবস্ত্র এং অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না।
আপনারা কেউ এগিয়ে আসবেন কি মানবতার এই ডাকে এই ছোট ভাইগুলির সাথে???
যোগাযোগ করতে পারেনঃ এখানে স্পৃহা
মোবাইলঃ ০১৭৫১১১৩৬৮৩ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।