ব্যান হবো না তো! তুমি কী বিশ্বজিত!
কিছু কি বুঝো না তুমি?
তোমার চারিপাশ শ্বাপদ সঙ্কুল।
চোখের মাথা খেয়েছ?
এমন দিনের বেলাতেও তুমি কিছু দেখলে না?
কুয়াশা ছিল ঠিক আছ,
তাই বলে তুমি তো অন্ধ ছিলে না?
কুয়াশায় দেখতে পাওনি-
এই অজুহাত মেনে নেয়া যায় না।
তুমি কি জানতে না ভাগাড়ের শকুনদের কথা?
যারা সর্বক্ষন প্রার্থনা করে মৃতদেহের।
একটা মৃত্যুদেহের চাইতে
তাদের কাছে প্রিয় আর কি আছে?
তুমি আরো অনেক অপরাধ করেছ বিশ্বজিত-
-তুমি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেছ,
-শকুনেরা ফাঁদ পেতেছে জেনেও
পেটের ভাত জোগাড় করতে বেরিয়েছ,
তোমার কিংবা তোমার অভুক্ত বাবার, মা’র, ভাইয়ের বা বোনের।
-সকাল নয়টার কাছাকাছি কোন এক সময়ে
তুমি ফাঁদের দিকে পাঁ বাড়িয়েছ,
শকুনেরা যখন মৃতদেহের খোজে দিগবিদিক
ছোটাছোটি করছে।
কোন ভরসায় তুমি সেখানে গিয়েছিলে?
-তুমি ভেবেছিলে, পরিচিত শকুনেরা তোমাকে স্পর্শ করবে না।
-তুমি এত বোকা কেন বিশ্বজিত?
-তোমার মনে হয়নি,
একটি মৃতদেহ তাদের ক্ষুধার জ্বালা মিটাবে।
-তোমার ক্ষুধার জ্বালা ওদের চেয়ে কতো কম,
তুমি বুঝতে পারো নি।
এবার জবাবদিহি করো বিশ্বজিত-
তোমার শরীর যখন শকুনেরা খুবলে খাচ্ছে
-তুমি কি মাকে ডেকেছিলে-“মা গো” বলে?
-তুমি কি বাবাকে ডেকেছিলে-“ওরে বাবারে” বলে?
-তোমার ভাই, বোনদের চেহারা কি তোমার মনে পড়েছিল?
-তোমার প্রেমিকার হাসিটা কি মনে পড়েছিলো, বিশ্বজিত?
-তুমি কি ঈশ্বরকেও ডেকেছিলে ?
-কেন ডেকেছিলে, বিশ্বজিত?
এদেশে সবকিছুই অপরাধ-শুধু তুমিই জানো না
আর সবাই জানে।
এত প্রশ্নের কোন উত্তর এখন আর তোমার কাছে নাই।
কারন তুমি অপরাধী বিশ্বজিত, তুমি অপরাধী। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।