ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই জঞ্জাল সাফ করার কাজে হাত লাগিয়েছেন জগমোহন ডালমিয়া। স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত আইপিএল বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্তে না গেলেও প্রতিযোগিতাটিতে ব্যাপক সংস্কার আনতে চান তিনি।
এরই অংশ হিসেবে আইপিএলের ম্যাচগুলোতে চিয়ারলিডার ও স্ট্র্যাটেজিক টাইমআউট পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ডালমিয়া। সেই সঙ্গে ম্যাচ-পরবর্তী পার্টিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করাটাকেও দুর্নীতি রোধের একটা উপায় হিসেবে দেখছেন তিনি।
স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদ থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন এন শ্রীনিবাসন।
তাঁর জায়গায় দায়িত্বে এসেছেন আইসিসির সাবেক সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া। তিনি কত দিন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে যেটুকু সময় পাবেন, সেটাই পুরোদমে কাজে লাগানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ডালমিয়া। আজ কলকাতার ইডেন গার্ডেনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেটকে পরিচ্ছন্ন অবস্থায় নিয়ে যেতে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আমাকে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আর আমি এখন এটা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করব।
’ আইপিএলের পরবর্তী আসরগুলোতে অনেক কড়া নিয়মকানুন প্রণয়নের চিন্তাভাবনা করছেন জগমোহন ডালমিয়া। তিনি বলেছেন, ‘আইপিএলে কোনো খেলোয়াড়কে যদি বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত অবস্থায় পাওয়া যায়, তাহলে ফ্রাঞ্চাইজির মালিকদের জবাবদিহি করতে হবে। ম্যাচ-পরবর্তী পার্টিগুলো নিষিদ্ধ করাও খেলাটাকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার একটা ভালো সমাধান হতে পারে। ’
আইপিএলে স্পট ফিক্সিং নিয়ে ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার পরপরই শ্রীনিবাসনের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। তাঁর জামাতা গুরুনাথ মায়াপ্পন স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেই দাবি ক্রমেই জোরালো হয়েছে।
কিন্তু নিজের পদ ধরে রাখার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন শ্রীনিবাসন। তবে তাঁর নিজের কমিটির দুই শীর্ষ সদস্য পদত্যাগ করায় অবস্থান কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে শ্রীনিবাসনের। অবশেষে গতকাল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক জরুরি সভা শেষে এক মাসের জন্য সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এখন অন্তত এই এক মাস বিসিসিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ডালমিয়া। ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ডালমিয়া নিজেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
— টাইমস অব ইন্ডিয়া।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।