জড় এক প্রসঙ্গ কাঠামোর নিবিড় পর্যবেক্ষক :P
"পারলে ঠেকা" নামক চলচিত্রের আইটেম সং জঙ্গলের ডাক দেখে ফেললাম। দেখে অতীব বিস্মিত এবং বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ ছিলাম ঘন্টা খানেক। কিন্তু রিভিউ লিখতে স্বরযন্ত্রের কোন ভূমিকা নাই বিধায় এই ব্লগখানা প্রসূত হল। গানের শুরুতেই কে বা কাদের উর্বর মস্তিষ্ক হতে এই ফিল্ম নির্গত হয়েছে তাদের নাম ধাম, বংশ পরিচয়। এগুলান না দিলে তো এই গানের সাইজ আরো দুই মেগাবাইট কম হইত।
যাক মোক্ষম একটা গালি দিয়া ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলাম। আশা করতে থাকলাম যেন আমার দুই মেগাবাইট এক্সট্রা ডাউনলোড বিফলে না যায়। আমার পুরোনো অভ্যাস মত প্রগ্রেস বারের মাঝামাঝি ক্লিক করলাম ঠিক জিনিস ডাউনলোড হয়েছে কিনা দেখার জন্য। দেখলাম জয়া আহসান একটা টানেলের মত জায়গা দিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার ভঙ্গিতে আগাতে লাগলেন।
গানের নাম "জঙ্গলের ডাক" নাকি "প্রকৃতির ডাক" নাকি আবার "জঙ্গলে প্রকৃতির ডাক" তা নিয়া বেপক কনফিউজড হয়ে গেলাম।
ডাউনলোড লিঙ্কে ক্লিক করে শিউর হলাম না "জঙ্গলের ডাক" ই বটে। যাক গান শুরু হল। প্রথমেই জয়া আহসানের হেডব্যাং। মাথা ঝাকানোয় তার আনাড়িপনাই বলে দিল এই কাজ তিনি আগে কখনও করেননি। সবসময় ছোট চুল রেখে অভ্যস্ত কোন ছোকরা হঠাৎ লম্বা চুল রাখলে যেমন আনাড়ি ভঙ্গিতে চুলে হাত বোলায় অনেকটা তেমন।
মাথা ঝাকানোর পর্ব আপাতত শেষ। এরপর জয়া আপাকে দেখা গেল চাপাতি হাতে। এক লাল গেঞ্জি পরিহিত লোকের সামনে।
লোকটাকে দেখে পুরাই লুল মনে হল। তার এত বড় স্পর্ধা জয়া আপাকে দেখে ভয় পাচ্ছিল না।
সেটের বাইরে থেকে কেউ একজন নিশ্চয়ই বলে দিয়েছিল "অই বেটা ভয় পা" এবং সাথে সাথে সে ভয়ে কাচু মাচু হয়ে গেল।
এরপর শুরু হল জয়া আপার চুলকানির মলম বিক্রি
" সম্মানিত যাত্রিবৃন্দ আমি জয়া আহসান..." এর পর জয়া আপা "Ladies and Gentlemen" কে উদ্দেশ্য করে "Fasten your seat belt(s)" বলে তার ইংরেজী জ্ঞানের চৌহদ্দি সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন। এই গানের সেট দেখে আমি যারপরনাই অবিভুত। এখানে এমন এক বার টাইপ যায়গা দেখানো হল যেখানে একই কক্ষের মধ্যে মদ্যপান, তাস খেলা, দাঁড়ি কামানো এমনকি ব্যায়ামের ও ব্যাবস্থা আছে। কিছুক্ষন পর জয়া আপাকেও একটা ডাম্বেল নিয়া নাড়াচাড়া করতে দেখা গেল।
একেই বোধহয় বলে "মহিলাদের জন্য সুব্যাবস্থা আছে" এরপর জয়া আপা শুরু করলেন তার ফ্রি জ্ঞান বিতরন "জীবন একটাই, ভয় পেয়ে লাভ নাই, ভোল্টেজ ছাড়া লাভ নাই"। "পানিতে একটা কাপড় রাখ পানি হয়ে যাবে কাপড়, পানিতে একটা গাছ রাখ পানি হয়ে যাবে গাছ। পানিকে তুমি ক্রাশ করতে পারবা না কারন পানি বয়ে চলে" এতক্ষনে বোঝা গেল কেন তিনি সীট বেল্ট বেঁধে রাখতে বলেছিলেন
গানের শুরু থেকেই কালো গেঞ্জি পড়া এবং তার থেকেও কৃষ্ণতর যে ব্যাক্তি দাঁড়ি কামাচ্ছিলেন তিনি বোধহয় ফ্লুইড ম্যাকানিক্সের কোন মনযোগী ছাত্র। পানি নিয়ে এসব উল্টাপাল্টা কথা শোনার পর তার সীটবেল্টও তাকে ধরে রাখতে পারল না। তিনি জয়া আপার দিকে তেড়ে এলেন এবং গোটা তিনেক রামথাপ্পড় খেলেন।
তবে এতে তাকে মোটেও বিস্মিত, লজ্জিত, কিংবা আহত মনে হল না। যাক গান এখন শেষের দিকে। এখন জয়া আপা দাবি করছেন তিনি একই সাথে সিনেমা এবং সিনেমা হল। তিনি আরও দাবি করলেন তিনি তাজমহল বানান নাই তিনি নিজেই তাজমহল। সম্রাট শাহজাহানের জন্য মায়া হল ।
************************************
যারা গানটি দেখেন নি তারা এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।