যা বিশ্বাস করি না, তা লিখতে-বলতে চাই না, পারবোও না। কিন্তু যা বিশ্বাস করি, তা মুখ চেপে ধরলেও বলবো, কলম কেড়ে নিলেও লিখবো, মারলেও বলবো, কাটলেও বলবো, রক্তাক্ত করলেও বলবো। আমার রক্ত বরং ঝরিয়েই দাও, ওদের প্রতিটি বিন্দুর চিৎকার আরও প্রবল শূনতে পাবে। মগের মুল্লুক শুধু বইয়ে পড়েছিলাম.... কিন্তু সেটি আসলে কি এবং কত প্রকার, তা হাতে কলমে বুঝানোর দায়িত্ব নিল আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো?
কিসের রাজনীতি? কিসের হরতাল? কিসের দল? কিসের অবরোধ? কিসের দেশ? কিসের জমায়েত-শিবির-বিএনপি-আওয়ামিলিগ-জাপা?? কে করবে রাজনীতি? কিসের জন্যে করবে? দেশ ও দেশের মানুষের জন্যে? তোমরা তো মানুষ মেরে ফেলছ! তোমারা তো মানুষকে কুপিয়ে-পিটিয়ে বাহবা কুড়োচ্ছ! তোমরা কোন প্রজাতি? মানুষের বেশ ধরে তোমরা কেন বসবাস করছ এই সমাজে?
সভ্যতা এগিয়ে চলছিল, সোনার বাংলাদেশ পর্যন্ত পৌঁছে সভ্যতা যেন উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলো!! আমাদের আবার জঙ্গলে ফিরে যাওয়া উচিত(পড়ুন ফিরে গেছি), দেশের সব দালান ভেঙ্গে জঙ্গল বানিয়ে ফেলা উচিত! যেখানে নীতি একটাই, হয় মারো নয়তো মরো!! আমরা আদিম যুগের মত স্বজাতি মারব, কাচা মাংস চিবিয়ে খাব, রক্তে করব পিপাসা নিবারণ। নর মুন্ডের ট্রফি সগর্বে গলায় পড়ব!! বনের রাজা সিংহ আর আমরা হব তার যোগ্য অনুসারী, ভয়ানক হিংস্র! আমাদের হাত থেকে কিছুই বাঁচতে পারেনা, বাঘ থেকে হরিন, মানুষ থেকে ফড়িং, সব মেরে সাফ করে দেব আমরা।
পোকা মাকড়ের মত মানুষ মারব আমরা।
যেখানে বেড রুমের নিরাপত্তার কোনো প্রশ্ন আসবেনা, কোনো স্বরাষ্ট মন্ত্রী লাগবেনা আমাদের জীবনের নিরাপত্তা দেয়ার জন্যে। যেটাই আমাদের জন্যে হুমকি হবে, নখ-দন্ত ব্যবহার করে চিরে ফালাফালা করে দেব নিজেই।
বাংলাদেশকে জঙ্গল ঘোষণা করা হোক, যেখানে রেড ইন্ডিয়ানদের মত সমস্ত দিন তটস্থ থাকতে হবে, ওই এলো জামায়াত! আমার দাড়ি নাই, আমার বোন পড়াশোনা করে, আমার বাবা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েনা, আমাদের উপরে বোমা বর্ষণ করা হোক! ওরা না পারলে পাশের জঙ্গল পাকিস্তান থেকে পাকি ভাই, শায়খ পাকি সহ আরো ভয়ানক জংলীদের নিয়ে আশা হোক, ওদের হাতে মৃত্যু হোক আমার। তারপরে আবার তাদের সাহায্য করবে জংলি রানী খালু জিয়া! উনি তার শ্রেষ্ঠ বীর মাস্তান জংলীদের পাঠাবেন, বনের নিয়ন্ত্রণ চাই ওনার!! আগুন হাতে দাড়িয়ে থাকা জামায়তের হাতে যোগ্য জ্বালানি ধরিয়ে দিয়ে উনি বলবেন, যাও, সব শত্রু জংলীদের শেষ করে দাও! যেসব জঙ্গলবাসী আনুগত্য মানেনা তাদের মেরে ফেল! ওনার যুদ্ধবাজ সেনাপতি ঢেড়া পিটিয়ে দিবেন, আজ যদি কেউ গাছের কোটর থেকে বের হন, ঠিক কিন্তু সিংহ রাজার আহার বানানো হবে!! পুড়িয়ে ফেলা হবে আপনার হাত পা(পড়ুন গাড়ি)! আপনার যদি খাবারের দরকার হয়, ঘরে যদি জল না থাকে, না খেয়ে মরেন.. আপনার যদি বাবা মৃত্যু পথযাত্রী হয়, ঘরে বসে তামাসা দেখুন! রানীর কিছু আসে যায়না!! বের হলেই রাজার আহার! জংলি রানী মানেনা কোনো বিচার! কত সাল আগে কে কাকে কোথায় কিভাবে শিকার করেছে(পড়ুন যুদ্ধ অপরাধ), তাতে কিছু যায় আসেনা খালুদাজিয়া হালুম বা নিজামু ঘেউ ঘেউএর !! কোনো বিচার নেই, জঙ্গলে আবার বিচার কি?
এই সব শুনে হাসিনা বানু রণ হুঙ্কার ছেড়ে বললেন! ওরে আয়!! আছে যত অস্ত্র সস্ত্র সব নিয়ে! বল্লম, পাথর আর কিল ঘুশিতেই দেব উত্তম জবাব! মাঠে নেমে শেষ কর যত খালুদাজিয়া সৈন্য !! সামনে যাকে পাবি সেই হলো আসন খালুদাজিয়া বাহিনী, কুপিয়া সাদা পশম লাল করে দে! মেরে ফেল সব... জঙ্গলের রানী আমি আছি আমিই থাকব, তার জন্যে কতজন কোথায় মরলো কে দেখে? যা মার!! নয়তো মর!!
জঙ্গলের দুই রানী, আর অসভ্য বানর প্রজাতি জামায়াতকে বলছি, হিংসার রাজনীতি থেকে সরে আসুন... জনগনের উপকার করতে না পারেন, ক্ষতি করবেন না...
আমি হুশিয়ার করে বলছি, কারণ আমিও এই জঙ্গলের একজন।
ভাবুন, সমস্ত জঙ্গল আপনাদের খেয়ে ফেলতে আসছে, কেমন হবে?
শান্তি পূর্ণ রাজনীতি করুন, যদি না পারেন, তবে রাজনীতি থেকে সরে দাড়ান.... জনগনের জীবন নিয়ে খেলে, তাদের যান মাল জিম্মি করে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির গলা চেপে ধরে রাজনীতি করতে যাবেননা, ওটাকে রাজনীতি বলেনা, বলে ক্ষমতা ও অর্থের লালসা....
জামায়ত নামক উদ্ভট শ্রেণীটিকে বলছি, কোনো দৃষ্টিকোনেই আপনারা দেশের জন্যে ভালো কিছু নিয়ে আসেননি কোনদিন , খারাপ ছাড়া..... জঙ্গল ছাড়ুন , ওটাকে সভ্য বানাতে জঙ্গলের শান্তিকামী মানুষই যথেষ্ট .. অথবা জঙ্গলের হাতেই হালাল হবেন আপনারা.. খুব বেশি দেরী নেই..। ।
প্রতিটি মৃত্যুর জবাব দিতে হবে, যারা আপনাদের লালসার নির্বাক কুরবানী... বিশ্বজিত এর আত্মা আপনাদের ছাড়বেনা ... যদি আপনাদের বিবেক বলতে কিছু থাকত, ওটিও ছাড়ত না...
আজ খুব মন খারাপ.... সোনার দেশের মাটি আর কত খয়েরি হতে দেখব? সেই দেশ, যে দেশ কিনা সাগর রক্তের বিনিময়ে হয়েছে স্বাধীন? নেই কোনো যুদ্ধ তবু ফিলিস্তিন থেকে বেশি মানুষ মরবে! কত দেখব আর? যুদ্ধে কি আবার যেতে হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।