এতকিছু ... ওই সিনেমার জন্যই... আমিই সেই প্রতিভাবান তরুন সমাজের প্রতিনিধি যারা বিশ্বজিতের মৃত্যুতে শোকাহত। আমরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিভিন্ন ভাব বুদ্বুদের মাধ্যমে আমাদের শোকের গভীরতা বোঝাতে চেয়েছি। আমরা লেখা পোস্ট করেছি ব্লগগুলিতে, বোঝাতে চেয়েছি আমরা সমাজের জাগ্রত বিবেক। আমরা পত্রপত্রিকায় লিখেছি, কলামের পর কলাম। টিভিতে নিউজ করেছি, টক-শোতে কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছি।
আমরা এই অন্যায় আর সহিংসতার প্রতিবাদ না করলে কারা করবে? আমরা হচ্ছি সমাজের সেই এলিট বোদ্ধা; আমরা সবই বুঝি। আমরা না জাগলে কোনাদিন সকাল হবেনা।
এই আমরাই কিন্তু বিশ্বজিতের খুনের দৃশ্য উপভোগ(!) করেছি। করিনি? আমরা স্পটে উপস্তিত থাকা সত্বেও কোন টুঁ শব্দ উচ্চারন করিনি। কোপ খেয়ে প্রানপণে পালাতে চেয়েছে বিশ্বজিত।
উফ! মামা পুরাই সিনেমা। কে কাকে বাঁচাতে যাবে? নিজের জীবন নিয়ে আমরা প্রত্যেকেই তটস্থ। আমাদের বিবেকের শীতলপাটিতে অনেক আগেই কাক এসে হেগে গ্যাছে। আমরা বুঝতে পারিনি। যদিও আমরা এলিট বোদ্ধা; আমরাই সমাজের জাগ্রত বিবেক।
বিশ্বজিত মারা গেছে রবিবারে, আমরা বুধবারে ভুলে গেছি এসব। আজ আমরা উদযাপন করছি বারো বারো বারো। যদিও দেশের বারোটা বেজে আছে আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা নেট থেকে নামাচ্ছি সাকিব আল হাসানের বউয়ের রসালো সব ছবি।
আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজের মুখে থুথু ছিটানো।
তারপর আয়নার সামনে দাঁড়ানো যেতে পারে। যদি আর একবার ছুঁতে পারি ব্যক্তিগত নদীর জল, একটি অচিন পাখির বিষাদ। তবে আরো একবার নিজের সাথে হেঁটে যাওয়া যেতে পারে বহুদুর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।