আমি কেবলই আমার মতো রাজাকার রাষ্ট্র জন্মের বিরোধী। স্বৈরাচার গনতন্ত্র বিরোধী। রাজাকারেরা আজন্ম পাপী। স্বৈরাচার গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা বিরোধী। রাজাকার ও স্বৈরাচার এই দুটিকে একই পাল্লায় এবং সমান অপরাধী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে বাম-বুদ্ধিজীবীরা।
যার ব্যবহারিক প্রয়োগ যুদ্ধাপরাধীদের ক্লাবের মুখপত্রদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। অস্বীকার করছিনা দুটোই অপরাধ। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে অপরাধের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। বাম ও সুশীল বুদ্ধিজীবীরা এদেশে আরও দুটি বিষয়কে একই পাল্লায় মাপে। জিয়াকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই নিক্তিতে এবং শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে একই পাল্লায়।
তারা এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধান মন্ত্রীত্বের চেয়ারে পশ্চাদদেশ ঠেকানোকেই একই পাল্লায় মাপার মাপকাঠি হিসেবে ধরে নিয়েছে। আর এসব তত্ত্বকেই পুঁজি করে কথা বলার সময়ে ক্লাবের সদস্যরা নিজেদের ধন্য মনে করে এবং আস্ফালন করে। অথচ এদেশে এইসব তথাকথিত মুক্তমনা বুদ্ধিজীবী এবং বামদের মুল্যায়ন একমাত্র আওয়ামী লীগই করে থাকে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির শেষ আশ্রয়স্থলও আওয়ামী লীগ। এই প্রতি-বুদ্ধিজীবী ও বাম তাত্ত্বিকদের অতি-তাত্ত্বিকতাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রধান শক্তিকে টেনে নিচে নামায় এবং একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধপক্ষের ক্লাবকে শুন্য হাতে ঢুগঢুগি বাজিয়ে উপরে টেনে তুলতে সহায়তা করে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, এভাবেই বামেরা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হয়ে যাচ্ছে ক্রমেই এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ দিনে দিনে স্পষ্ট হয়ে গেছে এবং বুদ্ধিজীবীরা গ্রহনযোগ্যতা হারাচ্ছে।
সত্য ও সুন্দর তো এমনই! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।