আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাগু আর কুত্তা, এই দুটোর ল্যাঞ্জা চিরকাল বাঁকাই থাকবে!

স্মৃতির খেরোখাতা খুলে দেখো, হয়তো পাবে আমায়। ফেইসবুক, ব্লগের অতি পরিচিত ছবি এটি! এটিও অতি জনপ্রিয় একটি ছবি! ছাগুদের ল্যাদানীতে এই ছবি দুটো অনেক জনপ্রিয়! কিন্তু আসল ঘটনা কি? ৭ আগস্ট প্রকাশিত গেজেট নোটিফিকেশন দেওয়া হয়েছে ঠিকই। এই সংক্রান্ত প্রেসনোট কি বলে? ৮ আগস্ট দৈনিক পাকিস্তানে এই সংক্রান্ত প্রেসনোটের ভাষা হয়েছেঃ বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের ৮৮ জন জাতীয় পরিষদ সদস্যের আসন বহাল থাকবে এবং অন্যান্যদের তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খন্ডনের সুযোগ দেওয়া হবে। আজ এখানে এক সরকারী প্রেসনোটে এ কথা ঘোষণা করা হয়। প্রেসনোটে বলা হয়: এখানে উল্লেখযোগ্য ১৯৭১ সালের ২৮ জুন তারিখে প্রেসিডেন্ট তার বেতার ভাষণে বলেন যে তিনি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।

তবে যারা অপরাধমূলক কাজ করেছেন, তারা ব্যতীত এ বিলুপ্ত পার্টির অপর এমএনএ ও এমপিএগন ব্যক্তিগতভাবে তাদের আসনে বহাল থাকবেন (অর্থাৎ স্বতন্ত্র স্ট্যাটাস দেওয়া হইবো তাগোরে)। সেইহেতু পাকিস্তান সরকার আজ বিলুপ্ত আওয়ামী লীগের যেসব নির্বাচিত এমএনএ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সদস্য হিসেবে তাদের আসনে বহাল থাকবেন, তাদের তালিকা ঘোষণা করেছেন। বিলুপ্ত আওয়ামী লীগের অপর সকল এমএনএ যাদের নাম এ তালিকায় উল্লিখিত হয়নি, তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে তাদেরকে দন্ডনীয় অপরাধমূলক কাজ সংক্রান্ত তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিজেদের খন্ডনের সুযোগ দেওয়া হবে। নবনির্বাচিত এমপিএদের ব্যাপারে পরে ঘোষণা দেওয়া হবে। জেনারেল রাও ফরমান আলীর নির্দেশিত এই প্রেসনোটে কোথায় বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের ৮৮ জন আনুগত্য স্বীকার করে আসন বজায় রেখেছে? কাঁঠালপাতা খোর ছাগুরা হয়তো জানে নাঃ ১) সাজেদা চৌধুরী নিজে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন।

জোবরা ক্যাম্পে উনি যাদের সাথে ট্রেনিং নিয়েছিলেন তাদের কাছে সব গল্প শুনতে পারবেন। ২) উনার চাচাতো বোন, ফেরদৌসি প্রিয়ভাসিনী। আশাকরি উনার নামই উনাকে চেনাতে যথেষ্ট। ৩) সাজেদা চৌধুরীর স্বামী গোলাম আকবর ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের কমার্স সেক্রেটারী। ৪) লে. সামাদ (বীর বিক্রম) উনার ফুপাতো ভাই।

৫) উনার খালাতো ভাই মেজর জিয়াউদ্দিন সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। ৬) বড় ছেলে আয়মান আকবর মুক্তিযোদ্ধা ৭) মেজ ছেলে সাজেদ আকবর মুক্তিযোদ্ধা। ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশরে স্বীকৃতি দেয়। তখন মুজিব নগর সরকারে রীতিমতো ঈদের আনন্দ। তিন মন্ত্রী কামরুজ্জামান, খন্দকার মোশতাক এবং মনসুর আলীরে মালা দিয়ে বরণ করা হয়।

এই ছবির ডান দিকের মহিলাটা হচ্ছেন বেগম সাজেদা চৌধুরী। এর দশদিন পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। উৎসর্গঃ আত্মস্বীকৃত ছাগু গোয়া০২ সহ ব্লগের সকল ছাগুকে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.