আজ সন্ধ্যায় একটা এসএমএস এলো মোবাইল ফোনে। সেখানে লেখা আছে, ' আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। নিজের অধিকার সম্পর্কে জানুন, নিজ দায়িত্ব পালন করুন। ' ক্ষুদ্র এই বার্তাখানির প্রেরক হলো মানবাধিকার কমিশন।
অদ্ভুত! কী করে পারে প্রতিষ্ঠানগুলো এমন অন্ধ, বধির আর বোবা হয়ে থাকতে!
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের আগের দিন একটি ছেলেকে 'সোনার ছেলেরা' পশুর মতো পিটিয়ে মেরেছে।
সোনার ছেলেদের 'হীরক পিতারা' সেই হত্যার দায় নেয় নি।
বিশ্বজিত, যে ছিল গরীবের ঘরের গরীব, খেটে খাওয়ার ঘরের খেটে খাওয়া এক মাটির ছেলে। এই সোনার দেশে- অমন মাটির মূর্তির মতো অসহায় বিশ্বজিত সোনার গৌরব পায় নি কোনো দিন; জীবনেও না, মরনেও না।
আমিও বিশ্বজিতের মতই গরীবের ঘরের গরীব। খেটে খাওয়ার ঘরের খেটে খাওয়া।
তবুও সাহস করে সুধাই, মহান মানবাধিকার কমিশন, বিশ্বজিতকে পিটিয়ে মারার দুই দিন পার হওয়ার পরেও, হীরক পিতারা তাদের স্বর্ণ সন্তানদের দায়-দায়িত্ব নেয় নি; আইনের প্রতিভুরা অপরাধীদের গ্রেফতার করে নি। এতো কিছু দেখার পরেও, আপনার প্রতিষ্ঠানটি মুখে যে রা-টি অব্দি করে নি!
বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশন কি মানুষেরা চালায় না না-কি? না-কি
মানবাধিকার রক্ষার নাম ধরে আপনারাও সোনার ছেলেদের অধিকার রক্ষা কর্তা হয়ে আছেন?
যদি তা না হয়, যদি আপনাদের লজ্জা, ঘৃণা, রাগ এবং মানবতা বলে কিছু থাকে তাহলে, হত্যাকারীদের ধরিয়ে দেবার জন্য হীরক পিতাদেরকে আল্টিমেটাম দেন তো দেখি!
প্রতিষ্ঠানের পদের মোহ ছেড়ে বিশ্বজিতের রক্তাক্ত শার্টটা আপনাদের গায়ে চাপিয়ে নিয়ে খুনিদের ধরিয়ে দেবার এক দফা, এক দাবি দিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন তো দেখি।
মানবাধিকার নিশ্চিত করার নামে খালি কথা কয়ে বেড়াবেন, নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করবেন, বড় বড় বুলি ঝাড়বেন নিশিদিন, এমন দিন গুজরান আর কতদিন! এটা আমরা, মাটির মূর্তির মত ক্ষমতাহীন মানুষেরা জানতে চাই। এই প্রশ্ন জানতে চাওয়া নিশ্চয়ই মানবাধিকারের মধ্যেই পরে ?
আমরা আমাদের অধিকার সম্পর্কে জেনেছি, আপনি- মহান প্রতিষ্ঠান 'নিজ দায়িত্ব পালন' করবেন কবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।