আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিন্দু মেধাবী স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্মান্তর, মেকী বিয়ে ও ধর্ষণ!

যা বিশ্বাস করি না, তা লিখতে-বলতে চাই না, পারবোও না। কিন্তু যা বিশ্বাস করি, তা মুখ চেপে ধরলেও বলবো, কলম কেড়ে নিলেও লিখবো, মারলেও বলবো, কাটলেও বলবো, রক্তাক্ত করলেও বলবো। আমার রক্ত বরং ঝরিয়েই দাও, ওদের প্রতিটি বিন্দুর চিৎকার আরও প্রবল শূনতে পাবে। গত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছিল গাজীপুরের টঙ্গীর এক মেধাবী ছাত্রী। এর স্বীকৃতি হিসেবে স্থানীয় এমপি জাহিদ হাসান রাসেল তাকে পুরস্কৃতও করেছিলেন।

কিন্তু গত ৬ এপ্রিল থেকে ধর্মের নামে এক দুঃসহ বর্বরতার শিকার হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী হতভাগ্য এই মেধাবী শিশুটি। ওই দিন বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে অপহৃত হয় সে। পরে তাকে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করে কথিত বিয়ের নামে চক্রটির এক সদস্য তাকে আটকে রেখে ৫৫ দিন ধরে ধর্ষণ করে। অবশেষে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী গ্রাম থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী থানা পুলিশ।

উদ্ধারের পর থানায় সাংবাদিকদের কাছে এই বর্বর কাহিনী শোনায় ছাত্রীটি। এ সময় টঙ্গী থানা পুলিশের সঙ্গে আসা ছাত্রীটির মা-বাবা উপস্থিত ছিলেন। তবে অপহরণকারীদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য মতে, এই অপহরণ ঘটনায় জড়িত ছিল চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলার ছয় মাদক ব্যবসায়ীর একটি চক্র। ছাত্রীটি শুক্রবার রাতে চকরিয়া থানায় কালের কণ্ঠকে জানায়, তার কাছে হিন্দু ধর্মই এখনো শ্রেষ্ঠ ধর্ম।

অপহরণকারীরা কোনো কাগজে স্বাক্ষর না নিয়েই পাঞ্জাবি পরা এক মোল্লা ডেকে এনে কলেমা পড়িয়ে আয়েশা বেগম নাম দেয়। যদিও কলেমা কী জিনিস এর কিছুই বুঝতে পারেনি শিশুটি। তৎক্ষণাৎ তাকে অপহরণকারী দলের এক সদস্য মানিকের সঙ্গে পাতানো বিয়ে দেওয়া হয়। ছাত্রীটির অভিযোগ, ৬ এপ্রিল অপহরণের পর ৭ এপ্রিল থেকেই তাকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেছে মানিক। এ ছাড়া অপহরণকারীদের আরো কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।

অপহৃত শিশুটির মা জানান, তাঁর ১১ বছর বয়সী শিশুকন্যাটি টঙ্গীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এ প্লাস পেয়ে পাস করার পর ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয় একই এলাকায়। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফল করায় সমপ্রতি তার মেয়েকে পুরস্কৃতও করেন ওই এলাকার সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল। চকরিয়া থানার ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া বলেন, 'শিশুটির সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি, আইনিভাবে ধর্মান্তর বা বিয়ে কোনোটাই হয়নি। ' তথ্যসুত্রঃ কালের কণ্ঠ। নারীর প্রতি সহিংসতা যেন গা সয়ে গেছে সবার।

আর স্বাধীন রাষ্ট্রে "সংখ্যালঘুর" মতো জঘন্য "টার্ম" সৃষ্টি করে তাদের উপরে চড়াও হবার এই বাজে প্র্যাকটিস এর শেষ কোথায়! ঘৃণা হচ্ছে! হয়ত এই ধর্ষকও বেঁচে যাবে! বিশাল সওয়াব করেছে সে, হিন্দু মেয়েকে মুসলমান বানিয়ে ধর্ষণ করেছেন উনি, মারহাবা! সুবাহানআল্লাহ! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.