অস্ত্রোপচারের পর রোগীর শরীরে সুই রেখে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিত্সক মো. সুরমান আলীকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা আজ মঙ্গলবার প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রামের সভাপতি মুজিবুল হক খান জানান, চিকিত্সক মো. সুরমান আলীর জামিন না হওয়া পর্যন্ত বিএমএভুক্ত চিকিত্সকেরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখবেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএমএ চট্টগ্রামের জরুরি সভায় চিকিত্সকেরা এ সিদ্ধান্ত নেন। তবে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা দেবেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া যেসব বিশেষজ্ঞ বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত, তাঁরাও চিকিত্সা দেবেন।
আপনারা আইনের ঊর্ধ্বে কি না, জানতে চাইলে বিএমএর যুগ্ম সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল বলেন, ‘না, আইনের ঊর্ধ্বে নই। তবে এ ঘটনার তদন্ত চিকিত্সকেরাই করবে, পুলিশ নয়। ’
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিএমএ আরেকটি বৈঠকে বসবে বলে জানান মুজিবুল হক খান।
অস্ত্রোপচারের পর রোগীর শরীরে সুই রেখে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিত্সক মো. সুরমান আলীর জামিন নামঞ্জুর করে গতকাল সোমবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ মামলার অন্য আসামি জি এম জাকির হোসেন উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনে আছেন।
সুরমান আলী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাপারোস্কপিক, কলোরেক্টাল ও জেনারেল সার্জন। জি এম জাকির হোসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। ২০১২ সালের ৩০ মে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুল ইসলামের মলদ্বারে অস্ত্রোপচারের সময় শরীরের ভেতরে সুই রেখে দেন সুরমান আলী। এরপর ওই সুই বের করতে জি এম জাকির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দুই দফা অস্ত্রোপচার করেন সুরমান আলী। কিন্তু সুই বের করতে না পারায় আমিনুলের নিতম্বে পচন ধরে।
আমিনুলের অবস্থার অবনতি হলে ভারতের কলকাতায় অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বছরের ৩০ জুন তাঁর সুই বের করা হয়।
গত বছরের ১৭ জুলাই প্রথম আলোয় ‘অস্ত্রোপচারের পর শরীরে নিডল, জীবনাশঙ্কায় এক যুবক’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।