তুমি যে আছ তাই,আমি ব্লগে লিখে যাই...... টঙ্গীর সেই অসহায় নির্যাতিতা মেয়েটি বিভীষিকাময় ৫৫ দিন কিভাবে কাটিয়েছে তা কেবল সে আর তার অন্তর্যামী জানে। কোন ভাষায় হয়তো তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সেই কুলাঙ্গার অপরাধীকে যদি হাজার বার ও সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়,তারপরেও এই দুর্বিষহ স্মৃতি মেয়েটির পক্ষে ভোলা সম্ভব হবে না। আজীবন এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তাকে বয়ে বেড়াতে হবে। ন্যায়বিচার ব্যাপারটা যেহেতু এখন কেবল ডিকশেনারিতেই পাওয়া সম্ভব,তাই পরম করুণাময়ের বিচারই শেষ ভরসা।
একজন মুসলিম পুরুষ হিসেবে লজ্জিত ও বিক্ষুব্দ হওয়া ছাড়া আমার পক্ষে আর তেমন কিছুই করা সম্ভব নয়।
তবে ফেসবুক সুশীলরা যে তাদের সিলসিলা বজায় রেখেছেন,তা আমার ‘ভালো’ লেগেছে। অন্য অনেক ঘটনার মত এবারও সেই মৌলবাদ-পাকিস্তানী জুজুর ভয় দেখানো তারা অব্যাহত রেখেছেন। যেখানে দেশের ৯৯.৯৯% মানুষ পাকিস্তানকে লাথি মেরে আলাদা হয়ে গেছেন আজ থেকে ৪২ বছর আগে এবং পাকিস্তানের মত একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের একজন হতে চান না,সেখানে তাদেরকে রাতদিন জুজুর ভয় দেখিয়ে উনারা কি ফায়দা হাসিল করেন সেটা আমরা ‘বেয়াদব’রা খুব ভালোভাবেই জানি। ইসলাম জোর করে ধর্মান্তরিত করা,ধর্ষণ কিংবা কনের অমতে বিয়ের বিরুদ্ধে যেখানে খড়গহস্ত,সেখানে উনারা অল্প কিছু নরকের কীটের জন্য গোটা ইসলাম-মুসলিমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান।
আরে গণ্ডমূর্খের দল,আমরা যদি তোমাদের মত ভেদবুদ্ধিহীন আর উগ্রবাদী হতাম,তবে ২০০ বছর আগে ইংরেজদের সাথে বর্ণহিন্দু জমিদাররা একত্র হয়ে আমার পূর্বপুরুষের উপরে যে নির্যাতন-শোষণ করেছিল,তার উপযুক্ত বদলা নিতাম। বদলা নিতাম আমার মুসলিম বোনকে শাঁখা সিঁদুর পড়িয়ে যে হিন্দু যুবক ধর্ষণ করেছিল,তার । দয়া করে অহেতুক হিন্দু জনগণ কমার জিগির তুলবেন না। আর যদি তুলতেই হয় তবে এইসব দেশত্যাগী মানুষজন কোথায় গিয়ে পুনর্বাসিত হয়েছেন কিংবা কোথায় নিজেদের শেষ ঠিকানা বেছে নিয়েছেন,তা খুঁজে নিয়ে জানাবেন। অসাম্প্রদায়িকতা ব্যাপারটা সুস্থ সমাজের জন্য খুব জরুরি কিন্তু ‘অতি-অসাম্প্রদায়িকতা’ না।
বাপ দাদার ধর্ম গালি দিয়ে ‘অসাম্প্রদায়িক সুশীল’ ভেক না ধরলেই খুশি হই। একথা আমি জোর গলায় বলতে চাই আমরা হয়তো হিন্দু জনগোষ্ঠীকে খুব ভালো রাখতে পারিনি কিন্তু উপমহাদেশের আর যে কোন দেশের সংখ্যালঘুদের তুলনায় অনেক অনেক ভালো রেখেছি। বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা প্রার্থনীয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।