মমমমমম অনেকদিন ধরে কর্পোরেট দুনিয়া নিয়ে কিছু একটা লেখব বলে ভাবছিলাম আজ আমি কর্পোরেট দুনিয়ার পর্দার আড়ালের কথা আপনাদের বলব। বাংলাদেশের ইতিহাসের দিকে তাকআলে কর্পোরেট দুনিয়ার ইতিহাস বেশি দিনের না। ৯০ এর দশকের পর থেকে যেদিন মাল্টিন্যাসনাল প্রতিষ্টান বাংলার মাটিতে তার স্বার্থ খুজে পেল তখন থেকেই মুলত কর্পোরেট কালচার বাংলার মাটিতে এসে পড়ল। এখন বাংলাদেশের নানা প্রতিষ্টানে কর্পোরেট কালচার ছাড়া কিছু ভাবা যায় না। এখানে নানা মতের, নানা, ধান্ধার মানুষ এক হ্যেছে স্বার্থ হাসিলের জন্য।
কর্পোরেট জগতের নিয়ম কানুন সবই আলাদা এখানে আপনাকে মেকি হয়ে যেতে হবে। নিজের সকল পরিচয় ভুলে আপনাকে হতে হবে কর্পোরেট মানুষ আর তা না হতে পারলে আপনার বিদায়। কি ছেলেদের কি মেয়েদের সবাইকে এখানে পরিবর্তিত হয়ে যাতে হয়। ভালোমন নিয়ে আপনি আর যাই হোক এদের জগতে টিকতে পারবেন না। আপনি যদি মদ না খাইতে পারেন তাহলে আপনাকে শুনতে হবে আপনি কালচার সেখেননি , আপনি সেকেলে।
আসলেই কি তাই মানুষ যদি মাদক না খাই তাহলে কি সেকেলে হয়ে যায় ? দারুন এদের সিস্টেম। বাংলাদেশে বসে আপনার কাজ হবে বাংলাদেশের ক্ষতি করা। আর বেহাল্লাপনা চেয়ে চেয়ে দেখা। আমি নিজে কওন পীর মানুষ না। আমিও নিয়মিত বারে যায় তা দু গ্লাস বিয়ার খেয়ে আসার জন্য।
কর্পোরেট হতে হলে আপনাকে উপরে বাংলাদেশের জন্য দরদ উতলে দিতে হবে আর ভিতরে ক্ষতি করার চিন্তা করতে হবে। ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ সরকার কে এন্টি স্মোকিং এর জন্য ফান্ড দেয় বলে প্রচারন বন্ধ করুন এতে কি হয় আমাদের দেশের কমপানি মার খাই আর ওরা লাভ করে। কারন ওরা এমনিতেই পরিচিত আর বাংলাদেশের বিড়ি কম্পানি গুলো প্রচারনার অভাবে মার খাই। আমি শুধু বোঝানোর জন্য টোবাকো এর কথা বললাম।
ছেলেদের থেকে বেশি দাম সুন্দর মেয়েদের এই দুনিয়াতে।
ছেলেদের দিয়ে আসলে অফিসিয়াল কাজ ছাড়া বাকি কিছু হসিল হয় না। এজগতে কাজ হয় রাতের আড়ালে। মেয়েদের শরীরকে এখানে ব্যবহার করা হয় সুকৌশলে। এখানে মেয়েদের হয়ে যেতে হয় লাজ লজ্জা হীন। আসলে টাকার লোভের কাছে অন্য কিছুর তুলনা হয় না।
লাখ লাখ টাকার লোভে পড়ে মেয়েরা এখানে নিজেদের অজান্তে নিজেরা নিজেদের কে বিলিয়ে দেই। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের বোকা মেয়েরা জানে না যে , কর্পোরেট বসদের নিয়মিত ন্তুন আইটেম পছন্দ। সেদিন দেখলাম এক চাকরির বিজ্ঞাপনে বলে দিয়েছে মেয়ে সুন্দর হতে হবে আরো নানা কিছু তাহলে কালো মেয়েদের কি হবে। আজকাল কর্পোরেট হাউস গুলোতে কাজ করা মেয়েদের খুব তাড়াতাড়ি অনেক টাকা হয়ে যায়। কিভাবে হয় তারাই ভালো জানেন।
আর মিডিয়া হাউস গুলোতে মেয়েদের কি কদর তা না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। একদিন মামুনুর রশীদ বলেছিলেন আমি ৪০ বছর অভিনয় করেও ফ্লাটের টাকা যোগাড় করতে পারি নি আর এখন একটা নাটকে কাজ করা মেয়েরা ৬ মাসের ভিতরে ফ্লাট কিনে ফেলে। কত আক্ষেপ করে তিনি বলেছেন কথা গুলো। আমি চ্যানেল আইতে কাজ করতে যেয়ে চলে এসছি কারন আমার ধাতে সয় না এসব । একদিন এক মেয়ে আসল সে নাকি লাক্স সুন্দরী, সে আমাদের ড্রেস সেন্স বোঝাবে ভালো অনেক ক্ষন তার কথা শুনলাম।
এর পর দেখি নাম না জানা এক বড় ভাই এসে সবার চোখ ফাকি দিয়ে তার পেটে হাত দিয়ে বলল কি ব্যাপার এত ফ্যাট কেন আজ রাতে কার কল আছে। আমি আমার কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এর পর দিন আমি আমার ইউনিট ছেড়ে ঘিরনাই চলে আসি। বলে রাখি আমি চ্যানেল আইয়ের ক্যাম্পাস হিরো প্রগামের একজন ফাইনালিস্ট ছিলাম তাই আমার অল্প বিস্তর এইজগত জানা আছে।
মিডিয়া গুলো টিকে আছে মেয়েদের দিয়ে ব্যবসা করে।
এত সব প্রতিযোগিতা কেবল নতুন নতুন মেয়ে খুজে এনে হাই ক্লাস প্রতিতা বানানোর জন্য। একটা ছেলেকে পাহাড় ডিঙ্গিয়ে মিদিয়াতে নিজেকে প্রমান করতে হয়, আর মেয়েকে নিজের কাপড় খুলে নিজেকে প্রমান করতে হয়। এটাই আমাদের কর্পোরেট মিডিয়া জগত। নগ্নতা ছাড়া মিডিয়াতে মেয়েদের কোন দাম নেই।
এতো গেল কর্পোরেট মিডিয়া জগতের ব্যাপার, আজকাল ব্যাংকগুলো ও কর্পোরেট হয়ে গেছে।
আমি নিয়মিত একটা প্রাইভেট ব্যাংকে যতায়াত করি । একদিন আমি একাউন্ট এর একটা ঝামেলা নিয়ে ব্যাংকে গেছি, কাস্টমার কেয়ারে যে মেয়েটি বসে আছে তার দিকে তাকাতে পারছিলাম না, কারন তিনি যে পোশাক পরে ছিলেন তাতে তার অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে গেছিল। ব্যাংকে যে যতটা একাউন্ট করাতে পারে তার তত লাভ আছে এরপর আছে এফডিয়ার কত কি। এক মেয়ে দেখি ট্রাসপারেন্ট একটা কামিজ পরে এসেছে সে আমার পরিচিত তাই ঠাট্টা করে বলে দিলাম কাস্টমার এবার না এসে যাবেই না। রিকভারিতে মেয়েদের তো অনেক সুবিধা কারন এখানে তারা কন্ঠ বেচে চলে।
এক ব্যাংকারের কথা অনুসারে একটা মেয়ের গলা সুনলে নাকি মানুষ লোন ফেরত দিতে দেরি করে না। কি যুক্তি সব জায়গায় নারী শরীর বেচাকেনা চলছে কর্পোরেট এর নাম করে। আর আমরা নাকি এগিয়ে যাচ্ছি। এই যদি এগুনোর নাম হয় তাহলে শতধিক এক সমাজ কে যেখানে নারিদের পন্য করে টাকা কামাতে হয়।
আপনি গার্মেন্টস ব্যবসার দিকে যাবেন সেখানে তো নারি ছাড়া কোন কিছু কল্পনা করতে পারবেন না।
এরা আমাদের দেশের জন্য নাকি সবথেকে বেশি টাকা আনে আদতে সবই ফাকি কারন এখানে আমরা কেবল দর্জির কাজ করি। সুতা, বোতাম,রং সবই বাইরের কেবল মালিক লাভবান হয় আর মরে যায় শ্রমিক। আসে অনে টাকা সে টাকা আবার চলে যায় সুতা, বোতাম,রং এর দাম শোধ করতে চায়না, ইন্ডিয়াতে। আর বিদেশি বায়ার এসেছে তার মন ভরতে হবে কি লাগবে কি লাগবে? সুন্দরী মেয়ে লাগবে? পাঠিয়ে দাও কোন মেয়েকে সারা রাত মাস্তি করে কাজ দিয়ে চলে যাবে। রাতের আধারে নাইট পার্টির নামে মাতলামি করা আর নারী শরীর নিয়ে খেলা করা এই ব্যবসার এক অপ্রিহার্য উপাদান।
কর্পোরেট আমাদের সবাইকে নষ্ট করে চলেছে। আমরা এদের নিরিহ শিকার।
আজকাল নাকি মেয়েরা কোথাও নিরাপদ না। সবাই এদের নিয়ে ব্যবসা করতে চাই। আর কাজের বিনিময়ে নিতে চাই শরীর।
এর জন্য নানা ফাদ পেতে বসে আছে। আমি একজন ডিজাইনার কে জানি সে নিজের কাজের জন্য নিয়মিত শরীর বেচে চলেছে । এখন আর বের হতে পারছে না এমনকি বিয়ের কথাও চিন্তা করতে ভয় পাই তার ব্যবসায়িক পাটনার দের জন্য। সে ভুল পথে অনেক বেশিদূর যেতে চেয়েছে অনেক কম সময়ে । আসলে কম সময়ে বেশি দূর যেতে চাই বলেই মানুষ বিপদে পড়ে।
আর মেয়েরা অনেক বেশি তাড়াতাড়ি উপ্রে যতে চাই বলে পড়ে যায় অতলে।
আর ফ্যাশন হাউস গুলো এখন সব থেকে বড় নারী সরবরাহকারী, তারা ফ্যাশন করাতে নিয়ে যায় দুবাই, সিংগাপুর মালেশিয়া, সেখানে চলে দুদিনের দেহ ব্যবসা আর ফিরে এসে বলে শুটিং শেষ। আমার বান্ধবী ছিল লাক্স সুন্দরী অর কাছ থেকে জেনেছি যে মেয়েদের কে মোটিভেট করা হয় আস্তে আস্তে একসময় নষ্ট করে ফেলা হয় কৌশলে যখন তার ফেরার কোন উপায় থাকে না। আর যে যত বড় কথায় বলুক দেহ বিনিময় ছাড়া যে প্রতিযোগিতায় ফাস্ট হওয়া যায় না তা বুঝি।
দেশে কি কোন ভালো জ্ঞানী স্মার্ট ছেলে নেই ? কই তাদের নিয়ে তো কোন অনুষ্ঠান হয় না কোন চ্যানেলে।
মেয়েদের নিয়ে এত কেন? কেউ কিছু বলতে পারেন? চ্যানেল আই তে কি কোনদিন হইয়েছে লাক্স সুন্দর ?
আমাদের উচিত আমাদের বোন-মেয়েরা কোথায় কি কাজ করছে তার সম্পর্কে খোঁজ রাখা তা না হলে আমাদের ই বিপদ। তারা ভুল করে কখন কোন বিপদে নিজের অজান্তে পড়ে যায়।
আজ সময়ের অভাবে অন্য সেক্টরের কথা গুলো লিখতে পারলাম না অন্যদিন সময় করে লিখব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।