আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংসদীয় বিতর্কের নীতিমালাঃ ২য় পর্ব

দ্বন্দ্ব হোক আদর্শিক, সংঘাত হোক বুদ্ধিবৃত্তিক- বাকি সব যুদ্ধ হারিয়ে যাক দূর-বহুদুর, আলোকবর্ষ দূর এই পর্ব থেকে আমরা মূল নিয়ম শিখবো। এখানে ছয়টি পরিচ্ছেদের প্রথমটি বর্ণিত হবে। ১ম পরিচ্ছেদঃ পরিকাঠামো ১.১ : সংসদীয় বিতর্কে দুটি দল অংশগ্রহন করবে। ১.২ : দল দুইটি সরকারি ও বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত হবে। ১.৩ : সরকারি এবং বিরোধী উভয় দলে তিনজন করে বিতার্কিক থাকবেন।

তবে দুইজনের সংসদীয় বিতর্কও অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিয়ম সবই তিনজনের সাথে একই থাকবে, তবে বক্তার সম্বোধন হবে তিন জনের সংসদীয় বিতর্কের ১ম ও ৩য় বক্তার অনুরূপ। ১.৪ : বিতার্কিকদের পরিচিতিঃ ক) সরকারি দলঃ ১ম বক্তা ( প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা ), ২য় বক্তা ( মন্ত্রী / সরকার দলীয় হুইপ ), ৩য় বক্তা ( সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ) খ) বিরোধী দলঃ ১ম বক্তা (বিরোধী দলীয় নেতা), ২য় বক্তা (বিরোধী দলীয় উপনেতা) / বিরোধী দলীয় হুইপ), ৩য় বক্তা (বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য) ১.৫ : বক্তব্য প্রদানের ক্রমটি হবে- প্রধানমন্ত্রী → বিরোধী দলীয় নেতা → মন্ত্রি/সরকার দলীয় হুইপ → বিরোধী দলীয় উপনেতা / বিরোধী দলীয় হুইপ → সরকার দলীয় সংসদ সদস্য → বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য → বিরোধী দলীয় নেতা (যুক্তিখণ্ডন) → প্রধানমন্ত্রী ( যুক্তিখণ্ডন ও সমাপনী বক্তব্য )। ১.৬ : বিতর্ক দুই ভাগে বিভক্ত। গঠনমূলক ও যুক্তিখণ্ডন।

১.৭ : একজন স্পীকার বিতর্ক পরিচালনা করবেন। ১.৮ : বিতর্ক মঞ্চে স্পীকার ও দুই দলের বিতার্কিক ব্যাতিত একজন সময় রক্ষক (স্পীকার এর ডান দিকে) এবং আয়োজক কতৃক নির্ধারিত অনূর্ধ্ব দুইজন স্বেচ্ছাসেবক (স্পীকার এর বামদিকে) উপবেশন করবে। ১.৯ : সময়সীমা সংক্রান্ত ধারাসমুহঃ ক) প্রধানমন্ত্রী তার গঠনমূলক পর্বে উদ্বোধনী বক্তব্যে সময় পাবেন ৫ (পাঁচ) মিনিট। এক্ষেত্রে ৪ মিনিট শেষে সতর্ক সংকেত এবং ৫ মিনিট শেষে চূড়ান্ত সংকেত দেওয়া হবে। খ) প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী পাঁচজন বক্তাও প্রত্যেকে গঠনমূলক পর্বে ৫ (পাঁচ) মিনিট করে সময় পাবেন।

এক্ষেত্রে ৪ মিনিট শেষে সতর্ক সংকেত ও পাঁচ মিনিট শেষে চূড়ান্ত সংকেত দেওয়া হবে। গ) প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা তাদের যুক্তিখণ্ডন ও সমাপনি বক্তব্যের জন্য প্রত্যেকে ৩ মিনিট সময় পাবেন। এক্ষেত্রে ২ মিনিট শেষে সতর্ক সংকেত ও ৩ মিনিট শেষে চূড়ান্ত সংকেত দেওয়া হবে। ঘ) প্রত্যেক বক্তাকে অবশ্যই তার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বক্তব্য শেষ করতে হবে। ১.১০ : সংসদীয় ধারায় বিতর্কের মঞ্চ ও স্থানকে ‘অধিবেশন কক্ষ’ বা ‘হাউস’ বলে অভিহিত করতে হবে।

১.১১ : সম্বোধন সংক্রান্ত ধারাসমুহঃ ক) বিতার্কিকগণ সংসদ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন তাই তাদের সম্বোধন করা হবে সংসদীয় রীতিতে। খ) সরকার দলীয় সদস্যদের যথাক্রমে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’, ‘সম্মানিত মন্ত্রী মহোদয়’ বা ‘সম্মানিত হুইপ’ এবং ‘সম্মানিত সরকার দলীয় সংসদ সদস্য’ রূপে সম্বোধন করা হবে। গ) বিরোধী দলীয় সদস্যদের ‘সম্মানিত বিরোধী দলীয় নেতা’, ‘সম্মানিত বিরোধী দলীয় উপনেতা’ বা ‘সম্মানিত বিরোধী দলীয় হুইপ’ এবং ‘সম্মানিত বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য’ রূপে সম্বোধন করতে হবে। ঘ) বিতার্কিকগণ স্পীকারকে ‘জনাব / সম্মানিত / মাননীয়’ স্পীকার বলে সম্বোধন করে নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করবে। ঙ) এছাড়াও অবমাননাকর নয় এমন যে কোন সম্বোধন স্পীকার ও উভয় দলের বিতার্কিকদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।

চ) কোনক্রমেই স্পীকারকে ‘মহামান্য’ বলে সম্বোধন করা যাবেনা। ১.১২ : একাধিক (অনূর্ধ্ব তিনটি) বিষয়ের মধ্যে থেকে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ বাছাই প্রক্রিয়ায় একটি বিতর্কের বিষয় নির্ধারণ করবে। বাছাই প্রক্রিয়াটি আয়োজকদের দ্বারা নির্ধারিত এবং পরিচালিত হবে। ১.১৩ : ‘কয়েন টস’ এর মাধ্যমে সরকারি ও বিরোধী দল নির্বাচিত হবে। ১.১৪ : বিষয় ও পক্ষ নির্ধারিত হবার ২০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে বিতর্ক অবশ্যই শুরু করতে হবে।

১.১৫ : প্রস্তুতি গ্রহণের সময় বিতার্কিকেরা তাদের প্রয়োজনমত বই, পত্রিকা এবং জার্নাল ব্যবহার ছাড়াও যে কারো সঙ্গে বিতর্কের বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবে। * ১ম পর্বের লিঙ্কঃ Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.