বিধাতা দিয়াছেন জান, তাই বাঁচাতে এখন আমার উষ্ঠাগত প্রাণ। প্রচারেই প্রসার, আবার দ্বন্দেই নাকি বিকাশ। অবশ্য এই বিকাশের একটি আপেক্ষিক তত্ত্ব আছে। তত্ত্বে পরে আসি। বিকাশকেই একটু খানি বিকশিত করার চেষ্টা করি।
ঘটনার পরিক্রমে বিকাশ হাজির নরেশদের জঙ্গলে। লক্ষ্য মান্দার গাছ। কাঁটা লাগবে। একটি-দুটি নয়…একবারে গোটা কুড়ি। পন্ডিত হারাণ কবিরাজের হুকুম।
এই কাঁটা চিকিৎসা দিয়েই জীবনের সন্ধিক্ষণে পৌঁছা বিকাশের মাতৃ পিসীকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে চলমান সংসারে।
অনেক নাম ডাক হারাণ পন্ডিতের..তাঁর হাত ধরে অনেক রোগী স্বর্গের দরজা থেকে আবার এই ধাত্রীতে ফিরে এসেছে। এইসব কথা বিকাশ অনেক শুনেছে। কিন্তু ধাত্রীতে ফিরে আসা কারো সাথে তার আজ অবধি সাক্ষাৎ হয় নাই। কিন্তু তাতে কী, তাকে ছাড়া তো আর এই তল্লাটে করো চলে না।
গত রাতে পিসীর ব্যামো অত্যধিক বেড়ে যায়। পিসীর অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল কষ্টের শেষ পর্যায়ে..কিন্তু হারাণ পন্ডিতের ওষুধ খেয়ে বিকাশ বুঝল পিসীর কষ্টের অনেকটাই বাকী ছিল। তাঁর এতোই নাম যে, সে রোগী না দেখেই রোগের কথা শুনেই অবলিলায় গুরু মস্তিষ্কে আলমিরা থেকে ওষুধের শিশি খুলে দিত।
বিকাশের পিসীর ব্যাপারেও এর ব্যতিক্রম হয় নাই। যাক ওষুধ খেয়ে পিসীর অবস্থা যে আগের চেয়ে অনেক খারাপ হয়েছে এ কথা সরাসরি বলার জো নেই হারাণ কবিরাজকে…পাছে তিনি গোস্সা হবেন।
তাই বিকাশ অতি বিনীত ভাবে আজ সকালে পিসীর অবস্থা জানাতে গেলে..কিছুটা শুনেই গম্ভীর কন্ঠে পন্ডিত হারানের ধ্বণি-’যা তাড়াতাড়ি তর্জনি আঙ্গুল সম কুড়িটি মান্দার গাছের কাঁটা জোগাড় করগে’। বিকাশের ভিমড়ি খাওয়া দশা। :`> মান্দার গাছের কাঁটা…এ দিয়ে কী হবে? কিন্তু বলার জো নেই…কারণ এ যে হারণ পন্ডিত!
যেভাবেই হউক পিসীকে বাঁচাতে হবে। তা না হলে গেল ১৩ বছর খোঁজ না রাখা পিসীর চার গর্ভ ধনের কাছে কৈফিয়ত বৈকী অবিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তবে কাঠগড়ায় বিকাশের ভয় নাই, ভীতি যত কৈফিয়তের।
কেননা যত সহজে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মানবতার নীতি সত্যকে কাঁচকলা দেখিয়ে কাউকে ফাঁসিকাষ্ঠে নিয়ে গলায় মালা পড়িয়ে দেওয়া যায়, তার চেয়ে কৈফিয়ত বিকাশের কাছ মহাসাগড় প্রশান্ত।
বিকাশ একটা বিষয়ে ভেবে কোন কূল পাচ্ছে না…এই কাঁটা দিয়ে পন্ডিত হারাণ কী এমন করবেন?-তাও আবার চাই এক একটি তর্জনী আঙ্গুল সমান। গত রাতে কবিরাজের দেওয়া অষুধ তো সে পরিমান মতোই খাইয়েছে…তাহলে পিসীর ব্যামো কেন হিমালয় পর্বতসম। কোন কিছু ভেবে পায় না বিকাশ।
তবে অনেক ঘর্ম বিসর্জনেও কাঁটা জোগাড়ে বিকাশ তার চেষ্টাকে বিকশিত করতে পারে নাই।
নিজেকে বিকাশের খুব ছোট মনে হচ্ছে। যেই পিসীর কৃপায় আজ তার দু’পায়ে চলার সক্ষমতা তাঁর বাঁচার জন্য কিনা সে তর্জনী সমান কাঁটা জোগাড় করতে পারল না। ধিক্ এই জীবন ধিক্।
কাঁটাহীন শূণ্য হস্তে বিকাশের বাড়ী আঙ্গিনা আর ততক্ষণে পিসীর ধাত্রী প্রস্থান।
নিকটাত্মীয়ের প্রায় সবাই হাজির, ধাত্রী প্রস্থানকারীকে শ্মসানে আমেন্ত্রনের জন্য।
১৪ বছর পর মার প্রতি গর্ব, ভালবাসা চার রত্ন গর্ভ কয়ে শেষ করতে পারছে না। চোখের জল গিয়ে মনে ঠেকেছে, তাই শোকের অশ্রু মনের গহিন দিয়েই প্রবাহিত। বোধকরি এই জন্যই তাদের কান্নায় চোখে অশ্রু নাই, শোকের অশ্রু মনে..তাই দেখা যায় না, বিকাশ ভাবল।
স্বর্গে পৌঁছার সকল কার্য সম্পাদন শেষে বিকাশকে মঞ্চে উড্ডয়ন।
স্বর্গে প্রস্থানকারীর ৪ রত্নের বিকাশের দিকে তর্জনী উঁচিয়ে আক্রোশ, কেন তর্জনী সমান কাঁটার ব্যবস্থা হলো না?...হলেই তো তাদের আকুলে ভাসিয়ে পরম মা স্বর্গীয় হতেন না।
সুতরাং, আসামী বিকাশ। আত্মপক্ষ সমর্থনের বহু চেষ্টায় হারাণ পন্ডিতের অষুধের কথা কোন রকমে বলতে পারলো। তাহলে হারাণ কবিরাজ কোথায়?....হারাণ কবিরাজ হাজির। কবিরাজ অষুধ বোতলটি ভালো করে দেখতে লাগল আর…..চোখে-মুখে কালো মেঘের মতো জমতে শুরু করলো রাজ্যের আশ্চর্য চিত্র…! ব্যাপার কী? ব্যাপার ঘোরতর…বিকাশ তার পিসীকে এক ফোঁটা অষুধ কম খাইয়েছিল। তবে এই ব্যাপার…উপস্থিত সকলের দৃষ্টি বিকাশের দিকে।
ঘোরতর অপরাধ। এক ফোঁটা কী যেন-তেন পরিমাণ? কম খাওয়ালে তো মরবেই, বেশী খাওয়ালে না হয় কথা ছিল। এতো সবারই জানা! বিকাশও জানতো। সুতরাং, বলা যায় এ এক গভীর ষড়যন্ত্র…নাশকতার নামান্তর।
বিকাশ এর বিন্দু বিসর্গ কিছুই বুঝতে পারছে না।
কিছুক্ষণ আগেও তাকে বিচারকরা প্রশ্ন করছিল কিন্তু এখন আর তার দিকে উনারা ফিরেও তাকাচ্ছেন না। উনারা উনারা কথা বলছেন যাদের মধ্যে অনেকেই এই মাত্র জানতে পারলেন যে কিছুক্ষণ আগে একজন পরপারে পৌচেঁছেন। তাদের কথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কী আছে? কেন,- শ্যামলদা, পাশের বাড়ীর কুঠু বৌদী, তারা তো জানেন পিসীর প্রতি তার দরদ ভালবাসার কথা…তাদের কেন কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না…তারা কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু কেউ শুনছে না? তাই এটা বুঝতে পারছে, তার কথা বলার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে আর কঠিন অপরাধে অপরাধী করা হয়েছে।
বুক চিতিয়ে হারাণ কবিরাজের অপরাধীর চক্র হতে প্রত্যাবর্তন। দন্ডে দন্ডিত বিকাশ।
পাঠককূল, বিকাশের আপেক্ষিক তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা বোধকরি সমীচীন হবে না। কেননা বিকাশের প্রতিচ্ছবিরা তো আমাদের আশে-পাশেই আছে..তাদের এক নজর দেখে আসি। যেখানে হারাণ কবিরাজরা অপেক্ষায় আছে নতুন কোন বিকাশের বিচারের কাঠগড়া তৈরীর ব্যবস্থায়।
বিকাশের ষড়যন্ত্র কিংবা নাশকতার উদ্দেশ্য কি ছিল আমরা তা জানি না কিংবা জানতে দেওয়া হয় নাই। এই সব নিয়ে চিন্তা করে মাথা ব্যথার কোন কারণ আছে বলে মনে করি না।
কেননা, এই চিন্তা শেষ হওয়ার আগেই আরেকটি বিকাশ চিত্র হাজির হবে। এতে চিন্তা জটের সৃষ্টি হবে।
কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া গার্মেন্টস-ট্র্যাজিডির কথা আমরা হয়তো ভুলি নাই। কি ছিল আসল বিষয় এই ১১৫টি লাশ পুড়িয়ে নিশ্চিন্তপুরকে শ্মসান বানানোর? আর এর আসল তথ্য বের হওয়ার আগেই ঘটনার সমীকরনে নাশকতার সূত্র। ভয়াবহ কঠিন সূত্র।
বরাবরের মতো এই নাশকতার নীল নকশার বাহিরে থাকেন কথিত অসহায় অর্থ-প্রেমী, অদৃশ্য জনদরদী মালিক পক্ষ। এ যেন সমান্তরালে চলা দুটি রেলের লোহার পাত। যেখানে যতকিছুই প্রমান হাজির করা হউক না কেন এই সব শ্মসান বানানোর স্থাপত্য থেকে উনারা থাকবেন অনেক দূরে এবং লোহার পাতের মতো অবিচল।
তাই বোধকরি রাজ্য প্রধানের অতি দ্রুত ঘোষনা…’ইহা নাশকতা, দূর্ঘটনা নহে’। তাই বলে এইটা মনে করার কোন কারণ নাই যে, তিনি প্রমান ছাড়া কিছু বলবেন।
দ্রুত ঘোষনার পূর্বে ধারাবাহিকের আরেকটা পর্বের দ্রুত যাত্রার মঞ্চায়ন, যেখানে নবাগত দুই নর-নারীর প্রধান চরিত্রে ঈর্ষনীয় অভিনয়। উন্নত প্রযুক্তির সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে চলমান চিত্র ধারণ। পরবর্তিতে মিডিয়ার ক্যামরোর সামনে তাদের সফল অভিনয়ের নাশকতা নাটকের ইতিকথা।
তবে ভিন্নতা আছে এই ধারাবাহিকে। কখনই আপনি জানবেন না যে, কে এর প্রকৃত লেখক..কারণ জনপ্রিয়তা জানা হয়ে গেলে যদি ভক্তদের অত্যাচারে অন্য আরেকটি পর্ব লিখতে বিলম্ব হয়।
সুতরাং, বরাবরের মতো এবারও মূল ডিরেক্টরা পর্দার আড়ালে রয়ে যান। পরিকল্পনা মাফিক রটানো ঘটনা হয়ে যায় নাশকতা। বগল দাবায় চিত্র সৃষ্টিকারীরা।
তবে ভাগ্যক্রমে আমাদের আলোচিত পরাগ অপহরণ কিন্তু নাশকতার জালে আটকায়নি। আর এর কারনেই পরাগ ফিরে আসতে পারে জীবিত।
কেননা নাশকতায় লাশ থাকবে না এ কী হতে পারে? তাহলে তো নাটকের পরবর্তি ক্লাইমেক্স ফ্লপ।
এ কোন নতুন কিছু নয় আমাদের এই দেশের জন্য। কেননা অভিকর্ষ বুঝার জন্য নিউটনের মতো গাছ থেকে আপেল পড়ার অপেক্ষায় থাকতে হয় না। কথায় আছে চুম্বকের বিপরীত মেরু পরষ্পরকে আকর্ষণ করে। আর এই সূত্রটি আমাদের দেশে বড় বেশী প্রয়োগকৃত।
ভেবে দেখুন যখনই বড় কোন ঘটনা এই দেশে ঘটে ঠিক তখনই আরেকটি নতুন ঘটনার আগমন বিপরীত দিক থেকে। পূর্বের পুরানো ঘটনা ঝেড়ে ফেলে নতুন আরেকটি ঘটনা অবতীর্ণ। কেননা ডিজিটাল বলতেই Past Is Dust। তবে শ্মসানের চিত্র আবশ্যিক এবং নশকতার একই সূত্রে গণিতের শুরু।
উম্মত্ত পদ্মার উপর দিয়ে চলছে পাঁচ তলা লঞ্চ।
যাত্রী প্রবলতায় দূর থেকে কোন রকমে লঞ্চের জানালা গুলি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সেই দেখা যাওয়ার স্থানটা শূণ্য। লঞ্চটি এখন ২০০ ফুট নীচে পদ্মার উদর পূর্তির যোগান দিতে জীবন্ত মানুষ সমেত পাতালে। শূণ্য জায়গায় এখন শত শত লাশ। ভাববেন না এটা কোন নিছক দূর্ঘটনা।
রাজ্য কর্ণধারদের ভাবে এটিও একটা নাশকতা। আর কেনইবা হবে না। শত লাশের বিনিয়োগ ছাড়াতো আর নাশকতা ভরপূর হয় না। সুতরাং, লঞ্চ মালিককে দোষারোপ করলে আপনার বিবেক দংশিত হবে। তাই এটিও একটা নাশকতা।
রাজ্য লড়াকুদের একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য সাধারণ প্রজাদের লাশের চেয়ে উপযুক্ত প্রতিবাদের রশদ আর কি আছে?! সুতরাং, এখানে লঞ্চ মালিক আর কবিরাজ হারাণ পন্ডিত একই গোত্রের জাতী ভাই। আর দন্ডে দন্ডিত ভেসে থাকা শতশত লাশ।
পদ্মার উপর দিয়ে সাকো হবে। তার জন্য চাই অনেক স্বর্ণ মুদ্রা। দায়িত্ব পড়ল রাজ্যের প্রজাদের পথ চলার দায়িত্বে নিয়োজিত নিষ্ঠাবান মন্ত্রী মহোদয়ের উপর।
কিন্তু এতো স্বর্ণ মুদ্রা রাজ্য কোষাগারে নাই। সেতো অনেক আগ থেকেই দেশ বিদেশে বিশাল বাহিনী নিয়ে শিকারে যাওয়ার পেছনে খরচ হয়ে গেছে। তাই রাজ্য কোষাগার স্বর্ণ শূণ্য। তাহলে উপায়? উপায় আছে…ভরসা পাওয়া গেল বিদেশী রত্ন ভান্ডার-এর কাছ থেকে। তবে শর্ত আছে, এই স্বর্ণ ভান্ডার থেকে পাওয়া পুরোটাই সাকোর পিছনে খরচ করতে হবে।
রাজ্যের মন্ত্রী মহোদয় তো অবাক। এ আবার কী কথা, সাকোর স্বর্ণ মুদ্রা সাকো ছাড়া আর কোথায় যাবে?
বিদেশী রত্ন ভান্ডারকে নিশ্চিন্ত করে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে গেলেন মন্ত্রী মহোদয়। গভীর ঘুমে থাক থাক স্বর্ণের সোনালী ঝলক এনে দেয় সোনালী স্বপ্ন। ঘুম ভেঙ্গে যায় মন্ত্রী মহোদয়ের। কিছু বিদেশী রত্ন ভান্ডারের স্বর্ণের ছোয় না নিলে তো চলছে না।
শুরু হয়ে যায় কিভাবে এর কিছুটা ভাগিদার হওয়া যায়। আর অমনি বিদেশী রত্ন ভান্ডার জেনে যায় মন্ত্রীর সোনালী স্বপ্নের কথা…থেমে যায় সাকোর স্বপ্ন।
যথারীতি মন্ত্রী মহোদয় কাঠগড়ায়। কিন্তু মন্ত্রী মহোদয় তো অবাক। এতো তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, তার জনপ্রিয়তাকে খাটো করার জন্য বিরোধীদের সাথে স্বপ্নেরও যথারীতি ষড়যন্ত্র।
সুতরাং, এখানেও ছোট খাটো নাশকতার গন্ধ। আর এই নাশকতায় মহোদয়দের স্বপ্ন বিলাশ চূর্ণ। সুতরাং, দন্ডে দন্ডিত রাতের স্বপ্ন আর মহোদয় নিজে নিরাপরাধ এবং নির্ভার।
পদ্মার উপর দিয়ে সাকো হবে কিনা রাজ্য প্রজারা তা জানে না। কিন্তু পদ্মায় ভাসা শত শত লাশের উপরে দিয়ে উনারা দামী ইজ্ঞিনের নৌকা চড়ে ঠিকই পাড় হয়ে যাচ্ছেন পদ্মার ওপাড়।
এভাবেই শত শত লাশকে নাশকতার দড়িতে বেঁধে নির্বিগ্নে পাড় হয়ে যায় কখনও পন্ডিত হারাণ কবিরাজ, কখনও নাটকের চিত্র সৃষ্টিকারী আবার কখনও বা রাজ্য প্রেমী মন্ত্রী মহোদয়। আর বিকাশরা বিকশিত হয় দন্ড ভারে দন্ডিত হয়ে আজীবন একই ভাবে একই পরিনতি নিয়ে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।