ডেমরার সারুলিয়া পূর্ব হাজীনগরে ‘ইভা মঞ্জিল’ নামে ওই ভবনটি রোববার পাশের ছয়তলা একটি ভবনের ওপর হেলে পড়তে শুরু করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা রাতেই ঘটনাস্থলে যান এবং দুই ভবনের ১৩টি পরিবারকে সরিয়ে নেন। দুই ভবনের বিদ্যুত ও গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করে দিয়ে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
রাজউকের অথরাইজড অফিসার-৪ আফসার উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাজউক কর্মকর্তারা সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর ইভা মঞ্জিলের মালিককে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে নিজ দায়িত্বে বাড়িটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়।
২০০০ সালে তিন তলা ওই বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে এর মালিক মোহাম্মদ আলী কোনো ধরনের অনুমতি নেননি বলে জানান এই রাজউক কর্মকর্তা।
পাশের ছয় তলা ভবনের মালিক সবুর খানের আত্মীয় নুরুল ইসলাম হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, তিনতলা ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে পাইলিংও করা হয়নি।
সন্ধ্যায় সারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ও সদস্য গোলাম সারওয়ার লিটনের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের মাধ্যমে ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেন মোহাম্মদ আলী।
এদিকে নির্বাহী মেজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ দুপুরে ওই ভবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নোটিস টাঙিয়ে দিলেও বিকালে মোহাম্মদ আলীর তত্ত্ববধায়নে শ্রমিকদেরকে মালামাল সরাতে দেখা যায়।
আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে দাবি করেন, থানার ওসির কাছ থেকে ‘মৌখিক অনুমতি’ নিয়েই তিনি মালামাল সরাচ্ছেন।
অবশ্য ডেমরা থানার ওসি জহুরুল ইসলাম অনুমতি বা কাউকে সেখানে ঢুকতে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা দেয়া। পুলিশ সেই কাজটি করছে। ”
মাত্র তিন দিন আগে গত ৩১ মে রাজধানীর মগবাজার এলাকার দিলু রোডে নির্মাণাধীন একটি ১০ তলা ভবন হেলে পড়ে। তবে ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
গত এপ্রিলে সাভারে একটি আট তলা ভবন ধসে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।