১। বিচারক জাভেদকে পুলিশ বেচারীরা ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করে বিপাকে পড়েছে। নিজেদের চাকুরী বাঁচানো দায়। বিচারক বলে কথা। ফেনসিডিলসহ আটক বিচারক জাবেদ ইমামকে মিডিয়ার সামনে হাজির করার ঘটনায় পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনারসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম এম এ সালাম বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
বিচারক আদেশে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে এই পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আগামী সাত দিনের মধ্যে বিভাগীর ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেয়া হলো।
এছাড়া সাত দিনের মধ্যে এই কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশের ‘নন-ক্রাইম জোনে’ পদায়নেরও নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর ইডেন কলেজের সামনে একটি মাইক্রোবাস থেকে পুলিশ ৩৪২ বোতল ফেনসিডিল ও একটি রিভলবার উদ্ধার করে। ওই গাড়ি থেকে জাবেদ ইমামকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানার পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা করে। রোববার জামিনের আবেদন নাকচ করে আদালত জাবেদ ইমামকে কারাগারে পাঠান। তাকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে স্বীকারোক্তি নেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হতে ৩ ডিসেম্বর নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালত বলেছেন, যেভাবে গণমাধ্যমের সামনে বিচারক জাভেদ ইমামকে হাজির করা হয়েছে তা আইনের পরিপন্থী। যা গুরুতর অন্যায়।
আদালত আরও বলেছেন, পুলিশ একজন আসামিকে নিয়ে এভাবে মিডিয়া ট্রায়াল করতে পারে না। বিচারের আগেই কাউকে এভাবে হাজির করার বিধান নেই।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- আমরা প্রতিদিন জাবেদের মতো বহু ব্যক্তিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির হতে দেখি। সর্বশেষ ৫ ডিসেম্বর পরিচালক শওকত আলী ইমনকে মিডিয়ার সামনে হাজির করতে দেখাগেছে। তখনতো কোন আদালত এ বিষয়ে কিছু জানতে চান না।
২। কেমন হবে যেদিন আমরা জানতে পারব ‘জঙ্গী, সন্ত্রাসী, চরমপন্থী নামে যাদের মানুষের সামনে তুলে আনা হত তারা বেশির ভাগই ছিল নির্দোষ, নিরীহ বা অনেক ছোট মাপের ক্রিমিনাল’? কেমন হবে যেদিন আমরা জানতে পারব ‘কিছু মানুষকে রাস্তাঘাট থেকে ধরে নিয়ে স্রেফ জানের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে বুকের উপর জঙ্গী-সন্ত্রাসী-চরমপন্থী লিখে সেঁটে দিয়ে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরা হয়েছিল, মিডিয়াও অবলীলায় প্রচার করে গেছিল, কারণে এই পদ্ধতিগত সন্ত্রাস করার ব্যাপারে মিডিয়া ও শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যোগসাজস হয়েছিল’? সেই দিন আমরা জনগণ নিশ্চয় অবাক হব না কারণ মুক্ত বাজারে ভোক্তার চাহিদা খেয়াল রেখেই তো পণ্য তৈয়ার হয়। আমরা ভোক্তা সমাজ তো অনেক আগে থেকেই কিছু মানুষকে থেতলে দেওয়া দেখতে চাইছি। রাষ্ট্র-প্রশাসন-গণমাধ্যম শুধু তার যোগানদারি করল। ( ২ অংশটি ফেইসবুক থেকে নেয়া)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।